X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রম আদালত বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে সফলতা আনবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৬ জুন ২০১৬, ১৬:৫৩আপডেট : ২৬ জুন ২০১৬, ১৬:৫৩

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক শ্রম আদালতের বিচার ব্যবস্থায় বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা, মামলা জট নিরসণ এবং দ্রুততম সময়ে বিচার কাজ সম্পন্ন করতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া কার্যকর সফলতা বয়ে আনবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক।

রবিবার রাজধানীর বিলস্ সেমিনারহলে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান। ‘শ্রমিক অধিকার সুরক্ষায় শ্রম বিচার ব্যবস্থা: বিদ্যমান অবস্থা ও করণীয়’ শীর্ষক সুপারিশমালা চুড়ান্তকরণ সংক্রান্ত ওই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইনের আওতায় শ্রম বিচারকার্যে কোনও মামলার শুনানি গ্রহনের আগেই শ্রমিক মালিক উভয় পক্ষের সদস্যদের মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করলে কার্যকর ফল পাওয়া যাবে। এতে শ্রমিকের হয়রানি কিছুটা লাঘব হবে, শ্রমিক তার পাপ্য পাওনা সহজেই বুঝে পাবে, মামলা জট কমবে, এতে শ্রম আদালতের প্রতি আস্থা আরও বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরও বলেন, শ্রম আইনে বিচারকাজের সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে ৬০ দিন। নানা কারণে বিচার কাজ সম্পন্ন হতে দেরি হয়। দেরি হলেও তা কত দিন সেটা নির্দিষ্ট করতে হবে।

তিনি বলেন, বিচার কাজ দ্রুত নিস্পত্তির জন্য শ্রম আইনের কিছু ধারাও সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। প্রতিমন্ত্রী আদালতের বিচারক ও সদস্যগণের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

কর্মশালায় উপস্থাপিত সুপারিশমালায় জনানো হয়, অধিকার বঞ্চিত শ্রমিকের শেষ আশ্রয় হচ্ছে শ্রম আদালত, দেশে মোট ৭টি শ্রম আদালত রয়েছে যা প্রতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সবমিলে ৬ কোটিরও বেশি শ্রমিকের জন্য  অপ্রতুল। শ্রমঘন এলাকায় আরও শ্রম আদালত স্থাপনের তাগিদ দেওয়া হয়।

সুপারিশলায় শ্রম আদলতের ক্ষমতা বৃদ্ধি ও অধিকার গতিশীল করার লক্ষ্যে আইন ভঙ্গের জন্য শাস্তি বৃদ্ধি ও বিভিন্ন  ধরনের অপরাধের মধ্যে শাস্তির মেয়াদের সামঞ্জস্য বিধান করে শ্রম আইনের সংশোধন, শ্রম আদালতকে সুপ্রিমকোর্টের অধীনে সরাসরি বিচার বিভাগের আওতায় নিয়ে আসা, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল থেকে হাইকোর্টে রিট দায়েরের পরিবর্তে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়েরের বিধান রাখার সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া শ্রম আদালতের চেয়ারম্যানকে জেলা জজের সমপদমর্যাদার সুযোগ সুবিধা প্রদান ও চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের শ্রম আইন বিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

/এসএনএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা না বলতে আদালতের নির্দেশ
ইমরান খান ও বুশরা বিবিরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা না বলতে আদালতের নির্দেশ
বিতর্কিত আউটের ছবি পোস্ট করে মুশফিক লিখলেন...
বিতর্কিত আউটের ছবি পোস্ট করে মুশফিক লিখলেন...
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!
নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি জয়া
নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি জয়া
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী