‘সংযুক্তিতে উৎপাদন, দেশের হবে উন্নয়ন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালন করলো ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। দিবসটি পালন উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নেতৃত্বে দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি ঢাকা জিপিওর সামনে এসে শেষ হয়।
র্যালির আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ একটি আন্দোলন, কর্মসূচির নাম। এর অর্থ ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। প্রযুক্তির মাধ্যমে এবং প্রযুক্তির সফল ব্যবহার তা নিশ্চিত করতে পারে। আর তা হলেই জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত হঠাৎ করেই তৈরি হয়নি। ১৯৯৬ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে এ দেশে অনলাইন ইন্টারনেট সেবা চালু করে। কম্পিউটার পণ্যের ওপর থেকে ট্যাক্স ভ্যাট তুলে নেয়। মূলত সেদিন থেকেই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা শুরু হয়, যা পূর্ণতা পায় ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণার মধ্য দিয়ে। তাতে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের লক্ষ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ। দিনটি ছিল ১২ ডিসেম্বর। ফলে আজকের দিনটিকেই ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। তাই এক কথায় বলতে পারি, ডিজিটাল বাংলাদেশ হলো বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।
র্যালিতে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএসসিএল) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. নূর-উর-রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
র্যালি শেষে জিপিও মিলনায়তনে দিবসের আলোচনা সভায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা তুলে ধরা হয়।
অন্যদিকে, সরকারের আইসিটি বিভাগ ‘সত্য-মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালন করে। বিভাগের আয়োজনে দিনের অন্যান্য কর্মসূচির পাশাপাশি ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত কনসার্ট। রাজধানীর বাড্ডার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত এই কনসার্টে ইমরান, মমতাজ, নেমেসিস, ওয়ারফেজ, প্রীতম হাসান প্রমুখ সঙ্গীত পরিবেশন করেন।