আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি (এপিএসসিএল) ৬০০ কোটির টাকার বন্ড ছাড়বে। বন্ড থেকে থেকে আসা টাকা নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। ফলে বিদ্যুৎ খাতে অর্থায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। আজ রবিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক অনুষ্ঠানে বন্ড ইস্যুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বন্ডের মাধ্যমে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট আরও গতিশীল হবে। ২০০৯ সালে যে ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া হয়েছিল তারই হাত ধরে আজকের এই সাফল্য। বিদ্যুৎ মানুষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এজন্য বিদ্যুতের প্রসার করে যেতেই হবে। আমাদের লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। চাহিদার কারণে লক্ষ্য পুরণ হয়ে যাবে। আবার লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। কারণ বাংলাদেশ মিরাকল কান্ট্রি।’
তৌফিক ই ইলাহী বলেন, ‘এক সময় ভারতের পার ক্যাপিটা ইনকাম আর বিদ্যুতের উন্নয়ন আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। কিন্তু গত ১০ বছরে আমরা যত এগিয়েছি তারা ততটা এগুতে পারেনি। কারণ আমাদের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধাননমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে আমাদের আজকের এই অবস্থান। আগামীতেও তার নেতৃত্বে এগিয়ে যেতে চাই।’
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘বতমানে প্রতিবছর গড়ে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। প্রাইভেট সেক্টরের সঙ্গে মিলিয়ে মন্ত্রণালয় কীভাবে কাজ করতে পারে সে কাজ দেখিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। সারা বিশ্ব বসে আছে আমাদের টাকা দিতে। আমাদের শুধু আরও সচ্ছ, আরও গতিময় হতে হবে। দেশের কোনায় কোনায় আজ আলো।’
মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘এই চুক্তির মাধ্যমে অর্থয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। সরকারিভাবে এই উদ্যোগ বিদ্যুৎখাতকে আরও এগিয়ে নেবে। যা নেতৃতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীতেও তার নেতৃতে এগিয়ে না গেলে বিদ্যুৎখাতের এই অগ্রগতি থেমে যেতে পারে।’
সচিব বলেন, ‘আগামীর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশাল বিনিয়োগ প্রয়োজন । সে বিনিয়োগের জন্য এ ধরনের চুক্তির প্রয়োজন। এই যাত্রা আমরা শুরু করলাম। একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়তে এই ধরনের বিনিয়োগ আরো প্রয়োজন হবে।’
এপিএসসিএল এমডি এএমএম সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুত খাতের কোম্পানি সমূহকে সরকারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এই উদ্যোগ। ২০২৫ সালের মধ্যে ২৮ হাজার ২৩১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে প্রায় ৪৭ বিলিয়ন ডলার অর্থের প্রয়োজন হবে।’
ইস্যুকৃত বন্ডের মধ্যে বাংলাদেশ ইনফ্রাক্টচার ফাইন্যন্স ফান্ড ১০০ কোটি, অগ্রণী ব্যাংক ১০০, রূপালী ব্যাংক ৭৫, সোনালী ব্যাংক ৫০, উত্তরা ব্যাংক ২০, সাধারণ বীমা ২০, আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ২০ কোটি টাকার বন্ড নিয়েছে।
অনুষ্ঠানের শেষে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বন্ড ক্রয়ের চুক্তি ( সাবসক্রিপসন এগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষর করেন এপিএসসিএল এমডি এএমএম সাজ্জাদুর রহমান।