শতক খান, পড়ছেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে মার্কেটিং নিয়ে। এর মধ্যেই ডিজিটাল মার্কেটিং দুনিয়ায় রেখেছেন সাফল্যের পদধূলি। শতক একাধারে ইনফ্লুয়েন্সার, শিল্পী, উদ্যোক্তা এবং ব্লগার। বিশ বছর বয়সী এই তরুণের বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন শহর পাবনায়। ছোটবেলা থেকেই নতুন কিছু করার চিন্তা সর্বদা তাকে দাপিয়ে বেড়াত।
খুব অল্প বয়সেই শতক ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে জানান দেন একজন সফল মার্কেটার হিসাবে। শুরু করেন নিজের প্রতিষ্ঠান ‘বিডিএস নেটওয়ার্ক।’ কী ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিডিএস নেটওয়ার্ক? শতক জানালেন, মূলত ফেসবুক ও ইউটিউবের জন্য কনটেন্ট তৈরির কাজ করছে তার প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন ধরনের এজেন্সির হয়ে কনটেন্ট প্রজেকশন এবং ডিস্ট্রিবিউশনের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করেন তারা।
ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করে পণ্যের প্রোমোশন করাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। সোশ্যাল মিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং- এসবই ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত। বর্তমান যুগে ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন এই তরুণ। মার্কেটিংয়ে দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। তরুণদের এই ক্ষেত্রে কাজ করা ওপর জোর দিলেন তিনি। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমেই দক্ষতা বাড়াতে হবে নিজের। রিসার্চের বিকল্প নেই। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলস এর ব্যবহার। কী ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে মানুষ, লক্ষ রাখতে হবে সেদিকেও। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে কনটেন্ট তৈরি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান শতক।
আবার অনেকেই ভালো কনটেন্ট তৈরি করেও ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না। তাদের জন্য সবসময় কিছু একটা করার স্বপ্ন দেখেন তিনি। নিজে ক্যারিয়ারের শুরুতে পার করেছেন অনেক ধরনের বাধা বিপত্তি। তাই ডিজিটাল দুনিয়ায় কাজ করতে আসা তরুণরা যেন বাধার সম্মুখীন না হয়, সেজন্য শতক চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিজ জায়গা থেকে। এছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তিনি সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন। করছেন ব্লগিং। শতক বিশ্বাস করেন পজিটিভিটি ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমেই সমাজে পরিবর্তন সম্ভব।
একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে শতক বিশ্বাস করেন সফলতার কোনও শর্টকার্ট পথ নেই। মানুষ নিজের সততা, একাগ্রতা, কাজ এবং পরিশ্রম দিয়ে সফল হয়ে ওঠে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, এগোতে হবে বহুদূর। আপাতত কিছু টিভি চ্যানেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিডিএস নেটওয়ার্ক এর পরিধি এভাবেই বাড়ছে প্রতিনিয়ত।