X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘ব্যাংক খাতে গুড প্র্যাকটিস থেকে ব্যাড প্র্যাকটিসে চলে যাচ্ছি’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:৪৭আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:৫৭

সিরডাপ মিলনায়তনে সিপিডি আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বক্তারা ‘দুঃখজনক ব্যাপার, সত্যিকার অর্থে ঋণ খেলাপি না কমিয়ে, তাদের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে ঋণ খেলাপি কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যার ফলে আমরা গুড প্র্যাকটিস থেকে ব্যাড প্র্যাকটিসে চলে যাচ্ছি। এ সুবিধা দেওয়ার ফলে ঋণ খেলাপিরা উৎসাহিত হবে। সেই সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকও উৎসাহিত হবে। তার ফলে তারল্যের ওপর প্রভাব পড়বে।’ মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার পর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সিরডাপ মিলনায়তনে সিপিডি আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন। বর্তমান সরকারের ১০০ দিন উপলক্ষে এ মিডিয়া ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘ব্যাংকিং ব্যবস্থা অর্থনীতির মূল স্তম্ভ। আমরা অতীতে দেখেছি, বড় বড় উদ্যোক্তদের অর্থ জোগানোর ক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থার একটা ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু এখন আমরা এমন একটা পর্যায়ে পৌছেছি যে, ঋণ খেলাপি একটা বড় সমস্যা।  এই সমস্যার কথা সবাই স্বীকারও করছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘তারল্যের ওপর প্রভাব পড়ার কারণে ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ সংকট দেখা দেবে এবং অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।  ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগের জন্য যখন ব্যাংকের কাছে অর্থ চাওয়া হবে, তখন ব্যাংক যদি অর্থ দিতে না পারে তাহলে আমাদের বিনিয়োগ এবং অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হবে।’ 

ব্যাংকিং খাতের সমস্যা সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া প্রসঙ্গে ফাহমিদা বলেন, ‘আমরা মনে করি, খেলাপি ঋণের বিষয়ে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার ফলে আমরা উল্টো দিকে যাচ্ছি। এর ফলে ব্যাংকের প্রকৃত যে স্বাস্থ্য তা পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। এটা ভাসা ভাসা একটা সমাধান।’ 

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমরা একটি ব্যাংক কমিশনের কথা বলেছিলাম। আমরা সেটার জন্য কাজ করছি। সরকারের কাছে আমরা বারবার ব্যাংকিং কমিশন করার কথা বলেছি। কিন্তু সরকার এখন পর্যন্ত কোনও উদ্যোগ নেয়নি। এখন আমরা শুধু ব্যাংকিং কমিশন নয়, নাগরিকদের নিয়েও কমিশন করার চিন্তাভাবনা করছি।’ 

মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সিনিয়র রিসার্স ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। এ সময় তিনি খেলাপি ঋণকে ব্যাংক খাতের বড় সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘খেলাপি ঋণের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।  বর্তমান সরকারের ১০০ দিনে ব্যাংক খাতের কোনও উন্নয়ন আমরা দেখছি না।’

মিডিয়া ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন– সিপিডির সম্মানিত ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য,  মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

 

/জিএম/এমএএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের নির্বিঘ্ন প্রবেশাধিকার দাবি ডিআরইউর
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের নির্বিঘ্ন প্রবেশাধিকার দাবি ডিআরইউর
বাগেরহাটে কৃষককে পিটিকে হত্যা
বাগেরহাটে কৃষককে পিটিকে হত্যা
একসঙ্গে ৭৩ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
একসঙ্গে ৭৩ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
চীনে রুপা জিতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সুকান্ত ও নয়ন
চীনে রুপা জিতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সুকান্ত ও নয়ন
সর্বাধিক পঠিত
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন