আগামী ১ থেকে ১০ ডিসেম্বর নেপালে অনুষ্ঠেয় এসএ গেমস নিয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ)।
মঙ্গলবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ টাওয়ারের সম্মেলন কক্ষে ‘এসএ গেমস: বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার বদিউজ্জামান মিলন। বিএসপিএ’র সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত আহমদ আনন্দর উদ্বোধনী বক্তব্য শেষে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন সংগঠনটির সভাপতি মোস্তফা মামুন।
সেমিনারে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সহ-সভাপতি এবং মিডিয়া কমিটির সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন বলেছেন, ‘আমরা ক্রীড়াঙ্গনের উন্নতি চাই। সরকার, অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন, ফেডারেশন, মিডিয়া ও খেলোয়াড়দের মেলবন্ধন ঘটলে ক্রীড়াঙ্গন এগিয়ে যেতে পারবে।’
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মাসুদ করিম বলেছেন, ‘কেউ কেউ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখেন। অথচ এমন স্বপ্ন দেখা উচিত যা আমাদের ঘুমাতে দেবে না। ক্রীড়াঙ্গনে একক কারণে সাফল্য আসে না। এটা সামগ্রিক দায়িত্ব।’
বিওএ’র কোষাধ্যক্ষ কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল বলেছেন, ‘খেলাধুলায় সামাজিক সহায়তা সবচেয়ে জরুরি। একজন ফেডারেশন কর্মকর্তা হিসেবে আমিও সোনা ও রুপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছি।’
ডেইলি স্টারের সিনিয়র রিপোর্টার আনিসুর রহমান বলেছেন, ‘ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে না পারলে খেলাধুলায় অর্জিত সাফল্য ধরে রাখা যায় না। বাস্তবতা ও প্রত্যাশার ফারাক এখানেই। তবে বড় স্বপ্নও থাকতে হবে।’
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলেছেন, ‘এসএ গেমসে আমরা পদক চাই। দেশের জন্য সম্মান অর্জন করাই আমাদের লক্ষ্য।’
কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি সনৎ বাবলা বলেছেন, ‘আমাদের মতো দেশে হতাশা থাকবেই। তারপরও ইতিবাচক ভাবনা থাকা জরুরি। আমি মনে করি, শুটিং ও আর্চারির দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টা থাকলে অন্য খেলাতেও ভালো করা সম্ভব।’
২০১০ এসএ গেমসে সোনাজয়ী কারাতেকা হাসান খান সান বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা থাকলে দেশের ক্রীড়াঙ্গন এগিয়ে যাবে। খেলোয়াড়দের স্পন্সরশিপের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’