তার ক্রিকেট-জীবন শুরু বিকেএসপিতে। বিকেএসপির আলো-বাতাসে বেড়ে ওঠা আকবর আলী দীর্ঘদিন পর ফিরলেন প্রিয় প্রাঙ্গণে।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আগে বগুড়ায় ক্যাম্প করতে হয়েছিল আকবর-মাহমুদুলদের। তারপর আর ফেরা হয়নি। অবশেষে ফিরলেন বীরের মর্যাদায়। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের অধিনায়কের প্রত্যাবর্তন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজেকে গড়ে তুলেছেন আকবর। অবশ্য শুরুটা হয়েছিল বিকেএসপির দিনাজপুর আঞ্চলিক শাখায়। ওখানে তিন বছর কাটিয়ে ২০১৫ সালে চলে আসেন সাভারের বিকেএসপিতে। এখানকার প্রধান ক্রিকেট প্রশিক্ষক মাসুদ হাসানের তত্ত্বাবধানে চলছে তার প্রশিক্ষণ। ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন যুব বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
দক্ষিণ আফ্রিকায় সদ্যসমাপ্ত যুব বিশ্বকাপে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আকবর, ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে ৪৩ রানে অপরাজিত থেকে শিরোপা এনে দিয়েছেন বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের প্রথম বৈশ্বিক ট্রফি জয়ের পর থেকেই তিনি সবার কাছে ‘আকবর দ্য গ্রেট’। শিরোপা জিতে দেশে ফিরে বিসিবির রাজসিক সংবর্ধনা পেয়েছেন তরুণ ক্রিকেটাররা। অনেকে এখনও সংবর্ধনা পাচ্ছেন নিজ এলাকায়।
প্রায় আড়াই মাস পর বিকেএসপিতে ফিরতেই আকবরকে ঘিরে সাড়া পড়ে যায় চারদিকে। এবার যে তার প্রত্যাবর্তন বিশ্বজয়ী সম্রাটের মতো! মঙ্গলবার সকালে তাকে দেখতে পেয়েই ছুটে আসে শিশু শিক্ষার্থীরা, আবদার করে সেলফির। আকবর তাদের আবদার মিটিয়েছেন হাসিমুখে। বিকেএসপি কর্তৃপক্ষও বিশ্বজয়ী ছাত্রদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান গেটে আকবর-মাহমুদুল-শামীমদের ছবি দিয়ে ‘আমরা গর্বিত’লেখা ব্যানার ঝুলছে।
এবার বিকেএসপিতে ফিরলেন বিজয়ীর বেশে। সবার ভালোবাসায় সিক্ত আকবর বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘বিশ্বকাপ জিতে ফিরলেও আলাদা কোনও অনূভূতি নেই। আমি এখনও এখানকার ছাত্র। স্যার এলেন, ছোট ভাইরা এলো, সবার সঙ্গে কথা বললাম। খুব ভালো লাগছে। এটা আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে যতবার আসবো ভালো লাগবে।’
প্রিয় ছাত্রকে কাছে পেয়ে মাসুদ হাসান আবেগাপ্লুত, ‘আকবর কঠিন চ্যালেঞ্জ জিততে পেরেছে, তাই খুব ভালো লাগছে। নেতৃত্বগুণ ওর মধ্যে আগে থেকেই ছিল। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে এই গুণ থাকা অনেক বড় ব্যাপার। আকবরের মধ্যে যে এমন কিছু আছে, আমি বুঝতেও পারিনি।’