বাংলা চ্যানেলের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন কাজী হামিদুল হক। তার দেখানো পথ ধরেই এর যাত্রা শুরু। প্রতি বছরের মতো আয়োজনে এবার সেই বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন ভারতীয় সাঁতারু মুকেশ গুপ্ত।
অবশ্য কোনো বিদেশি সাঁতারুর বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার ঘটনা আগেও ঘটেছে। ২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি বাংলা চ্যানেলের যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রয়াত কাজী হামিদুল হকের হাত ধরে। যিনি নিজেও একজন বিখ্যাত আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার ও স্কুবা ডাইভার। তার অধীনে প্রথমবারের মতো ফজলুল কবির সিনা, লিপটন সরকার এবং সালমান সাঈদ 'বাংলা চ্যানেল' পাড়ি দিয়েছেন।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত বাংলা চ্যানেলের অবস্থান। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে সাঁতার শুরু করেছিলেন মুকেশ। সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ১৬.১ কিলোমিটার চ্যানেলের সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে তিনি দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে পৌঁছান কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যস্থলে। এতে মুকেশের সময় লেগেছে ৪ ঘণ্টা ৮ মিনিট।
এমন সাফল্যের পর মুকেশ চ্যানেল সুইমিং বা লং ডিসটেন্স ওপেন ওয়াটার সি সুইমিংয়ের এলিট ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন। এর ফলে কাজী হামিদুল হকের প্রচেষ্টায় শুরু হওয়া আয়োজনে সাঁতারুর মধ্যে ১৪তম বছরে জয়ীদের তালিকায় এখন ভারতের মুকেশ গুপ্ত।
Save Water–Save Tree (জল বাঁচাও -গাছ বাঁচাও) এই স্লোগান নিয়ে কলকাতার মুকেশ এবার সাঁতার দিয়ে পাড়ি দিয়েছেন বাংলা চ্যানেল। এভারেস্ট একাডেমির আয়োজনে, মুকেশের এই সাঁতার অভিযানের দিক নির্দেশনায় ছিলেন সাঁতার প্রশিক্ষক ও মেন্টর কলকাতার পুষ্পেন সামান্থ। রেফারির দায়িত্বে ছিলেন ফিফা রেফারি তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু এবং নেভিগেটর রাফাহ উদ্দিন সিরাজী।