X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদের ভরসা

আমীন আল রশীদ
৩০ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:৪৯আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:৫২

আমীন আল রশীদ দখিনের ছোট্ট জেলা শহর ঝালকাঠির কীর্তিপাশা বাজারের একটি চায়ের দোকান। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে স্থানীয় মানুষেরা কথা বলছেন। আলোচনায় জাতীয় নির্বাচন তো বটেই, কী কী বিষয় নিয়ে ফেসবুকের ওয়াল আজ  উত্তপ্ত—বাদ যাচ্ছে না তাও। এদের একজনের মন্তব্য: ‘পত্রিকার খবরই বিশ্বাস করি না, তার ওপর ফেসবুক’।
এর কিছু দিন আগে ‘বাংলাদেশের ৫৬ শতাংশ মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের খবর বিশ্বাস করে না’—গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে এরকম একটি সংবাদের নিচে একজন পাঠকও প্রায় একইরকম মন্তব্য করেন: ‘যেখানে টেলিভিশনের খবরই বিশ্বাস হয় না, সেখানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের খবর আমি কী করে বিশ্বাস করি!’
চায়ের দোকানে একজন প্রান্তিক মানুষের এই সরল মন্তব্য কিংবা পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে সংবাদের নিচে মন্তব্য কলামে একজন পাঠকের এই প্রতিক্রিয়া পুরো গণমাধ্যমকেই যে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায় তা হলো, সংবাদ বা সংবাদমাধ্যমের ওপর মানুষের ভরসা বা আস্থা ও বিশ্বাস কি কমে যাচ্ছে?

গণমাধ্যমের ওপর মানুষের আস্থাহীনতা নানা কারণেই তৈরি হয়েছে। এর একটি কারণ অনলাইন সংবাদপত্রের নামে অপেশাদার, কুরুচিপূর্ণ আর ধান্দাবাজি অনেক পোর্টালের ছড়াছড়ি। এতদিন সংবাদের কপি-পেস্টের কথা শোনা গেলেও এখন বাংলা ট্রিবিউন, প্রথম আলো বা বিবিসির মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটও হুবহু নকল করা হচ্ছে এবং সাদাচোখে দেখলে আসল ও নকলের ভেদ বোঝা কঠিন। ফলে এসব নকল সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ও ভুয়া সংবাদ পড়ে সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র সম্পর্কে মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। ফলে এটি এখন সাংবাদিকতার একটি নয়া বিপদ বা উৎপাত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সমস্যা হলো, পেশাদার অনলাইন পত্রিকাগুলোর সংবাদ ও ওয়েবসাইট নকল করে চটকদার শিরোনাম দিয়ে প্রকাশ করা হয় এবং সেটির লিংক দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কিন্তু চট করে দেখে বোঝার উপায় থাকে না যে এটি নকল ওয়েবসাইট। ফলে সেসব সংবাদ নিয়ে শুরু হয় কাড়াকাড়ি, হৈচৈ। অনেকেই এসব খবর বিশ্বাস করেন।

বলা হয়, তিন ধরনের মানুষকে মাথায় রেখে এ ধরনের ফেক নিউজ বা ভুয়া সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করা হয়। ১. যারা খবরটি নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে, ২. যারা খবরটি পড়ে মজা পায় কিন্তু সব সময় বিশ্বাস করে না এবং ৩. যারা খবরটি পড়ে বিশ্বাস করে। ফলে এ বিষয়ে এখন সন্দেহ কম যে, এবার জাতীয় নির্বাচন রেখে এই ফেক নিউজ বা ভুয়া খবরের দৌরাত্ম্য আরও বাড়বে। এসব খবর কত শতাংশ মানুষ পড়বে এবং বিশ্বাস করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, ১০ জন মানুষও যদি ভুয়া খবর বা প্রোপাগান্ডায় কান দেয়, সেটিও অপরাধীদের জন্য এক ধরনের বিজয় এবং সেটি মূলধারার পেশাদার গণমাধ্যমের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। তাছাড়া ভুয়া তথ্য দিয়ে অনেক সময় জনমত পরিবর্তন করা যায় বলেও মনে করা হয়। আমাদের দেশেও যে গুজব বা ভুয়া খবর রটিয়ে কী ভয়াবহ বিপদ তৈরি করা যায়, তার বড় উদাহরণ নিরাপদ সড়কের দাবিতে সাম্প্রতিক কিশোর আন্দোলন। গুজব ছড়িয়ে এই আন্দোলনকে সহিংস পথে নিয়ে যাওয়া এবং একপর্যায়ে পুরো আন্দোলনটিকে বিতর্কিত করা হয়েছে এই গুজব ছড়িয়ে।

তবে আশার সংবাদ হলো, সম্প্রতি এমন একজন তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যিনি দেশ-বিদেশের নামকরা সংবাদমাধ্যমের হুবহু নকল ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্যবসা করে আসছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় গবেষণারত ওই তরুণের নাম এনামুল হক। রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে তাকে আটকের পর র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এনামুল হক ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে বৃত্তি পেয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় পিএইচডি গবেষণায় চলে যান। তবে গবেষণার চেয়ে তার মনোযোগ ছিল কীভাবে নকল সাইট তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। নকল সাইট তৈরিতে তার সঙ্গে বাংলাদেশ, কোরিয়া ও ইতালিতে বিশাল একটি চক্র রয়েছে। র‌্যাব জানায়, এনামুল বিভিন্ন পত্রিকা নকল করে উদ্দেশ্যমূলক মনগড়া নিউজ করতেন। ইন্টারনেট ছিল তার প্রধান মাধ্যম। দীর্ঘদিন এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে তিনি দেশ-বিদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতেন। এনামুল হক কোরিয়ায় বসে বাংলা ট্রিবিউন, বিবিসি বাংলা, প্রথম আলো, কালের কণ্ঠসহ অন্তত ২২টি খ্যাতনামা গণমাধ্যমের ওয়েবসাইট নকল করার কথা স্বীকারও করেন।

২.

গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা বা আস্থার সংকটের একটি বড় কারণ সেখানে সমাজ ও রাষ্ট্রের সব প্রান্তের সব মানুষের ভাবনা ও মতের প্রতিফলন থাকে না। এটি খুব সাধারণ অভিযোগ যে, মূলধারার গণমাধ্যম কেবল তাদের বিজ্ঞাপন ও রাজনৈতিক আদর্শের স্বার্থে যতটুকু প্রয়োজন—সেভাবেই তথ্যকে ‘কাস্টমাইজ’ করে পাঠক, দর্শক ও শ্রোতার সামনে উপস্থাপন করে। ফলে একই সত্য একেক সংবাদমাধ্যমে একেকভাবে হাজির হয়। কিন্তু সত্য তো শাশ্বত। তার রূপ অভিন্ন হওয়ারই কথা। কিন্তু আমাদের গণমাধ্যমে সত্যের রূপ এখন বিবিধ।

গণমাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য নানাবিধ উদ্যোগও ছিল এবং আছেও। যেমন, একসময় পত্রিকায় মানুষ প্রচুর চিঠি লিখে তাদের মতামত বা সমস্যার কথা জানাতেন। এখন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে সংবাদের নিচে পাঠকের মন্তব্য কলাম রয়েছে। রেডিওতে শ্রোতারা এসএমএস করেন কিংবা ফোনে যুক্ত হন। টেলিভিশনের অনুষ্ঠানেও দর্শকরা টেলিফোনে যুক্ত হন। তবে মানুষের সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ গণমাধ্যমের অনলাইন সংবাদ ও টেলিভিশনের ভিডিও লিংকে। এসব খবর পড়ে ও দেখে মানুষ তাদের প্রতিক্রিয়া জানান। ফলে যেসব সংবাদ নিয়ে ফেসবুক তোলপাড় হয়, অনুসন্ধান করে দেখা যায় তার অধিকাংশ খবরেরই সত্যতা নেই। কারণ, সংবাদগুলো কোনও প্রতিষ্ঠিত ও পেশাদার সংবাদমাধ্যমে আসেনি।

তবে শুধু সংবাদপত্র নয়, টেলিভিশনের টিকার বা স্ক্রল হুবহু নকল করে প্রচার করার ঘটনাও ঘটেছে। বলা হয় একশ’ শব্দের চেয়ে একটি ছবি অনেক বেশি শক্তিশালী। যে কারণে মানুষ টেলিভিশনে যা দেখে সেটি বিশ্বাস করতে চায়। অথচ এই টেলিভিশনের স্ক্রল বা টিকারও হুবহু নকল বা কপি করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

সম্প্রতি টিভির স্ক্রলে প্রচারিত সংবাদ ও ভিডিও সম্পাদনা করে ভুয়া সংবাদ তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর কলাবাগান থানায় সাধারণ ডায়রি করে সময় টেলিভিশন। এতে অভিযোগ করা হয়, কিছু প্রতারকচক্র সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য পরিকল্পিতভাবে সময় টিভির লোগো ও নাম ব্যবহার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। সাধারণ ডায়রির সঙ্গে প্রমাণ হিসেবে মূল সংবাদ ও ভুয়া সংবাদ উভয়ের প্রিন্ট ও ভিডিও কপি দেওয়া হয়। সময় টিভির প্রচারিত মূল সংবাদটি ছিল ‘বাংলাদেশে সব পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের’। এই খবরটিকে সম্পাদনা করে বানানো হয়েছে, ‘বাংলাদেশে নিজস্ব পর্নো সাইট খোলার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট’।

 ৩.

