X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি কমেছে ৩৫৯২ মেট্রিক টন

বেনাপোল প্রতিনিধি
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১১:৪৯আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১২:১৭

বেনাপোল স্থলবন্দর গত অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের (২০১৬-১৭) জুলাই-আগস্টে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি কমেছে। এ সময়ে আমদানি হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার ৪৩০ টন পণ্য। গত অর্থবছরের একই সময়ে আমদানি হয়েছিল এক লাখ ৩৪ হাজার ২২ মেট্রিক টন। সুতরাং গত অর্থবছরের চেয়ে আমদানি কমেছে ৩ হাজার ৫৯২ মেট্রিক টন।  

তবে এ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি কমলেও, বেড়েছে রাজস্ব আদায়। জুলাই-আগস্টে এ বন্দর থেকে ৪৭৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৯৪ কোটি এক লাখ টাকা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১১৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বেশি।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত দুই মাসে বেশি সরকারি ছুটি থাকা এবং বন্দরে পণ্যজট থাকায় আমদানি কম হয়েছে। তবে হয়রানি বন্ধ, বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও ক্লিয়ারিং হাউস চালু হলে আমদানি-রফতানিতে গতি ফিরে আসবে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ স্থলবন্দরের অধিকাংশ ক্রেন ও ফর্কলিফট দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে আছে। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে বন্দরের মালামাল খালাস প্রক্রিয়া। আমদানিকারকরা সময়মতো তাদের পণ্য খালাস করতে না পারায় বন্দরে সৃষ্টি হয়েছে পণ্যজট। বন্দরের গুদাম থেকে পণ্য বের করার পর নতুন পণ্য নেওয়া হচ্ছে। জায়গা সংকটের কারণে পণ্যবোঝাই ট্রাক বন্দরের ভেতরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ট্রাক থেকে পণ্য নামানোর অনুমতি মিললেও ক্রেন মিলছে না। ফলে জায়গা ও ক্রেন সংকটে বিপাকে পড়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।

আরও জানা যায়, দেশের সিংহভাগ শিল্প-কলকারখানা, গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ ও বিভিন্ন প্রকল্পের বেশির ভাগ মেশিনারিজ আমদানি করা হচ্ছে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে। ক্রেন ও ফর্কলিফট ছাড়া এ জাতীয় পণ্য বন্দরে আনলোড ও বন্দর থেকে খালাস নেওয়া সম্ভব নয়। পণ্য ধীর গতিতে ছাড় হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা অন্য বন্দর ব্যবহার করছেন। যে কারণে বেনাপোল দিয়ে পণ্য আমদানি অনেকটা কমে গেছে।

বেনাপোল কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার মারুফুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘বছরের শুরুতে বাজেটে পরিবর্তন আসায় আমদানি কিছুটা কম হয়ে থাকে। তাছাড়া ঈদসহ দুই মাসে সরকারি ছুটি বেশি থাকায় পণ্য আমদানি কম হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমদানি কম হলেও পণ্যের মূল্য যৌক্তিকীকরণ হওয়ার কারণে রাজস্ব আয় বেড়েছে। বেনাপোলকে আরও গতিশীল করতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।’

যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। যেমন মোটর পার্টসের মূল্য আগে এক ডলার থাকলেও সেখানে করা হয়েছে তিন ডলার। এছাড়া ফেব্রিক্সসহ সব পণ্যের মূল্য কাস্টম বাড়িয়েছে।ফলে আমদানিকারকরা পণ্য এনে বিক্রি করতে পারছেন না। যে কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানি কম করছেন।’

/এসএনএইচ/ 

আরও পড়ুন-  

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে অটোরিকশা চালকদের যত ফন্দি

মারিয়ার জন্য কাঁদছে মা

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বিএনপি গণতন্ত্রে অকার্যকর ডামি রাজনৈতিক দল: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি গণতন্ত্রে অকার্যকর ডামি রাজনৈতিক দল: ওবায়দুল কাদের
চারতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মাদ্রাসাছাত্রীর মৃত্যু
চারতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মাদ্রাসাছাত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
এবার ঘুমটা ভালো হবে ডু প্লেসির
এবার ঘুমটা ভালো হবে ডু প্লেসির
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী