কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের ১০ম সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, বিশ্ব বাণিজ্যে ভারত, চীন ও ব্রাজিলসহ উন্নত বিশ্বের দেশগুলো সম্মেলনের পুরো বিষয় নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ সভা থেকে স্বল্পোন্নত দেশগুলো বাড়তি কিছু পায়নি। কারণ, ওই সম্মেলনে অন্তর্ভুক্তিমূলক আলোচনা হয়নি। সোমবার মহাখালীর ব্রাক ইন সেন্টারে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এমন মন্তব্য করেন।
এ সময় সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ফাহমিদা খন্দকার, অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও রিসার্চ ফেলো তৌফিক ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ডব্লিউটিও সম্মেলন এবং গবেষণা পরিচালক ফাহমিদা খন্দকার জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি নিয়ে পৃথক দুটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
সিপিডি মনে করে, এবারের সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ছিল খুবই নগন্য।
অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডব্লিউটিও সম্মেলনে বেসরকারিভাবে সিপিডির তিনজন প্রতিনিধি অংশ নেয়। বেশ কয়েকটি সেশনে সিপিডি প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন। সম্মেলনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে বির্তক হতে পারে। এবারের সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশ অংশ নিতে পারেনি। উন্নত বিশ্বের দেশগুলো ডব্লিউটিওকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য উদারীকরণের আলোচনায় ব্যস্ত ছিল। উন্নত বিশ্বের দেশগুলো নিজেদের বাণিজ্য উদারীকরণ করলে ডব্লিউটিওতে অন্তর্ভুক্ত স্বল্পোন্নত দেশগুলোকেও বাজার সুবিধা দিতে এর সমন্বয়ক হিসেবে বাংলাদেশকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এবারের সম্মেলনে ভূ-অর্থনীতি নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। উন্নত বিশ্ব নিজেদের মধ্যে আলোচনায় ব্যস্ত ছিল। তার মানে, বিশ্ব বাণিজ্য নতুন ধরনের উৎক্রমের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। এরা ডব্লিউটিও-এর বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চায়। আগামী দিনে বিশ্ব বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়বে। ফলে বাংলাদেশকে নতুন করে বিশ্ব বাণিজ্য অবস্থান নিয়ে ভাবতে হবে।
/এসআই/এফএইচ/এমএনএইচ/