X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘করোনা প্রমাণ করলো গোলা-বারুদের চেয়ে ভালোবাসার শক্তি বেশি’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৮ এপ্রিল ২০২০, ১৬:২২আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২০, ১৬:২৪

‘করোনা প্রমাণ করলো গোলা-বারুদের চেয়ে ভালোবাসার শক্তি বেশি’ ‘করোনাভাইরাস প্রমাণ করলো গোলা-বারুদের চেয়ে ভালোবাসার শক্তি অনেক বেশি’- কথাটি বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার। কিন্তু হাঠৎ করে কেন এমন মনে হলো তার?

বর্তমান পরিস্থিতির মাঝেই মাশরাফির কথাটির নিগুঢ় অর্থটি লুকিয়ে আছে। অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার সঙ্গে সামরিক শক্তিতে এগিয়ে থাকা দেশগুলি করোনাভাইরাসের কালো থাবা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারছে না। ভাইরাসটি মহামারী আকার ধারণ করেছে উন্নত প্রায় সব দেশেই। ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, আমেরিকা, ইংল্যান্ডসহ অনেক দেশেই প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন অগণিত মানুষ। বাংলাদেশেও এর সংক্রামণ শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে বাড়ছে মৃত আর আক্রান্তের সংখ্যাও।

অথচ এই উন্নত দেশগুলিই প্রতিবছর যুদ্ধ-বিগ্রহে ব্যবহার করে থাকা অসংখ্য গোলা-বারুদ কামানসহ অত্যাধুনিক সব অস্ত্র। কিন্তু সেসবের কিছুই করোনা মোকাবিলায় কাজে আসছে না। উল্টো যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক শক্তিচালিত বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস থিওডর রুজভেল্ট পর্যন্ত অসহায় হয়ে পড়েছে করোনার থাবায়। শুধু আমেরিকাই কেন, পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন কোন দেশই তাদের এই অশুভ শক্তিগুলি ব্যবহার করে করোনার বিপক্ষে লড়তে পারছে না।

কিন্তু এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার উপায় মাত্র একটিই- সেটি হলো সবাই মিলে সচেতন থাকা এবং একে অপরের জন্য বাঁচা। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারবে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা। এই ভালোবাসা থেকেই আসে দায়িত্ববোধ। সেই দায়িত্ব থেকে চিকিৎসক-নার্সরা জীবন বাজি রেখে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সেবায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন।

মাশরাফি তাই মনে করেন, ভালোবাসার এই শক্তি দিয়েই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জিতবে মানুষ। মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে নিজের বোধদয় থেকে তিনি লিখেছেন, ‘করোনাভাইরাস প্রমাণ করলো গোলা-বারুদের চেয়ে ভালোবাসার শক্তি অনেক বেশি।’

করোনাভাইরাসের কারণে মাশরাফি নিজেও এখন ঘরবন্দি। তবে তিনি সেখান থেকেই মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ক্রিকেটারদের তহবিল গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আবার সংসদ সদস্য হিসেব নিজের ফাউন্ডেশন থেকেও দুস্থদের খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। কদিন আগে আরও একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। নড়াইলে চিকিৎসককেই রোগীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেন কেউই আর বিনা চিকিৎসায় কষ্ট না পান। কেউ অসুস্থ বোধ করলে নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের চিকিৎসাসেবার নম্বরে ফোন করে ঠিকানা দিলেই হলো। অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে চিকিৎসক চলে যাবেন তার বাড়ি। রোগী দেখে প্রয়োজনে কিছু ওষুধও দিয়ে আসবেন তারা।

/আরআই/এফআইআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি