বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার শুরু হয়েছে শেখ কামাল ৩৮তম জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা। প্রথম দিনেই বাজিমাত করেছেন কুড়িগ্রামের শাওন মিয়া। ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৮ ক্যাটাগরিতে ১৫০০ মিটার দৌড়ে রেকর্ড গড়ে জিতেছেন সোনার পদক।
গলায় সোনার পদক আর হাতে সার্টিফিকেট নিয়ে শাওন নিজের কষ্টের কথাগুলো সংবাদ মাধ্যমকে বলছেন, 'আমি কিছুদিন আগেও রাজমিস্ত্রির কাজ করেছি। আমার পরিবারে ৪ ভাই। বাবা কৃষক। তিনি অন্যের জমিতে কাজ করেন। কৃষিকাজে বাবাকে মাঝেমধ্যে সহযোগিতা করি। তবে এর পাশাপাশি রাজমিস্ত্রির কাজও করেছি। এটা করে দিনে ৩৫০ টাকা পাই। যে টাকা পেয়েছি সেটা নিজের জন্য খরচ করেছি। আমার প্র্যাকটিসের জন্য খরচ করেছি। কারণ লং ইভেন্টে খাওয়া দাওয়া ভালো না হলে মনের মতো পারফরম্যান্স করা যায় না।'
বর্তমানে কুড়িগ্রামের পাঁচগাছি দাখিল মাদ্রাসায় দশম শ্রেণিতে পড়ছেন শাওন। এই পর্যায়ে আসতে কোচের অবদানের কথাই বলেছেন, 'আমার কোচের নাম শফিকুল ইসলাম। তিনি অনেক সহযোগিতা করেছেন। তার দেওয়া শিডিউলে অনুশীলনের কাজ করেছি।'
এদিকে ১০০ মিটারে দ্রুততম কিশোরী বিকেএসপির মোসাম্মৎ সুমাইয়া আক্তার উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেছেন, 'ভালো লাগছে। বিকেএসপি অনেক ভালো ট্রেনিং দিয়েছে। মেহেদী স্যার কোচ। আত্মবিশ্বাস ছিল। টাইমিং আরও ভালো হতো।'
ছেলেদের মধ্যে সেরা হয়েছেন দেলওয়ার হোসেন সাঈদী। বিকেএসপির কিশোর দ্রুততম মানব হয়ে বলেছেন, 'আমি অনেক খুশি। পরিবার সমর্থন দেয় আমাকে। শাহাদাৎ হোসেন স্যারের অবদান আছে। টাইমিং নিয়ে সন্তুষ্ট। এখন নবম শ্রেণিতে পড়ি। আইডল হলেন ইমরানুর রহমান। উনাকে অনুসরণ করি। তবে স্টাইল ও বডি ফিটনেসের দিক দিয়ে জহির রায়হানকে অনুসরণ করি। সামনে বাংলাদেশকে কিছু দিতে চাই। এই স্টেডিয়ামে প্রথম প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথমবার স্বর্ণ পেয়েছি। বাজিমাত করেছি। ভালো লাগছে।'