গণমাধ্যমের সাথে মানুষের সম্পৃক্ততা বাড়াতে একসময় সিটিজেন জার্নালিজম বা নাগরিক সাংবাদিকতার ধারণার উদ্ভব হয়। কারণ, যখন যেখানে ঘটনা ঘটে, সব সময় সবখানে সাংবাদিক উপস্থিত নাও থাকতে পারেন। ফলে যেখানেই ঘটনা ঘটুক না কেন, সাধারণ মানুষই তখন তার মোবাইল ফোনে ছবি তুলে কিংবা তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটি লিখে সংবাদমাধ্যমে পাঠাবেন। কিন্তু এই সিটিজেন জার্নালিজমের নামেও মাঝেমধ্যে এমন সব ঘটনার সংবাদ শোনা যায়, যা মূলধারার পেশাদার সংবাদমাধ্যমের দায়িত্বশীলতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সিটিজেন জার্নালিস্ট হতে গিয়ে অনেকে নিজের মতো তথ্য পরিবেশন করেন। আবার সংবাদ সম্পর্কে প্রাতিষ্ঠানিক ধারণা না থাকার ফলে  তিনি অনেক সময়ই বোঝেন না, কোনটি সংবাদ আর কোনটি সংবাদ নয়। এখন ‘ইমার্সিভ জার্নালিজমের’ কথাও শোনা যাচ্ছে। এটিও এক ধরনের নাগরিক সাংবাদিকতা—যেখানে নাগরিকই ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একজন পেশাদার সাংবাদিকের ভূমিকা পালন করবেন। কিন্তু এটিও শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকতাকে কতটা এগিয়ে নেবে বা গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস কতটা ফিরিয়ে আনতে পারবে, তা এখনই বলা মুশকিল।

তবে এটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে, ভুল, বিভ্রান্তিকর আর ভুয়া সংবাদের কারণেই শুধু নয়, বরং মূলধারার কিছু কিছু সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণ ও পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণেও জনগণের আস্থা হারানোর কারণ হয়। সংবাদমাধ্যমকে সমাজের আয়না বলা হলেও সব বস্তুর প্রতিফলন সেখানে সমানভাবে হয় না। তাদের ওপর নানারকম চাপ যেমন থাকে, তেমনি থাকে স্বার্থের দ্বন্দ্ব।

একজন সাংবাদিক অবশ্যই রাজনীতি সচেতন মানুষ। তিনিও একজন ভোটার। পছন্দের প্রতীক ও ব্যক্তিকে ভোট দেওয়া এবং পছন্দের দলের প্রতি তার পক্ষপাতও দোষের নয়। কিন্তু সেই পক্ষপাতের মানে যদি এই হয় যে, তিনি কোনও একটি দলের সদস্য হবেন, তিনি কোনও একটি দলের কোনও কমিটির সদস্য হবেন, তখন তার পক্ষে আর সাংবাদিকতার প্রথম ও প্রধান যে শর্ত—নিরপেক্ষতা বজায় রাখা, কোনোভাবেই সম্ভব নয়। একজন সাংবাদিকের যদি নিরপেক্ষতাই না থাকে, তাহলে তিনি নিজেকে সাংবাদিক বলে দাবি করতে পারেন কিনা? আর সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমগুলোর এই দলীয়প্রীতি, আনুগত্য এবং পক্ষপাত যখন যদি ক্রমশ বাড়তেই থাকে, তখন কীর্তিপাশা বাজারের চায়ের দোকানে বসে যে মানুষটি বললেন, পত্রিকার খবরই বিশ্বাস করি না—তার প্রতি রুষ্ট হওয়ার কোনও কারণ থাকে না।

২০১৪ সালের নভেম্বরে ঢাকায় একটি মতিবিনিময় সভায় কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিক মন্তব্য করেন, বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতাই পারে একটি গণমাধ্যমকে সাধারণ মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করতে। কোনও পত্রিকা ভালো সাংবাদিকতা করলে তার ব্যবসাও ভালো হবে। তবে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ছাপা পত্রিকার পাশাপাশি অনলাইনকে এগিয়ে নিতে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে।

ওই সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত প্রখ্যাত সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার। তিনি বলেন, গণমাধ্যম একসময় প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে বিবেচিত হতো। এখন সেভাবে হচ্ছে না। আগে যারা সাংবাদিকতায় আসতেন, তাদের দেশের প্রতি, মানুষের প্রতি এক ধরনের অঙ্গীকার ছিল। কিন্তু এখনকার সাংবাদিকেরা নিজের ক্যারিয়ার নিয়েই ব্যস্ত। মি. নায়ার আরও বলেন, ভালো পত্রিকার জন্য যেমন যোগ্য সম্পাদক প্রয়োজন, তেমনি দরকার ভালো মালিকের।

একজন পাঠকের মন্তব্য দিয়ে লেখাটা শুরু করেছিলাম। শেষ করছি আরেকজন পাঠকের মন্তব্য দিয়ে।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত খবরের বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কিত ওই সংবাদের আরেকজন পাঠক লিখেছেন, সংবাদমাধ্যমকে আরও দক্ষ ও সৎ হতে হবে। নিজের সততাকে অন্যের কাছে বিক্রি করা যাবে না। কারোর হুমকিতে নত হওয়া যাবে না।

লেখক: সাংবাদিক।

 

/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক হলেও গাজায় আগে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক হলেও গাজায় আগে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চুয়েট, হলে থাকতে পারবেন শিক্ষার্থীরা
৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চুয়েট, হলে থাকতে পারবেন শিক্ষার্থীরা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