X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রুপতত্বঃ বাঙলা শব্দের ব্যাবচ্ছেদ: মধ্য প্রত্যয়

ডক্টর বেগম জাহান আরা
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২৩:০৮আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৬:২৪

বেগম জাহান আরা বাঙলা আমাদের মাত্রিভাশা। আমাদের প্রানের ভাষা। অস্তিত্বের ভাষা। পরিচয়ের ভাশা। রাশট্রিয় ভাশা। আমাদের চিন্তা চেতনা এবং আনন্দ বিরহের ভাষা। প্রেম এবং পরকিয়ার ভাষা। সোহাগ এবং শাসনের ভাষা। যুদ্ধ এবং শান্তির ভাষা। শোক এবং অনুতাপের ভাষা। এক কথায় বাঙলা ভাষা আমাদের পুরো নাগরিক সামাজিক পারিবারিক জিবন ও জিবনাচারকে ঘিরে রেখেছে পরম মমতা ও নিরাপত্তায়। এই ভাষায় কথা বলে আমরা নন্দিত আপ্লুত ত্রিপ্ত বিকশিত এবং ক্রমবিকাশমান। কিন্তু এই ভাশাকে আমরা চিনি না। ভালো করে বলতে পারি না। দেখতে চাই নি বাঙলাকে কখনও বিজ্ঞানের দ্রিশটি দিয়ে। বুঝতে চাইনি বাঙলা কতো সহজ ললিত এবং আধুনিক। বাঙলার শক্তি রুপ এবং কাঠামো কতো যুক্তিলগ্ন তাও জানতে চাইনি। কারন বাঙলাকে বিশ্লেশনই করিনি ভালো করে। প্রয়োজন মনে করি নি। ভেবেছি, মাত্রিভাশা নিয়ে কাজ করার কি আছে?শেখার বা ব্যাখ্যা করারই বা কি আছে? এটা কিন্তু ঠিক নয়।
বুঝমানদের এখনও প্রজন্মের উদ্দেশ্যে তাই শাশনের সুরে উচ্চারন করতে হয় যে, বাঙলা অক্ষরে বাঙলা বানান লেখতে হবে। বাঙলা ভাষার ব্যাকরন জানতে হবে। লেখতে হবে শুদ্ধ বানান। কিন্তু প্রজন্ম কি জানে, শুদ্ধ বানান কোনটা? ওরা খাঁটি বাঙলা ব্যাকরন হাতে পেয়েছে কি কখনও? উচ্চারনের সাথে বানানের মিল নেই দেখে বাঙলা বানান ওদের কাছে কঠিন লেগেছে। উচ্চারনানুগ বানান লেখতে গিয়ে নম্বর কম পেয়েছে পরিক্ষায়। ব্যাকরনের পাঠ মুখস্ত করতে গিয়েও কুল পায় নি। ভুল হয়েছে বার বার। অবশেশে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, মাত্রিভাশা হলেও বাঙলা খুবই কঠিন বিশয়। বানান আরও কঠিন। তাই প্রযুক্তি হাতে এবং বাগে এলে প্রজন্মের অনেকেই রোমান হরফে বাঙলা লেখা শুরু করেছে। সেখানে বানান নিয়ে কেউ কথা বলে না। মনের ভাব আদান প্রদানের কাজটা হয়ে যায় বেশ নিরাপদে (?)। সস্তি পায় তারা।
প্রজন্ম সজ্ঞার(ইনটুইশন)আলোকে বুঝতে পারে, বাঙলা বানানে  কোথাও একটা ঝামেলা আছে। ওরা পছন্দ করে না হ্রস্ব দির্ঘ ই বা উ-এর এলেবেলে ব্যাবহার। ওরা চায় না স/শ/ষ। চায় না ন/ণ এর বিরক্তিকর দাপট। উপমহাদেশের খ্যাতনামা বৈয়াকরনেরা বলে গেছেন, মুর্ধা ষ আর মুর্ধা ণ লুপ্ত হয়েছে প্রাচিন বাঙলাতেই। কিন্তু তাঁরা নিজেরা বানান থেকে বর্নগুলোকে বর্জন করেন নি। বরং স্রিশটি করে রেখে গেছেন এক বিশম দান্দিকিতা, বিভ্রান্তি। এই বিশয়গুলো নিয়ে এখন আমাদের শিরে সংক্রান্তি।

অন্যদিকে বাঙলা ব্যাকরনে(?)রুপতত্বের অধ্যায়ে শব্দরুপ বিশ্লেশন করতে গিয়ে বলা হয় বাঙলায় আছে উপসর্গ এবং প্রত্যয়। যাকে এক কথায় এফিক্স বলে ইংলিশে। ঐ সব ব্যাকরনে বলা হয়, বাঙলা ভাষায় মধ্যপ্রত্যয় নেই। আমি পন্ডিত ব্যাক্তিদের কাছেও শুনেছি, বাঙলায় মধ্যপ্রত্যয় নেই। সবই অন্ত প্রত্যয়। উপসর্গকে যদি আদিপ্রত্যয় বলি, তাহলে বাঙলা শব্দ কাঠামোতে আছে শুধু আদি আর অন্ত প্রত্যয়। বাঙলা ব্যাকরনে রুপ্তত্বের অধ্যায়ে এই ধারনাও দেয়া হয়নি যে, উপসর্গ এবং প্রত্যয়, দুটোই প্রত্যয়। শব্দ কাঠামোর সাথে তারা যুক্ত থাকে। একটা শব্দের আদিতে, অন্যটা অন্তে। নাম তাদের যাই থাক। ব্যাকরনে বিভক্তি আছে কারক পর্বে। সেই বিভক্তিও যে প্রত্যয়, এই ধারনা দেয়া নেই ব্যাকরনে। যেন বিভক্তি একটা আলাদা জাতের কিছু। সেটাকে কারক পর্বে প্রথমা, দিতিয়া, ত্রিতিয়া, চতুর্থি, পঞ্চমি, শশঠি বলে চিনতে হয়। সবচেয়ে সহজভাবে বলে দেয়া যায়, প্রত্যয় হলো হলো শব্দাংশ, যা শব্দের আগে, পরে বা মধ্যে বসে নতুন শব্দ গঠনে সাহায্য করে।

 প্রচলিত ব্যাকরনে আছে ক্রিতপ্রত্যয় এবং তদ্ধিতপ্রত্যয়। এখানেও ব্যাখ্যার অভাব আছে। ক্রিতপ্রত্যয় যুক্ত হয় ক্রিয়ার সাথে, আর তদ্ধিত প্রত্যয় যুক্ত হয় শব্দের সাথে। আসলে ‘শব্দ’ই যে ক্রিয়ামুল এবং শব্দমুল দুটোই, সে ধারনাটাও দেয়া নেই রুপতত্ব অধ্যায়ে। এই পর্যায়ের পাঠে মধ্যপ্রত্যয়ের ধারনাই ছেলেমেয়ে পায়নি। সেটাই সাভাবিক। কিন্তু তা বলে বাঙলা শব্দের রুপ কাঠামোতে মধ্য-প্রত্যয়ের অস্তিত্বকে নাকচ করা যায় না। এটা নিয়ে তর্কেরও কোনো অবকাশ নেই। বিশ্লেশন করলে সাদা চোখেই দেখা যায় মধ্যপ্রত্যয়গুলো। বোঝানোর জন্য কয়েকটা শব্দ এবং ক্রিয়াবাচক শব্দের কাঠামো বিশ্লেশন করে দেখানো যেতে পারে। যেমনঃ

১) মানুশটাকে = মানুশ+টা+কে

২) সবগুলোরই = সব+গুলো+র+ই

৩) বসেছিলাম = বস+এছি+ল+আম

৪) বসতাম   = বস+ত+আম

 ১-এর শব্দে আছে = শব্দ+নির্দেশক প্রত্যয়+কর্মবাচক প্রত্যয়

২-এর শব্দে আছে = শব্দ+বহুবচন প্রত্যয়+জোরবাচক প্রত্যয়

৩-এর শব্দে আছে = বস+এছি+ল+আম

৪-এর শব্দে আছে = বস+ত+আম

১-শব্দ কাঠামোতে ‘টা’ মধ্যপ্রত্যয়

২-শব্দ কাঠামোতে ‘গুলো’ এবং ‘র’ হলো মধ্যপ্রত্যয়।

৩-শব্দ কাঠামোতে ‘এছি’ এবং ‘ল’ মধ্যপ্রত্যয়

৪-শব্দ কাঠামোতে ‘ত’ মধ্যপ্রত্যয়

সবগুলো প্রত্যয়েরই স্পশট ব্যাখ্যা আছে। শব্দের প্রত্যয়গুলো বেশি স্পস্ট। ক্রিয়াবাচক শব্দে ‘ল’ হলো অতিতকাল বাচক প্রত্যয়। এই ‘ল’ প্রত্যয় ছাড়া অতিতকালের রুপ নির্মান করাই যায় না। আর প্রত্যয় ‘র’ হল সম্বন্ধবাচক প্রত্যয়। প্রত্যয় ‘ত’ হল নিত্যব্রিত্ত অতিতকালের প্রত্যয়। এই ‘ত’ প্রত্যয় ছাড়া নিত্তব্রিত্ত অতিতকালের রুপ গঠনই সম্ভব না। অন্তপ্রত্যয় ‘আম’ হলো ব্যাক্তিবাচক প্রত্যয়। পুরো শব্দের রুপ কাঠামোতে প্রত্যেকটা প্রত্যয়ের অবস্থান এবং পরিচয় বিশ্লেশন করে দেখানো যাচ্ছে। এবং স্পশট দেখা যাচ্ছে যে সবগুলো শব্দের কাঠামোতেই আছে মধ্যপ্রত্যয়। ‘সবগুলোরই’ শব্দে  আছে দুটো মধ্যপ্রত্যয়।

বাঙলা শব্দ ও ক্রিয়া রুপকাঠামোর বৈশিশট হলো, প্রত্যয়গুলো মুল শব্দরুপের সাথে এমন ভাবে যুক্ত হয়ে যায় যে, দেখলে মনে হয় একটা অবিচ্ছিন্ন শব্দ। অথচ বিশ্লেশন করলে সমস্ত প্রত্যয়ের নাম এবং পরিচয় দেখানো যায় বিশ্লিশট ভাবে। তারপরেও কি করে বলা যায় যে, বাঙলায় মধ্যপ্রত্যয় নেই? কি করেই বা মধ্য- প্রত্যয়ের নাম পরিচয় এবং অবস্থানকে নাকচ করা যায়? বি্জ্ঞানলগ্ন এবং দ্রিশ্যমান এই অংক একদিন ব্যাখ্যা করা হয়নি, কারন ভাশাবিজ্ঞান বিশয় তখনও বিকশিত হয়নি। কিন্তু এখন সে কথা খাটে না। তাই বাঙলা ভাষায় শব্দের রুপ কাঠামোর অন্তর্গত যে অংক এক সময় ছিলো আমাদের অজানা, তাকে কোনোদিন   ব্যাখ্যা করা হবে না, একথা খুব বেঠিক। আমাকে অনেক সময় এই বেঠিক কাজটার জন্য অনেক বেঠিক কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু আমি নাছোড়বান্দা। বিজ্ঞানের সত্যের কাছে আমি অনুগত। অন্য মত থাকতেই পারে। আমি তো জানতে চাইই সেগুলো। তবে তার থাকতে হবে বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা। গাজোয়ারি মানতে একেবারেই নারাজ আমি।

সপ্তা খানেক আগে কোলকাতার এক গবেশকের সাথে আলাপ হলো। তিনি সাঁওতালি ভাষার মধ্যপ্রত্যয় নিয়ে কাজ করছেন জানালেন। আমি বললাম, আমরা তো বাঙলার মধ্যপ্রত্যয় নিয়েও কাজ করতে পারি। উনি বললেন, বাঙলায় তো ইনফিক্স নেই। বললাম, ভুরি ভুরি আছে। শুধু একটা নয় একাধিক মধ্যপ্রত্যয় আছে। উদাহরন দিলাম। বললেন, ডিরাইভ করার সময় শব্দ গঠন ঐরকম হয়ে যায়। অবাক হলাম এই নিশ্চিন্ত এবং বাঙলা সম্বন্ধে গাছাড়া উত্তর শুনে।

বললাম, উতপত্তি থেকে বুতপত্তিজাত শব্দ(ডেরিভেশন)গঠনের সময় নানা পরিচয়ের প্রত্যয় যুক্ত হয় বলে সাধিত শব্দের চেহারা ঐরকম হয়ে যায়। সেই প্রত্যয় ব্যাখ্যা করলে মধ্যপ্রত্যয় পাওয়া যায় স্পশট।

যুক্তিতে এগোতে পারলেন না বটে তবে প্রসন্ন মনে মেনে নিতেও পারলেন না। শুধু বললেন, বাঙলা শব্দের মধ্যপ্রত্যয় নিয়ে ভাবিনি কোনোদিন। ভাবতে হবে বিশয়টা। যে বিশয় আমার কাছে পানির মতো সহজ, একজন গবেশক, যিনি সাঁওতালি ভাষার মধ্যপ্রত্যয় নিয়ে কাজ করছেন, তিনি বলছেন, ভাবতে হবে বিশয়টা। তার মানে, বাঙলা নিয়ে গবেশনা করার কথা উনি ভাবেন নি। একই  অবস্থা আমাদের এখানেও। বাঙলা সম্বন্ধে গবেশনা করার কথা এখনও প্রাধান্য পায়নি। ঐ যেমন আছে তেমন থাক ভাব প্রকাশ করেন গবেশকেরাই।

বাঙলা মধ্যপ্রত্যয় সম্বন্ধে জানতে চেয়েছি প্রফেসর রফিকুল ইসলাম স্যার এবং প্রফেসর আবুল কালাম মনজুর মোর্শেদ স্যারের কাছে। তাঁরা বলেছেন, বাঙলায় মধ্যপ্রত্যয় খুঁজে পান নি। আমি বলার চেশটা করেছি, কিন্তু বোঝাতে পারিনি। পারিনি তাঁদের স্থিত ধারনাকে বদল করতে। বিশয়টা নিয়ে কোথাও কিছু বলার সুযোগও কেউ দিতে চান না। কশট পাই মনে মনে।

তারপরে কথা বললাম প্রফেসর মন্সুর মুসা এবং প্রফেসর দানিয়ুল হকের সাথে। এঁরা দুজনেই বললেন, মাঝে মাঝে বাঙলা শব্দে মঘ্যপ্রত্যয় পাওয়া যায়। একজন সন্সক্রিত শব্দ, অন্যজন বাঙলা ক্রিয়ার কথা বললেন। মনে হলো, প্রশ্নটা এই প্রথম শুনলেন তাঁরা। কিন্তু একটু দেখে এবং ভেবে ইতিবাচক উত্তর দিয়েছেন। তাতেই আমি খুশি। কারন যে কোনো নতুন কাজে চিন্তার সমর্থন পেলে সাহস বাড়ে।

শব্দতত্ব তথা রুপতত্ব পর্বের আর একটা মতান্তরের উল্লেখ করতে চাই এখানে। সেটা হলোঃ সর্বনাম ‘সে’-কে হুমায়ুন আজাদ বলেছেন, বহুবচনে এই ‘সে’ বিমুর্ত। মানে ‘সে’ যখন প্রত্যয় গ্রহন করে তখন তার রুপ পাওয়া যায় না। বিমুর্তরুপে তাকে ধরে নিতে হয়। যেমনঃ

সে > তা+র / তা+কে / তা+দের / তা+দেরকে। স্পশটই দেখা যায় যে, ‘সে’ সর্বনাম প্রত্যয় গ্রহনের সময় বিকল্প (সাবস্টিটিউশন) রুপ ধারন করে। কাজেই তাকে বিমুর্ত না বলে বিকল্প বলা যায়। অর্থগতোভাবে বা দ্রিশ্যগতোভাবে যাকে দেখা যায়, তাকে বিমুর্ত বলা সঙ্গত নয় বলে আমি মনে করি।

