X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিশেষ লেখা

অনলাইন মার্কেট প্লেসে সুপরিচিত ‘শৈলী’

হাসনাত নাঈম
২০ মে ২০১৮, ১৪:২৩আপডেট : ২০ মে ২০১৮, ১৬:০১
image

যারা হাতে তৈরি গয়না ও শাড়ি পছন্দ করেন, তাদের কাছে অনলাইন মাকের্ট প্লেস ‘শৈলী’ একটি সুপরিচিত নাম। মানুষের ভালোবাসায় দীর্ঘ একযুগ পার করেছে শৈলী। ধীরে ধীরে শৈলীকে যিনি লালন করেছেন, তিনি হচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার তাহমীনা খান শৈলী।

তাহমীনা খান শৈলী
ক্রাফটার মা ও পেইন্টার বাবার ঘরে জন্ম শৈলী ছোটবেলা থেকেই মায়ের সঙ্গে নিজের জন্য তৈরি করতেন কানের দুল, গলার মালাসহ বিভিন্ন ধরনের গয়না। তার গায়ের জামাটিও তৈরি করে দিতেন মা। সেই থেকেই হাতে বানানো জিনিসের প্রতি দুর্বলতা ছিল তার। নিজের পরার জন্য পোশাকের ডিজাইন ও গয়না বানাতেন নিজেই। কুড়াতেন বেশ প্রশংসাও। কেউ কেউ অনুরোধ করতেন নিজের মতো তার জন্যও পোশাক ও গয়না বানিয়ে দিতে। শুরুটা হয়েছিল এভাবেই। প্রথমে মানুষকে উপহার হিসেবে দিতেন শৈলী। পরে তারাই কিনতে শুরু করলেন।
শুরুটা করেছিলেন ২০০৬ সালে। প্রথমবার একটি শাড়ি বানিয়ে বিক্রি করেছিলেন তার খালার কাছে। তারপর মাঝে মাঝে পরিচিতদের চাহিদা অনুযায়ী শাড়ি ও গয়না বানিয়ে বিক্রি করতে থাকলেন। মানুষের আগ্রহ দেখে এরপর তিনি ফেসবুকে একটা পেজ খোলেন। পেজের নাম ও লোগো ডিজাইন করেন। এরপর অল্প অল্প করে তার তৈরি পণ্যগুলোর ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করতে থাকেন। মূলত এই কাজগুলো ২০০৯ সাল পর্যন্ত একাই করতেন তিনি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা হলে পরিচিতজনদের জানাতে থাকেন তার পেজের কথা। ধীরে ধীরে মানুষের চাহিদা বাড়তে থাকায় ২০০৯ সালে ৩ জন কর্মী নিয়োগ দেন। এরপর ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় শৈলীর।
সংস্কৃতিমনা পরিবারের মেয়ে শৈলী পেয়েছেন পরিবার ও বন্ধুদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা। তিনি মনে করেন, কারও কাজ দেখে উৎসাহিত হওয়া ভালো। কিন্তু অন্ধভাবে কাউকে অনুসরণ করে নতুন কিছু করা যায় না। একজন উদ্যোক্তা তার রাস্তাটা নিজে বানায়। তবে চ্যালেঞ্জ নিতে জানতে হবে।
নতুনদের জন্য এই তরুণ উদ্যোক্তা জানান, যারা এই পেশায় আসতে চান, প্রথমে তাদের আত্মবিশ্বাস আনতে হবে। কখনোই নিজের ওপর আস্থা হারানো যাবে না।

ধানমন্ডিতে শৈলী

শৈলী সম্পর্কে
শৈলী মূলত গয়নার পাশাপাশি এখানে শাড়ি ও কাপড়ের বিভিন্ন নকশা করেও বিক্রি করা হয়। বর্তমানে শৈলীতে ৩৫ জনেরও বেশি মানুষ কাজ করছেন। বিভিন্ন উৎসবে অস্থায়ী ভিত্তিতে আরও মানুষ যুক্ত হয়ে কাজ করেন এই প্রতিষ্ঠানে। দেশ ও দেশের বাইরে মিলিয়ে ৩০টিরও বেশি প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বাংলাদেশের মানুষের জন্য ও বিশ্বমানের পণ্য তৈরি করতে চান শৈলী। তিনি বলেন, ‘শৈলীকে সঙ্গে নিয়ে আমি বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য কাজ করতে চাই। স্বপ্ন দেখি, একদিন এমন একটা অবস্থানে পৌঁছবে শৈলী, যেদিন দেশের বাইরে থেকে কেউ এসেও খুঁজবেন শৈলীকে।’ যারা শাড়ি ভালোবাসেন, যারা সাজতে ভালোবাসেন. তাদের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলেও শৈলীকে পৌঁছে দিতে চান এই তরুণ উদ্যোক্তা। 

/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
তিন নম্বরে থেকে সুপার লিগে মোহামেডান
তিন নম্বরে থেকে সুপার লিগে মোহামেডান
মুখ থুবড়ে পড়েছে ইউক্রেনের অস্ত্র খাত
মুখ থুবড়ে পড়েছে ইউক্রেনের অস্ত্র খাত
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
লোকসভা নির্বাচন: মণিপুরে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ
লোকসভা নির্বাচন: মণিপুরে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?