X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

যেভাবে এলো কম্পিউটার ভাইরাস

দায়িদ হাসান মিলন
৩০ মে ২০১৭, ২০:৫০আপডেট : ৩০ মে ২০১৭, ২০:৫০

কম্পিউটার ভাইরাস হাঙ্গেরিতে জন্ম নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী জনভন নিউম্যান ১৯৪৯ সালে সর্বপ্রথম কম্পিউটার ভাইরাসের ধারণা দেন। কোনও একটি প্রোগ্রামের হুবহু নকল প্রোগ্রাম হিসেবে তার ধারণার আত্মপ্রকাশ ঘটে। পরবর্তীতে এটাই কম্পিউটার ভাইরাস হিসেবে পরিচিতি পায়।


শুরুর দিকে বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে ভাইরাস তৈরি এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলত। গবেষণাগারের বাইরে তৈরি হওয়া প্রথম যে ভাইরাসটি বিভিন্ন কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ে সেটার নির্মাতা ছিলেন এলক ক্লোনার এবং এটার প্রোগ্রামিং করেন তখনকার সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল শিক্ষার্থী রিচার্ড স্কেন্টা। এই সময়কার ভাইরাসগুলো ফ্লপি ডিস্কের মাধ্যমে ছড়াত। ফলে এগুলো নিরাপত্তায় খুব বেশি প্রভাব ফেলতে সক্ষম হত না।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে ১৯৯০ এর দশকের শুরুতে ভাইরাস ছড়াতে শুরু করলেও সবচেয়ে বড় আক্রমণটি হয় ১৯৯৯ সালে। আমেরিকান নাগরিক ডেভিড এল স্মিথ এটা তৈরি করেন। মেলিসা ভাইরাস নামের এ ভাইরাসটি ই-মেইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রক্রিয়ায় ই-মেইলের সঙ্গে একটি ওয়ার্ড ফাইল জুড়ে দেওয়া হয়, যা ওপেন করলেই ব্যবহারকারী ভাইরাস আক্রমণের শিকার হতেন। এছাড়া আক্রমণের শিকার ব্যক্তির কাছ থেকে তার ই-মেইলে থাকা আরও ৫০ জনের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেলিসা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ত। ফলে মেলিসা ভাইরাসের কারণে অসংখ্য ই-মেইল অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে বাধ্য হন গ্রাহকরা।
এরপর আসে ওয়ার্মের আক্রমণ। ভাইরাস থেকে ওয়ার্ম একটু আলাদা। ওয়ার্ম এক ধরনের ভাইরাস হলেও অন্যান্য ভাইরাসের সঙ্গে এর কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। এটা নিজে থেকেই সব কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়তে পারে যেটা অন্য কোনও ভাইরাসের পক্ষে সম্ভব নয়। ২০০০ সালের মে মাসে লাভ-বাগ নামের একটি ওয়ার্ম সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আই লাভ ইউ নামের একটি চিঠি সংযুক্ত থাকতো যা ওপেন করলেই ওয়ার্ম আক্রমণের শিকার হত কম্পিউটার।
২০০৭ সালে শুরু হয় ট্রোজান হর্সের আক্রমণ। ভুয়া কনটেন্ট দিয়ে গ্রাহককে ভুল পথে নিয়ে কম্পিউটার হ্যাক করাকে ট্রোজান হর্স বলা হয়। এটা এক ধরনের ম্যালওয়্যার। মূলত ক্ষতিকারক সব ধরনের সফটওয়্যারকে ম্যালওয়্যার বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ভাইরাস, ওয়ার্ম, ট্রোজান হর্স, স্পাইওয়্যার ইত্যাদি।
সর্বশেষ এবং সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যে কম্পিউটার ভাইরাসটির নাম শুনছি, তা হলো র্যা নসমওয়্যার। এটা মূলত সাইবার চাঁদাবাজির জন্য ব্যবহার করা হয়। র্যা নসমওয়্যার যেকোনও কম্পিউটারে আক্রমণ করে এর সব ডাটা নিজের অধীনে নিয়ে নেয়। তারপর সেগুলো ফেরত দেওয়ার বিনিময়ে গ্রাহকের কাছে অর্থ দাবি করে। ব্যবহারকারী যদি তার কম্পিউটারে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ডাটা ফেরত পেতে চান, তাহলে অর্থ প্রদান করতে হয়। অন্যথায় তিনি সেগুলো আর ফেরত পান না।
সূত্র: গেজেটস নাউ
/এইচএএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়কে ভূমিকা রাখার আহ্বান
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়কে ভূমিকা রাখার আহ্বান
আত্মীয়ের জানাজা শেষে ফেরার পথে প্রাণ গেলো মা-ছেলের
আত্মীয়ের জানাজা শেষে ফেরার পথে প্রাণ গেলো মা-ছেলের
বৃষ্টির প্রার্থনায় বিভিন্ন জেলায় নামাজ আদায়
বৃষ্টির প্রার্থনায় বিভিন্ন জেলায় নামাজ আদায়
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শিশুসন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শিশুসন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
তাপপ্রবাহের গেটওয়ে যশোর-চুয়াডাঙ্গা
তাপপ্রবাহের গেটওয়ে যশোর-চুয়াডাঙ্গা