তবে ‘আমি তুমি তুই আপনি তিনি ’ সর্নামের সবগুলো রুপেরই  রুপ বদলে যায় প্রত্যয় গ্রহনের সময়। সেটা ‘সে’ থেকে তা-এর মত সাবস্টিটিউশন না, শুধুই বস্তুগতো কিছু গ্রহনের জন্য একটা নিজস্ব শারিরিক পরিবর্তনগতো প্রস্তুতি। এই রুপকে আমি বলেছি ‘ক্রান্তিকালিন’(অবলিক)রুপ। এই ক্রান্তিকালিন রুপের ব্যাবহারও আছে সাহিত্যে, বিশেশ করে কবিতায়। যেমনঃ

আমি   > আমা+র / আমা+কে

তুমি   > তোমা+কে / তোমা+দের

তুই    > তো+র / তো+কে 

আপনি  > আপনা+কে / আপনা+দের

তিনি   > তাঁ+কে / তাঁদের

আমা পানে, তোমা পানে, আপনা ভুলিয়া, ইত্যাদি বদলে যাওয়া রুপগুলো কবিতায় দেখি এবং গানে শুনতে পাই। চর্যাপদে ‘তো মুহ চুম্বি’ চরন দেখেছি। কিন্তু আধুনিক বাঙলা তথা প্রমিত বাঙলায় সর্বনামের ‘তো’ রুপ পাওয়া যায় না। কিন্তু ‘তো’-এর ব্যাবহার আছে একটা শব্দ হিসেবে। এই ‘তো’-র ব্যাপক ব্যাবহারও করি আমরা। কখনও বলি ‘অর্থহিন প্রত্যয়’। কখনো প্রশ্নবাচক প্রত্যয় বা ভাববাচক প্রত্যয়ও বলি। আবার ‘তা’ যে শুধু ‘সে’ সর্নামের বিকল্প শব্দ তাই নয়, ‘তা’ একটা প্রত্যয়ও।

ক্রান্তিকালিন শব্দাংশের সাথে শুধু প্রত্যয় যুক্ত হয় না, এই বদলে যাওয়া রুপের পরে বসে অনুসর্গ অব্যয়। করন কারকে যেটা পাওয়া যায়। যেমনঃ ‘আমা/তোমা/আপনা/তা দারা/দিয়ে/হতে/ কর্ত্রিক’ এমন কাজ হতে পারে না।

বাঙলা ব্যাকরনে শব্দরুপের অধ্যায়ে শব্দ ব্যাবচ্ছেদ থাকা একান্তই প্রয়োজন। সেখানে প্রত্যয় বা শব্দাংশের, যেমন, আদ্য, মধ্য, অন্ত প্রত্যয়ের নাম পরিচয় এবং অবস্থান সম্বন্ধে পরিচ্ছন্ন ব্যাখ্যা দিয়েই করতে হবে আলোচনা। থাকতে বদ্ধ এবং মুক্ত প্রত্যয় সম্বন্ধে বিশদ ব্যাখ্যা। দায় নিয়ে বলতে চাই, প্রচলিত বাঙলা ব্যাকরনে প্রক্রিতি প্রত্যয় পর্বে এতোকাল যা লেখা হয়েছে, যেমন করে পড়ানো হয়েছে এবং মুখস্ত করানো হয়েছে প্রজন্মদের, তার অধিকাংশই বাঙলা ব্যাকরনের বিশয় নয়। মনে রাখতে হবে এবং মানতে হবে, ভাষা বিজ্ঞানের বিদ্যাকে প্রয়োগ না করলে খাঁটি বাঙলা ব্যাকরন রচনা করা সম্ভব না।

[প্রমিত বাঙলা বানানের দায় লেখকের]

সাবেক প্রফেসর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক
‘শো মাস্ট গো অন’
চিকিৎসা সুরক্ষা আইন জরুরি‘শো মাস্ট গো অন’
ছাদে আম পাড়তে গিয়ে নিচে পড়ে শিশুর মৃত্যু
ছাদে আম পাড়তে গিয়ে নিচে পড়ে শিশুর মৃত্যু
বেয়ারস্টো-শশাঙ্কে হেসেখেলে ২৬২ রান করে জিতলো পাঞ্জাব
বেয়ারস্টো-শশাঙ্কে হেসেখেলে ২৬২ রান করে জিতলো পাঞ্জাব
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