বৈশ্বিকভাবে করোনা পরিস্থিতির অবনতিই হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়াতেও একই হাল। ডেভিড ওয়ার্নার তাই খুব আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের স্থায়িত্ব নিয়ে। যেমন ইংল্যান্ডে (সেপ্টেম্বরে) জীবানু সুরক্ষিত পরিবেশে খেলার কথা আছে অস্ট্রেলিয়ার। এমন পরিবেশে খেলতে গেলে দীর্ঘ দিনের জন্য পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নই থাকতে হবে। তিনি মনে করছেন, এমন হলে পরিবার ভাবনায় অনেকে হয়তো অবসরকেই বেছে নিবেন!
ওয়ার্নার এমনটা ভাবছেন নিজের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই। ইংল্যান্ড সফরের পর আইপিএল, তার পর রয়েছে ঘরোয়া গ্রীষ্মের ঠাসা সূচি। করোনাকালে যেমন বিধি নিষেধ তাতে পরিবারের সঙ্গে এই দীর্ঘ সময়টা বিচ্ছিন্ন হয়েই কাটাতে হবে। এমন ভাবনা থেকেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার।
গত গ্রীষ্মে যেমন তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ক্যারিয়ার আরও বেশি লম্বা করতে ৩৩ বছর বয়সেই তিনি একটি বা তার বেশি কোনও ফরম্যাট থেকে অবসর নেবেন কিনা ভাবছেন। নতুন করে সেই ভাবনার কথাই প্রকাশ পেলো তার কাছ থেকে, ‘অবশ্যই আমার তিন কন্যা ও স্ত্রী, তাদের কাছে আমি অনেক ঋনী। তারা আমার খেলোয়াড়ি জীবনের একটা বড় অংশ জুড়ে আছে।’
‘সবার আগে পরিবার। আর এই পরিস্থিতিতে ক্রিকেট নিয়ে কথা বললে এসব নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। এই মুহূর্তে সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাবো। কারণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ঘরের মাঠে এবার হচ্ছে না। যেটা এখানে হলে ও জিততে পারলে আমার জন্য আদর্শ হতো। তা পিছিয়ে যাওয়ায় যখন এটা ভারতে হবে, আমাকে নতুন করে ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে হবে’-বলেছেন ওয়ার্নার।
তিনি আরও বলেছেন, ‘তখন আমি দেখবো, আমি কোন অবস্থানে আছি, আমার মেয়েরা স্কুলে কী অবস্থায় আছে। এসব কিছুর বেশির ভাগই আমার সিদ্ধান্তের অংশ। বিষয়টা এমন নয়, কখন খেলা হবে, কী পরিমাণে খেলা হবে। আমার জন্য সিদ্ধান্তটা পারিবারিকই হবে।’
এছাড়া ভিক্টোরিয়া রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিও ভাবাচ্ছে ওয়ার্নারকে। কারণ অস্ট্রেলিয়ার বাকি অঞ্চলের তুলনায় এই অঞ্চলের সংক্রমণ পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ। আর মেলবোর্নেই ২৬ ডিসেম্বর ভারতের বিপক্ষে হওয়ার কথা বক্সিং ডে টেস্ট। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে ওয়ার্নার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় অন্য কোথাও খেলার জন্য ব্যবস্থা নিতে হতে পারে। তবে অন্য রাজ্যে গেলে আবার ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার বিষয়ও আছে। যাই করা হোক না কেন, আপনি আজকে একটা পদক্ষেপ নিলে, কাল সেটা পাল্টেও যেতে পারে। প্রক্রিয়াটা খুব জটিল। তাই আমার মনে হয় প্রথমবারের মতো বক্সিং ডে টেস্ট মেলবোর্নে নাও হতে পারে।’