X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে বিভ্রান্তি আছে, কিন্তু ভয়টা অমূলক নয়

মাসুদা ভাট্টি
২৬ এপ্রিল ২০১৬, ১৪:১৯আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০১৬, ১৪:২৬

মাসুদা ভাট্টিএতোদিন অনেকেই বলতেন, বিশেষ করে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হতো, আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে খাটো করার জন্যই দেশে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে। কিন্তু এখনকার বাস্তবতা হলো- পৃথিবীতে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই পরিচিতি লাভ করেছে ব্লগার হত্যাকারী দেশ হিসেবে এবং এখানে মুক্তচিন্তাকে ধর্মের চাপাতি দিয়ে হত্যা করছে সন্ত্রাসীরা। এতে সরকারের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ, কারণ সরকার নাগরিকের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
ওপরের এই বক্তব্য প্রতিটি বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সার সংক্ষেপ মাত্র। কখনও কখনও সচেতন বিদেশিরা ব্যক্তিগত পরিচয়ের সূত্রে জিজ্ঞেস করেন, বাংলাদেশে আসলে হচ্ছেটা কী? উত্তরটা তারা জেনেই এ প্রশ্ন করেন। কারণ, আমরা দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশে একের পর ‘সমান্তরাল চিন্তার’ (ইউরোপে এদেরকে অ্যাকটিভিস্ট/অল্টারনেটিভ ইত্যাদি নানা নামে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে) মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে সাধারণ জনগণও হয়ে উঠছে ক্রমশ নিরাপত্তাহীন। সমান্তরাল চিন্তার মানুষদের হত্যাকারীরা হত্যার পরে নিজেদের পরিচয় জানান দিচ্ছে বলে কখনও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, কখনও বা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা আমাদেরকে জানান।
অপরদিকে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চিত্র আমাদের দেখিয়ে দেয়, আসলে কেউই আর নিরাপদে নেই, মানুষের জীবনকে জিম্মি করে কোনও এক অদৃশ্য শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চাচ্ছে। এ কথা এ কারণেই বলা যে, এর আগেও আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার ঘটনা ঘটতে দেখেছি।
আরও পড়তে পারেন: থামো মতিহার

এরই মধ্যে, বিগত পহেলা বৈশাখের দিন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য চাপাতিওয়ালা খুনীদের উৎসাহিত করবে। কারণ তিনি বলেছেন, ‘ধর্মের বিরুদ্ধে যারা লেখেন তাদের খুন করা হলে সে দায় সরকার নেবে না।’ আমি প্রধানমন্ত্রীর সেদিনের বক্তব্য খুঁটিয়ে পড়ার চেষ্টা করলাম কয়েকটি পত্রপত্রিকায়। এর মধ্যে একটি অনলাইন পত্রিকায় দেখলাম, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিশদ লিখেছে, আর অনেকগুলোই প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতাকে কাট্ছাট্ করে যা তারা বলতে চান সেটুকু প্রকাশ করেছেন। আমি পহেলা বৈশাখে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার একটি দীর্ঘ সংবাদের উদ্ধৃতি দিতে চাই এখানে, যা একটি অনলাইন পত্রিকা থেকে নিয়েছি: 

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একজন মুসলমান হিসেবে আমি প্রতিনিয়ত ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলি। সেটি নিয়ে যদি কেউ লেখে, তাহলে আমার নিজের কষ্ট হয়। আর এই লেখার জন্য কোনও অঘটন ঘটলে সেটি সরকারের ওপর আসবে কেন? সবাইকে সংযম ও শালীনতা বজায় রেখে অসভ্যতা পরিহার করতে হবে। ধর্মের নামে যারা মানুষ খুন করে, তাদের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ খুন করার মধ্যে সমস্যার সমাধান নেই। একজন লিখল, আরেকজন খুন করে প্রতিশোধ নেবে এটিও তো ইসলাম ধর্ম বলেনি। তিনি বলেন, বিচার তো আল্লাহই করবেন। আল্লাহই তো বলে দিয়েছেন, উনিই শেষ বিচার করবেন। যাদের আল্লাহর ওপর ভরসা নেই তারাই এই খুন-খারাবি করতে চায়। কারণ তারা আসলে আল্লাহ ও আল্লাহর রসুল (স.) মানে না। তারা নিজেরাই আল্লাহর কাজ করতে চেষ্টা করে, এটি তো শিরক। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের বিরোধিতাকারীদের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা আদৌ কোনও ধর্ম পালন করেন কিনা, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে তো বহু পার্বণ আছে। আমরা ঈদ করি, সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পহেলা বৈশাখও উদযাপন করি। এখানে বাধা দেওয়ার কিছু নেই। যারা নিষেধ করে, তারা কেন করে তা আমি জানি না। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের বিরোধিতাকারীদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি নিয়ে অনেকেই অনেক রকম মন্তব্য করার চেষ্টা করে। কেউ বলে এটি হিন্দুয়ানি। আমরা মুসলমান হলেও বাংলাদেশে বাস করি। আমরা তো বাঙালি। কারণ বাঙালি হিসেবে যুদ্ধ করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। আমরা বাঙালি হলে যে মুসলমান হতে পারব না, এ রকম তো কোনও কথা নেই। ধর্মের কোথায় লেখা আছে? বাংলাদেশে জাতিগত সাংস্কৃতিক উৎসব পালনের বিরোধিতাকে দুর্ভাগ্যজনক মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের খুবই দুর্ভাগ্য যে, আমাদের একেক দল একেক রকম করে কথা বলতে শুরু করে। সবাই নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে এ দেশে ধর্ম পালন করে থাকে। একটা সহনশীলতা নিয়ে আমরা বসবাস করব, যেন আমাদের দেশে শান্তি বজায় থাকে। সবচেয়ে বড় কথা শান্তি। কারণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছাড়া কখনও উন্নতি হয় না। তিনি বলেন, দেশে শান্তি আছে বলেই প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে এবং এই পহেলা বৈশাখে একেবারে গ্রামপর্যায়ে নববর্ষ উদযাপিত হচ্ছে। ইসলাম ধর্মে সহনশীলতার শিক্ষার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ধর্ম আমরা সবাই পালন করি। আর ইসলাম ধর্মেই নির্দেশনা আছে যে, যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। এখানে কারো ধর্মের ওপর আঘাত দেওয়ার কথা তো বলা হয়নি। নবী করিম (সা.) তো বলেই গেছেন যে, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না”।

আরও পড়তে পারেন: কোপাকুপির আতঙ্কে কাঁপছে দেশ

ওপরের এই দীর্ঘ উদ্ধৃতির পরে কি কারও কোনও সন্দেহ আছে, প্রধানমন্ত্রী কোনওভাবেই ধর্মের নামে বের হওয়া চাপাতিবাজদের উস্কে দিতে পারেন না বা তিনি দেননি? যদি না থাকে তাহলে আসুন, বিষয়টি নিয়ে আরেকটু কথা বলি। বাংলাদেশ একটি মুসলিম রাষ্ট্র নাকি বাংলাদেশ একটি সেক্যুলার রাষ্ট্র তা নিয়ে আমরা যারা বিতর্কবাজ, তারা বিতর্ক করতে পারি। কিন্তু আমাদের এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই যে কোনও আলোচনা এখন করা উচিত। বাংলাদেশ বদলে গেছে বা বলা ভালো বাংলাদেশকে বদলে দেওয়া হয়েছে। বহুবার এ কথা বলেছি, বাংলাদেশে একটি মাত্র রাজনৈতিক দল সেক্যুলার বাংলাদেশকে নিয়ে কথা বলবে বা সেক্যুলার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখবে আর বাকি সবগুলো রাজনৈতিক দল (ভোটের আকার যাদের ৬৫ শতাংশের ওপরে) মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় পাল্টা রাজনীতি করে যাবে এবং সেই রাজনীতিতে কেবল আওয়ামী লীগই উদারপন্থীদের সহযোগিতা দিয়ে যাবে এবং নাস্তিকদের রাজনৈতিক দল হিসেবে বদনাম কুড়াবে- এটা বোধকরি আওয়ামী লীগের কাছে আমাদের একটু বেশিই চাওয়া হয়ে যাবে। কারণ আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হবে এবং এদেশের গণমানুষের কথাই তাকে মুখে বলতে হবে ও কাজে প্রমাণ করতে হবে। শেখ হাসিনা পহেলা বৈশাখে উৎসব ভাতা চালু করে লোকায়ত সংস্কৃতি বা সর্বধর্মের উৎসবকে পেট্রন করতে চান না কেন। কিন্তু এটাই সত্য যে, পহেলা বৈশাখের দিন দেওয়া তার বক্তব্যকে খণ্ডিত করে প্রচার করে দেশকে কেবল মুসলমানের দেশ প্রমাণের সুক্ষ্ম প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে, তা যতোই উদারপন্থীদের মিডিয়া হোক না কেন।

