X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবে ভোট উৎসব

ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৫৫আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৫৫

বাংলাদেশে যখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, বিশেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, তখন বাংলাদেশে প্রকৃতপক্ষে উৎসব হয়। এই উৎসব শুধু ভোটের দিনে হয় এমন নয়; ভোটকে কেন্দ্র করে অনেক দিন পর্যন্ত এই উৎসব চলে। যে কিশোর-কিশোরী এখনও ভোটার হয়নি সেও নির্বাচনে কোনও না কোনোভাবে নিজের উপস্থিতির জানান দেয়। তা সে মিছিলের মাধ্যমে হোক আর কথার আসরে হোক।

বাংলাদেশের মানুষ উৎসব করতে পছন্দ করে। আমরা ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা নির্বাচনে এর প্রতিফলন সবচেয়ে বেশি দেখি। কারণ, একই পাড়া বা মহল্লা থেকে একাধিক প্রার্থী নির্বাচন করে জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য। জাতীয় নির্বাচনের বিষয়টি একটু অন্যরকম। অনেক গভীর। কারণ, এর মাধ্যমে ৫ বছর কে বা কোন দল দেশ পরিচালনা করবে বা কারা ক্ষমতায় থাকবে তা নির্ধারিত হয়। একজন মেম্বার (ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য) বা কাউন্সিলর (পৌরসভার সদস্য) অথবা চেয়ারম্যান (ইউনিয়ন পরিষদ) বা মেয়রের (পৌরসভা) পক্ষে স্থানীয় পর্যায়ে কিছু কাজ করা সম্ভব হলেও তা নির্ভর করে সরকারের ওপরই। এজন্য এই নির্বাচনে মানুষের চিন্তা-চেতনা গোষ্ঠী পর্যায়ে আর সীমাবদ্ধ থাকে না। একজন মানুষ পুরো দেশের কথা ভাবে। সে আর নিজের কোনও আত্মীয়কে মেম্বার বানানোর জন্য চারপাশে ছোটাছুটি করে না। সে নিজে যা বিশ্বাস করে তা যেন অন্যের বিশ্বাসের সাথে মিলে যায় সেই প্রত্যাশা করে। একজন বাবা বা মা ভাবে তার সন্তানের ভবিষ্যতের কথা। তাই জাতীয় নির্বাচনের বছরে মানুষের টেলিভিশনে চোখ থাকে বেশি। মানুষ পত্রিকা পড়ে বেশি।

মানুষ চায়ের দোকানে বসে বেশি। মানুষ চা খায় (পান করে) বেশি। মানুষ উৎকণ্ঠায়ও থাকে বেশি। আবার মানুষ আশায়ও থাকে বেশি। নির্বাচনের বছর মানুষের নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর বছরে রূপ নেয়।

মানুষ শুধু নিজের সংসদীয় আসন নিয়ে পড়ে থাকে না। কুষ্টিয়ার একজন মানুষ ভাবে ঢাকার কথা, সিলেটের কথা, লক্ষ্মীপুরের কথা, রাজশাহী বা খুলনার কথা। শুধু একটি জেলা নয় নির্দিষ্ট সংসদীয় আসন নিয়েও ভাবে মানুষ। এমনকি ওই আসনে কে কোন দলের মনোনয়ন পেয়েছে সেটাও ভাবে। দলপ্রধান যাকে নমিনেশন দিয়েছেন তা তার পছন্দ হয়েছে কী হয়নি তাও সে কোনও না কোনোভাবে প্রকাশ করে। কারণ, একটি আসনে জয়-পরাজয় (ব্যতিক্রম বাদে) দিয়ে দেশে শাসক নির্ধারিত হয় না। কমপক্ষে ১৫১টি (৩০০টির মধ্যে) আসনে পছন্দের দলের প্রার্থীকে জিতে আসতে হয়। এ জন্য আওয়ামী লীগের একজন সমর্থক ঢাকা-১০ আসনে চিত্রনায়ক ফেরদৌস জিততে পারবে কিনা সেটা ভাবে, সাকিব আল হাসানের কথা আবার সাঈদ খোকনের আসন থেকে কাজী ফিরোজ রশীদ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন কিনা তাও ভাবে। তেমনিভাবে জাতীয় পাটির একজন সমর্থক ভাবে ঢাকা চার আসনে সৈয়দ আবু হোসেন (বাবলা) নৌকার প্রার্থীকে হারাতে পারবে কিনা। কারণ, আগের দুটি নির্বাচনে ওই আসনে নৌকার কোনও প্রার্থী ছিল না।

