করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এনেছে নিউজিল্যান্ড সরকার। তাই হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে মাস্ক ছাড়াই এসেছিলেন দর্শকেরা। সে কারণেই তাদের চোখেমুখের আনন্দ ধরা পড়লো স্পষ্ট। গ্যালারি আলোকিত করা এই দর্শকেরা দারুণ এক দিন পার করলেন কেন উইলিয়ামসনের মাস্টারক্লাস ব্যাটিংয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে চোখ জুড়ানো সব শটে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে কিউই অধিনায়ক। তার সঙ্গে ওপেনার টম ল্যাথামের চমৎকার ইনিংসে প্রথম দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৪৩।
করোনাভাইরাস বিরতির পর এটাই নিউজিল্যান্ডের প্রথম টেস্ট। লাল বলের ক্রিকেটে লম্বা বিরতি পড়লেও তার এতটুকু ছাপ নেই উইলিয়ামসনের ব্যাটে। চমৎকার সব কাভার ড্রাইভ, পুল শটে উপভোগ্য এক ইনিংস খেলে চলেছেন। প্রথম দিন শেষে তিনি অপরাজিত ৯৭ রানে। তার সঙ্গে দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন আরেক অভিজ্ঞ রস টেলর (৩১*)।
প্রথম সেশন বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। বাকি থাকা দুই সেশনে তবু ৮৩ ওভার বরাদ্দ রাখা হয়, কিন্তু পেস বোলিং-নির্ভর ওয়েস্ট ইন্ডিজ বল করতে পেরেছে ৭৮ ওভার। এই সময়টাতে বিশুদ্ধ টেস্ট মেজাজে ব্যাট করেছেন উইলিয়ামসন। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মাঠে নেমে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২২তম সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কিউইরা চতুর্থ ওভারেই হারায় অভিষিক্ত উইল ইয়ংয়ের উইকেট। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের আগের বলেই উইকেটকিপার শেন ডওরিচের সৌজন্যে বেঁচে গেলেও মাত্র ৫ রানে থামে তার ইনিংস। এরপর শুরু উইলিয়ামসন-ল্যাথামের প্রতিরোধ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ১৫৪ রান। দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে সেঞ্চুরির পথেও হাঁটছিলেন ল্যাথাম। তবে কেমার রোচের বলে বোল্ড হয়ে থামতে হয় ৮৬ রানে। ১৮৪ বলের ইনিংসটি কিউই ওপেনার সাজান ১২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায়।
তার বিদায়ের পর টেলরের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৭৫ রানের জুটিতে দিনটি নিজেদের করে নিয়েছেন উইলিয়ামসন। কিউই অধিনায়ক তার সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই ২১৯ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৬ বাউন্ডারিতে। আর টেলর ৬১ বলে অপরাজিত ৩১ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৫ বাউন্ডারি।
প্রথম দিনে বল হাতে সাফল্য পেয়েছেন কেবল রোচ (১/৫৩) ও গ্যাব্রিয়েল (১/৬২)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
(প্রথম দিন শেষে)
নিউজিল্যান্ড: প্রথম ইনিংসে ৭৮ ওভারে ২৪৩/২ (উইলিয়ামসন ৯৭*, ল্যাথাম ৮৬, টেলর ৩১*, ইয়ং ৫; রোচ ১/৫৩, গ্যাব্রিয়েল ১/৬২)।