X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

পরিবেশ পরিবর্তন মোকাবিলায় জলবায়ু সম্মেলন কতটা ভূমিকা রাখবে?

ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম
২৯ নভেম্বর ২০২৩, ২১:৪১আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ২১:৪১

জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সম্মেলন হলো কনফারেন্স অব পার্টিজ (কপ)। গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রথম ১৯৯৪ সালে UNFCCC গঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে COP-এর সদস্য দেশসমূহ প্রতি বছর জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষক সভা করে থাকে।

১৯৯৫ সালের ২ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল জার্মানির বার্লিনে প্রথম কপ-১ কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যৌথ উদ্যোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল।

জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কপ-২১ সম্মেলনটি ২০১৫ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে ১৯৬টি দেশের মতামতের ভিত্তিতে প্যারিস চুক্তির সুপারিশ হয়। ওই চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সারা বিশ্বে খরা, অনাবৃষ্টি-অতিবৃষ্টি, লবণাক্ততা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যুক্তিসম্মত। আরও বলা হয়েছে, ২০৩০ সালে গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন প্রায় ৪৩ শতাংশ কমাতে হবে। সুতরাং প্যারিস চুক্তিটি ছিল বাধ্যতামূলক ও যুগান্তকরী জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তি। ২০৫০ সালের মধ্যে কীভাবে কার্বন নির্গমন শূন্যের কোঠায় নেওয়া যায় সেই বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।

কপ ২৬ সম্মেলনটি ২০২০ সালে স্কটল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনে স্থিতিস্থাপকতা তৈরি ও গ্রিন হাউজ গ্যাস কমানোর ওপর অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিল। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর বছরে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ১০০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দের বিষয়টি আলোচিত হয়। গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন রোধ বর্তমানে দৃশ্যমান পরিকল্পনায় ভবিষ্যতে আর কি কার্যপরিকল্পনা যোগ করা যেতে পারে সেই বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পায়। ফলশ্রুতিতে প্যারিস চুক্তিতে উল্লেখিত বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা সম্ভব।

যাইহোক, কপ ২৭-এ যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা হয়েছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনে দুর্যোগের সম্মুখীন উন্নয়নশীল দেশসমূহের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য বছরে সুনির্দিষ্ট অর্থের বরাদ্দ। ওই সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন ৪৩%-এর বেশি কমানোর ওপরও জোর দাবি করা হয়েছে। ওই সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করবে পরবর্তী বছরের মধ্যে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরির ওপর জোর দিয়েছেন। যাহোক, কোপ ২৭ সম্মেলনে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই সিদ্ধান্তে উন্নত দেশের জন্য ২১১ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন ইউএস ডলার, স্বল্পোন্নত দেশের জন্য ৭০ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দের বিষয় আলোচনায় স্থান পায়। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনে বিশেষ ফান্ড ৩৫ মিলিয়ন ডলার রাখার বিষয়টিকে স্বাগত জানানো হয়েছিল। তাছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলোর চাহিদা ও অগ্রাধিকার বিবেচনায় ২০২৪ সালের মধ্যে একটি নতুন জলবায়ু পরিবর্তন ফান্ড গঠনের বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত ছিল। পরিশেষে ২০২৪ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ফান্ড দ্বিগুণ করার জন্য জাতিসংঘের স্থায়ী কমিটিকে একটি প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

সমগ্র বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কপ ২৮ সম্মেলনের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে। কপ ২৮ সম্মেলনটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের এক্সপো শহরে শুরু হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, কপ ২৮ সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি পুনরায় আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্ব কোথায় দাঁড়িয়ে আছে সেই বিষয়ে ফাঁকগুলো খুঁজে বের করে ২০৩০ সালের মধ্যে সমাধানের ওপর গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হতে যাচ্ছে।

যাহোক, বাংলাদেশ কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তন  মোকাবিলা করছে সেই বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জাতীয় পর্যায়ে বিদ্যমান পলিসিগুলো হলো, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটিজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান, ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট অ্যাক্ট, বাংলাদেশ ডেল্টাপ্ল্যান ও মুজিব ক্লাইমেট প্ল্যানসহ আরও অনেক বিষয় বিদ্যমান রয়েছে। এনডিসি অনুযায়ী দেখা যায়, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে শর্তহীনভাবে নিজস্ব সম্পদ ব্যবহার করে প্রায় ২৭ দশমিক ৫৬ মেট্রিক টন কার্বন ডাই অক্সাইড বায়ুমণ্ডল থেকে কমাবে। আবার ওই সালের মধ্যে শর্ত অনুযায়ী আরও ৬১ দশমিক ৯ মেট্রিক টন গ্রিন হাউজ গ্যাস কার্বন ডাই অক্সাইড কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। মোটা দাগে বলা যেতে পারে, বাংলাদেশ প্রায় ৮৯ দশমিক ৪৭ মেট্রিক টন গ্রিন হাউজ গ্যাস ২০৩০ সালের মধ্যে বায়ুমণ্ডল থেকে কমাতে পারবে। অন্যদিকে ডেল্টা প্ল্যান অনুযায়ী বাংলাদেশ টিকসই উন্নত খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, টেকসই পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কমানোর ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ।

বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে, যার আওতায় প্রায় ৮০০ প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৮০ মিলিয়ন ইউএস ডলার অর্থায়ন বিদ্যমান রয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রায় ২ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন অর্থ বরাদ্দ দিয়েছিল। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য ২০০ মিলিয়নের বেশি ইউএস ডলার বিভিন্ন ফান্ডিং প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রহণ করছে। বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে কম কার্বন নির্গমনের দিকে নজর দিয়েছেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সূর্যশক্তি ব্যবহার করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের দিকে জোর দিয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ ৫৪১ দশমিক ৭ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু রয়েছে। আরও ৯১১ দশমিক ৮ মেগাওয়াট সোলার প্ল্যান্ট চালুর শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অন্যদিকে ১৪৯ মেগাওয়াট বায়ুচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হতে যাচ্ছে।

তাছাড়া বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করার জন্য স্বল্প দৈর্ঘ্যের অর্থাৎ চারা থেকে ফসল উৎপাদন পর্যন্ত কম সময়কালসম্পন্ন ব্রি ধান ৬২, ৬৬,৭১, বিনা ধান ৭, ১১, ১৬, ১৭, ১৯-২২ উদ্ভাবন করেছেন। খরা মোকাবিলার জন্য ব্রি ধান ৪২, ৪৩, ৫৭, ৬৫,৭১ এবং বিনা ধান ১৭, ১৯, ও ২১ আবিষ্কার করেছে। লবণাক্ততা মোকাবিলায় ব্রি ধান ২৩, ৪০, ৪১, ৫৫, ৬৭, ৭৩, ৫৩, ৫৪, ৬১, ৪৭, ৯৭, ৯৯, এবং বিনা ধান ৮, ১০, ২৩ কৃষক পর্যায়ে বিদ্যমান রয়েছে। জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় ব্রি ধান ৫১, ৫২, ৭৯ ও বিনা ধান ১১, ১২ ও ২৩ কৃষক পর্যায়ে বিদ্যমান রয়েছে।

