ইন্টারনেটের ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) দিতে হয় ১৫ শতাংশ। এই হার কমিয়ে আনা হচ্ছে ১০ শতাংশে। বৃহস্পতিবার (২১ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ তথ্য জানালেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর।
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সাত সংগঠন (অ্যামটব, বিসিএস, বেসিস, বিসিএস, আইএসপিএবি, বাক্য ও ই-ক্যাব) বাজেট সংক্রান্ত দাবি নিয়ে আলোচনায় বসেছিল। বৈঠকে ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরসহ আরও অনেকে।
২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ইন্টারনেটের ওপর ভ্যাটের বিষয়ে কোনও সুখবর ছিল না। অথচ এই সাত সংগঠন গত ৭-৮ বছর ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে আসছিল। বেসিস সভাপতি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ইন্টারনেটের ওপর থেকে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ‘বৈঠকে বেসিসের পক্ষ থেকে একাধিক দাবি উত্থাপন করা হয়। এসব দাবির প্রতিফল দেখা যায়নি বাজেট প্রস্তাবনায়। দাবিগুলো শোনার পরে অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই সংশোধিত প্রস্তাবগুলো অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। ফলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে একসঙ্গে একাধিক সুখবর পাওয়ার মতো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।’
ইন্টারনেট থেকে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর), শুল্ক ও সারচার্জ বাবদ সরকারের বছরে আয় হয় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সাত সংগঠন যৌথভাবে কর ও শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিল। বুধবার (২০ জুন) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেও এই দাবি জানানো হয়।