এমনকি তিনি এও ভাবেন, ঢাকা-১ আসনে সালমা ইসলাম কি হারাতে পারবেন সালমান এফ রহমানকে? বেশিরভাগ দলের সমর্থকদের একই অবস্থা। বাংলাদেশের মানুষ এই সময়ে বাংলাদেশের মানচিত্র মুখস্থ করে ফেলে। সব সংসদীয় আসন সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখে। বলা যায়, দেশের একজন কৃষকও বাংলাদেশ সম্পর্কে ভালো জানে। অন্তত এই সময়ে। কিন্তু কোনও কারণে কেউ যদি এই নির্বাচনের সঙ্গে নিজেকে কোনোভাবে সম্পৃক্ত না করে তবে সে পিছিয়ে যায়। সে আর নিজেকে সময়ের সঙ্গে গতিশীল রাখতে পারে না।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি হলেও ২০২৩ সালই প্রকৃতপক্ষে নির্বাচনের বছর। কারণ, ২০২৪ সালে সাত দিনের ব্যবধানে মানুষের চিন্তাচেতনা বদলে যাবে না। বেশিরভাগ মানুষ আগে থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করে রেখেছে কাকে ভোট দেবে। বিশেষ করে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে। মানুষ তাকেই বেছে নেবে যাকে সে চায়, যে তার এলাকার জন্য কাজ করবে; যাকে বিশ্বাস করা যায়। মানুষ এমন কাউকে নির্বাচিত করবেন না, যাকে বিশ্বাস করা যায় না; যারা গণতন্ত্র চায় না। বরং বাংলাদেশে গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার পথে তারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বারবার। যারা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষকে পুড়িয়ে মারে, যারা রেললাইনের স্লিপার উপড়ে ফেলে, যারা পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করে, যারা জনগণের জন্য ক্ষতিকর-তাদের মানুষ বিশ্বাস করে না।

বিএনপির অগণতান্ত্রিক পন্থাকে মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষ বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

একটি হিসাব পরিষ্কার করা যাক। বিএনপির চেয়ারপারসন সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং সরকারের দয়ায় কারাগারের বাইরে আছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনও সাজাপ্রাপ্ত, পলাতক আসামি এবং লন্ডনে বসে দল পরিচালনা করেন।

বাংলাদেশে বহু মানুষ এখনও বিএনপি করে। তাদের ভোট দেওয়ার জন্য একটি জায়গা দরকার ছিল। কিন্তু তারেক রহমান তার বা তাদের কথা ভাবেন না। তারেক রহমান বিএনপির নেতাকর্মীর কষ্ট কীভাবে বুঝবেন, তিনি তো দেশে থাকেন না। প্রতিটি দেশেই ভিন্নমত থাকবে। থাকাটাই স্বাভাবিক। না থাকাটা অস্বাভাবিক। বিএনপির সমর্থকদেরও সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা তাদের নেতা বদল করবেন নাকি দল বদল করবেন। কারণ, বিএনপির একজন কর্মীর কোনও কিছুর দায় তারেক রহমান নেবেন না। তারেক রহমান বাংলাদেশে না এলে বা নিজে ক্ষমতায় না যেতে পারলে আর কে ক্ষমতায় গেলো বা না গেলো তাতে তার কোনও কিছু আসে যায় না। বরং তারেক রহমানের ইশারায় বাংলাদেশে বিএনপির নেতাকর্মী যা করছে, করে চলেছে তাতে তারা আর কোনও দিন ক্ষমতায় আসা তো দূরের কথা, তাদের নাম মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষ ভোটের মাঠেই তার জবাব দেবে।

২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের ২৮ তারিখ তারা এক দফা দাবিতে মহাসমাবেশ করেছিল। সেই মহাসমাবেশ থেকে কিছু মানুষকে লাশে পরিণত করা ছাড়া তারা আর কিছু করতে পারেনি। বরং তারপর থেকে আজ অবধি তারা হরতাল ও অবরোধ দিয়েই যাচ্ছে, মানুষকে পুড়িয়ে মারার জন্য বাসে-ট্রেনে আগুন দিচ্ছে। মানুষ মারা যাচ্ছে। যারা বেঁচে যাচ্ছে তাদের জন্য জীবনটা অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

এই রাজনীতি বাংলাদেশের মানুষ চায় না। সময় বদলেছে। এখন বাংলাদেশের মানুষের চোখ অনেক দূরে। বাংলাদেশ ২০৩৭ সালে বিশ্বের ১৯১ দেশের মধ্যে ২০তম অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হবে- সেটা দেখতে চায়। তারা ২০৪১ সালে একটি সমৃদ্ধ-উন্নত-স্মার্ট বাংলাদেশ দেখতে চায়। তারা কেন এমন বিশ্বাসী হয়ে উঠলো? দুটি কারণে। বিএনপি-জামায়াত ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল এবং বাংলাদেশকে একটি জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। এখানে শায়খ আবদুর রহমান, বাংলাভাইয়ের জন্ম হয়েছিল। তারা একসঙ্গে ৬৩টি জেলায় গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়েছিল। সেই সময়ে আমরা দেখেছি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের মানুষের ওপর কত নির্মমতার প্রকাশ। তাদের বর্ণনাতীত অপশাসনের যুগে আবার ফিরে যেতে চায় না বাংলাদেশ।

২০০১ সালে বিতর্কিত নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে জয়লাভের ঠিক পরপরই তারা সারা দেশে শুরু করেছিল হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ওপর অকথ্য হামলা। ২৫ হাজারের বেশি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। পঙ্গু করেছিল হাজার হাজার নেতাকর্মীকে। ধর্ষণের শিকার হয়েছিল শত শত মা-বোন, এমনকি শিশুরাও তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। বাংলাদেশ আরেকটা নাসিরনগর দেখতে চায় না। বাংলাদেশ আরেকটা সাতক্ষীরা দেখতে চায় না। ২০১৪ সালের পেট্রোলবোমার কথা বাঙালি কোনোদিনও ভুলবে না। যার ক্ষত এখনও হাজার হাজার মানুষ বহন করছেন।

২৮ অক্টোবরকে কেন্দ্র করে বিএনপি গণঅভ্যুত্থানের কথা বলেছিল। ২৮ তারিখ আমরা দেখেছি। গণঅভ্যুত্থান হয়নি, হবেও না। তবে যে সংঘাত-সহিংসতা হলো তা অনাকাঙ্ক্ষিত, অবাঞ্ছিত, এ দেশের মানুষের কাম্য ছিল না। দেশের মানুষ শান্তি চায়। তারা সহিংসতা চায় না। লক্ষ করলে দেখা যাবে সংঘাতে যুক্ত ছিল রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। গণঅভ্যুত্থান শুধু নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী থাকলে হয় না। গণঅভ্যুত্থান করে জনগণ। সেদিন জনগণের কোনও সম্পৃক্ততা ছিল না। বিএনপি-জামায়াতের নিষ্ঠুর হামলায় পুলিশ বাহিনীর একজন সদস্য নিহত হয়েছেন। ডেমরায় দেখলাম বাসের ভেতর ঘুমন্ত একজন যাত্রীকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এই সহিংসতার দায় বিএনপিকে নিতে হবে। এর জন্য হয় বিএনপি নেতাদের অদূরদর্শিতা দায়ী, না হলে বলতে তাদের উদ্দেশ্যই ছিল সহিংসতায় জড়ানো। তাদের আন্দোলনটাই উত্তেজনা উদ্দীপক। কারণ, তারা সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল। ফলে তাদের আগেই বোঝা উচিত ছিল যে এ অবস্থায় সারা দেশ থেকে আসা এত বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে নয়াপল্টনের মতো উন্মুক্ত জায়গায় নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। পুলিশ তাদের বলেছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে। কিন্তু তারা রাজি হলো না। ফলে শেষ পর্যন্ত যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। সংঘাত-সহিংসতা করার নির্দেশও দল থেকে এসেছে। যেহেতু তারা সংলাপ চায় না, তাদের পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ বলতে হাতে ছিল হরতাল-অবরোধ। হরতাল-অবরোধ ডাকার একটা প্রেক্ষাপট প্রয়োজন ছিল। তারা সেটাই করেছে। তবে সহিংসতা, সংঘাতে জনসাধারণের সায় নেই। জনগণ শান্তি চায়। এজন্য তারা বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে একটি উন্নত রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের বিকল্প এখনও বাংলাদেশে তৈরি হয়নি। বিএনপি নির্বাচনে আসেনি বলে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না- এমন যারা ভাবে তাদের ২০১৪ সালের কথা একবার হলেও মনে করা উচিত। সে বছর কি নির্বাচন হয়নি? আওয়ামী লীগ কি ৫ বছর ক্ষমতায় থাকেনি? দেশের উন্নয়ন করেনি?

নতুন ভোটারদের বহুবিধ দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। তারা অনেক সচেতন। তারা প্রযুক্তির ব্যবহার জানে। তাদের রাজনৈতিক শিক্ষা অনেক পরিণত। তারা জানে জবাবদিহি কাকে বলে। তারা দেখছে বাংলাদেশের জিডিপি। জিডিপির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ কীভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ও জীবনযাত্রার মান অনেক বেড়েছে। এই অগ্রগতি উদীয়মান অর্থনীতির দৃষ্টান্ত হিসেবে বিশ্ব দেখছে। বিশ্ব যদি দেখে বাংলাদেশের মানুষ দেখবে না? আগামী নির্বাচন হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। মানুষ নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে উৎসব পালন করবে। বিএনপির নির্বাচনে না আসা এই নির্বাচনের জন্য কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে না।

আসুন সবাই ভোটকেন্দ্রে যাই এবং নিজের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করি।

লেখক: অধ্যাপক; বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ; সদস্য- বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন; পরিচালক, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড; সভাপতি, এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ;  প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি, আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন।

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
টিভিতে আজকের খেলা (২ মে, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (২ মে, ২০২৪)
ঘরের মাঠে পিএসজিকে হারিয়ে এগিয়ে থাকলো ডর্টমুন্ড
চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালঘরের মাঠে পিএসজিকে হারিয়ে এগিয়ে থাকলো ডর্টমুন্ড
ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয়দের পিটুনিতে একজনের মৃত্যু
ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয়দের পিটুনিতে একজনের মৃত্যু
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