অন্যদিকে তাপমাত্রা সহিষ্ণু বারি গম ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ৩০ এবং ৩১ বিদ্যমান রয়েছে। মোটাদাগে বলা যেতে পারে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কৃষিতে গবেষণা অব্যাহত রেখেছে। যাহোক, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশে ৭৬ হাজার ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে, যার প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি নারী। অন্যদিকে শহর এলাকায় প্রায় ৪৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে, যারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শহরের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৪ হাজার ৫৩০টি সাইক্লোন সেন্টার রয়েছে। তাছাড়া ৫০০-এর বেশি বন্যাদুর্গত এলাকায় নিরাপত্তার জন্য শেল্টার রয়েছে। অন্যদিকে ৫৫০ মুজিবকিল্লা, ৬০টি মাল্টিপারপাস উদ্ধারকাজের জন্য নিয়োজিত নৌকা, ৬৬টি ত্রাণকেন্দ্র, এবং ১৮টি এফএম রেডিও নেটওয়ার্ক রয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার ৪ লাখ ৪২ হাজার ৬০৮ জন গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ ইতোমধ্যে কিয়োটো প্রটোকল, প্যারিস চুক্তি ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠান কপ-এর সঙ্গেও সম্মতি প্রদান করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালে ৪৮টি জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি সম্মুখীন দেশসমূহের সভাপতি হিসেবে উন্নত দেশসমূহের নিকট ৫০০ বিলিয়ন ইউএস ডলার দানের কথা ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার বিষয়ে অবদান রাখায় জাতিসংঘ কর্তৃক চ্যাম্পিয়নস অফ দ্য আর্থ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যা নিঃসন্দেহে বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।

অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটি নিয়মিত বৃক্ষ বিতরণ ও রোপণ করে যাচ্ছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।

সুতরাং ভিশন ২০৪১ অনুযায়ী বাংলাদেশ যদি ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে চায় তাহলে জলবায়ু পরিবর্তন সৃষ্ট ক্ষতি মোকাবিলায় কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। কপ ২৮ সম্মেলনে সারা বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধান, পরিবেশবিদ, ব্যবসায়ী ও অন্যান্য পেশাজীবী লোকজন উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনে রাষ্ট্রপ্রধানরা নিজ দেশের প্রেক্ষাপটে জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশ বিপর্যয়ের বিষয়গুলো উল্লেখ করবেন। যদি পূর্বেও সম্মেলনগুলো যেসব অঙ্গীকার করেছিল, তার বাস্তবায়ন কোনোটিই সফলভাবে হয়নি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা, যা বাস্তবে কখনও সম্ভব না। উন্নত দেশসমূহ কর্তৃক বছরে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বছরে ১০০ মিলিয়ন ডলার ফান্ড দেওয়ার কথা ছিল, যা এখনও আলোর মুখ দেখেনি। তাছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উন্নত দেশ কর্তৃক কম মূল্যে উন্নয়নশীল দেশে সরবরাহের বিষয়টিও আলোচনায় ছিল।

যাহোক, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা সম্ভব না হওয়ায় নির্দিষ্ট তাপমাত্রার সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে উন্নত দেশ কর্তৃক নিশ্চয়তা প্রদান ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে উন্নত প্রযুক্তি বিনামূল্যে/স্বল্পমূল্যে উন্নয়নশীল দেশে সরবরাহের নিশ্চয়তা অতীব জরুরি।

আশা করা যাচ্ছে, বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতি মোকাবিলায় চলমান কর্মসূচিগুলো কপ ২৮ সম্মেলনের ঘোষণার মাধ্যমে আরও শক্তিশালী হবে, যা ভবিষ্যতে বৈশ্বিক উষ্ণতায় ক্ষতি মোকাবিলা, বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউজ গ্যাসের নির্গমন কমানো  ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

পরিশেষে বলা যেতে পারে, বাংলাদেশেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নত দেশ কর্তৃক বছরে উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে জোর দাবি জানাবে।

লেখক: অধ্যাপক; বিশেষজ্ঞ সদস্য, বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
নানা কর্মসূচিতে পালিত হচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস
নানা কর্মসূচিতে পালিত হচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস
ইন্দোনেশিয়ায় মধ্যরাতে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় মধ্যরাতে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প
অপেক্ষা আরও বাড়লো পিএসজির  
অপেক্ষা আরও বাড়লো পিএসজির  
মেসির জোড়া গোলে মায়ামির আরেকটি জয় 
মেসির জোড়া গোলে মায়ামির আরেকটি জয় 
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