শেখ হাসিনার কৃতিত্ব এখানেই, তিনি একই সঙ্গে নিজেকে মুসলমান পরিচয় দিয়ে এ কথাও বলছেন, যারা ইসলামের নামে আল্লাহর বিচারকে নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে, তারা আসলে শিরক করছে। এবার আমাকে শেখ হাসিনার মাপের আর একজন রাজনীতিবিদকে দেখান, যিনি এই কথা বলার ক্ষমতা রাখেন। একজন মানুষের কাছে সব চাইবেন, তা কী করে হয়? তারওতো দেওয়ার মতো সামর্থ থাকতে হবে? তাছাড়া তিনি দেবেনই বা কোত্থেকে? তারওতো শেষ ভরসা এদেশের জনগণই। হলফ করে বলতে পারবেন কি এদেশের জনগণ বদলায়নি? একেকটি হত্যাকাণ্ড ঘটছে আর তাদের হত্যাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য কতোজন চারপাশে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে, তা দেখেও কি বোঝা যাচ্ছে না যে, সমাজ আসলে এই হত্যাকাণ্ডগুলোকে বৈধতা দিতে এক পা তুলে দাঁড়িয়ে আছে? তাহলে কেবলমাত্র শেখ হাসিনাকে দুষে লাভটা কী হবে? আসলে আমাদের মতো অসহায় মানুষদের হয়তো এটা ছাড়া আর কোনও পথও খোলা নেই। কারণ, তিনি ক্ষোভ উগরে দেওয়ার টার্গেট হিসেবে সবচেয়ে কাছেরও হয়তো, আর তো কেউ আমাদের এই বেদনাকে ধরতেও পারবেন বলে মনে হয় না। তিনি পারবেন কারণ, তাকেও বার বার ইসলামবিরোধী বলে প্রচারের টার্গেট করা হয়, তাকে ইসলামপছন্দ দেশগুলো ‘সঠিক মুসলমান’ বলে মানতে চায় না, কারণ তার বাবা বঙ্গবন্ধু একটি ‘সাচ্চা মুসলমানের’ দেশকে ভেঙে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। শেখ হাসিনা দেশি তাঁতের শাড়ি পরে, লিপস্টিক না মেখেও ‘বে-দ্বিন’-দের নেতা, আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী ফিনফিনে শিফনের সঙ্গে গোলাপি লিপস্টিক পরেও ইসলামপন্থীদের নেতা। সমস্যাটা কি এর পরও আমাদের গভীর করে বোঝার কিছু থাকে? থাকে না।

আরও পড়তে পারেন: পরিকল্পিতভাবে জামায়াত-বিএনপি হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

আসুন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে কথা বলি বরং। হ্যাঁ, সরকারের ব্যর্থতা হলো- দেশে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটছে, সরকার ব্যর্থ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে, জনগণের জানের নিরাপত্তা দিতে। যে কারণে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ, মানুষ বলছে, উন্নয়ন চাই না, নিরাপত্তা দেন। খুব স্বাভাবিক ও ন্যয্য দাবি, জানই যদি না থাকে তাহলে ভাত খাবে কে? সরকারের বরং এই জায়গাটায় এখন জোর দেওয়া জরুরি, জরুরি ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপরতা দেখাতে হবে। এ কথাতো আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এই গুপ্ত হত্যাকারীদের শেষ টার্গেট সরকারের পতন। সুতরাং নিজেদের বাঁচাতেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো উচিত। আমার মনে হয়, আর সব বিষয়ের মতো প্রধানমন্ত্রীকেই এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা উচিত। কারণ আমরা দেখি, তিনি যেদিকে নজর দেন সেদিকেই কাজ হয়, বাকি দিকগুলো একটু অবহেলিতই থেকে যায়। মন্ত্রীদের ভূমিকা বা কাজকর্ম নিয়ে জনমনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, হয়তো সে কারণেই মন্ত্রিসভায়ও রদবদলের সময় এসেছে। জানি না, সরকারের বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পর্কে জ্ঞান কম, তাই কোনও জ্ঞানদানও করতে আগ্রহী নই। কিন্তু ‘নিজের ভালো নাকি পাগলেও বোঝে’, জনগণতো আসলে পাগলই। চারদিকে এতো ভয়াবহ ঘটনায় কোনও মানুষ সুস্থ থাকতে পারে কিনা তা নিয়ে মনোবিজ্ঞানীরা ভালো বলতে পারবেন। না হয় পাগল জনগণের অংশ হিসেবে নিজের ভালোর জন্যই সরকারের কাছে চাইছি, তাও কী চাইছি? জানমালের নিরাপত্তা। কে নাস্তিক আর কে আস্তিক সে ভেদে না গিয়ে সবারর নিরাপত্তা দিন, সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটান তাতেই চলবে।

তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে না হয়, এসব নিয়ে ভাবা যাবে, বিতর্ক করা যাবে। সরকার প্রধান বা শেখ হাসিনা এই মুহূর্তে সবার অভিভাবক বা বলতে পারি তিনি একজন মা। আস্তিকও তার সন্তান, নাস্তিকও তারই সন্তান, এক সন্তানের হাতে আরেক সন্তানের খুন হওয়া কোনও মা সহ্য করতে পারেন বলে জানা নেই। আসলে বাংলাদেশের বিষয়টি এখন এরকমই, এরকমটাই ঘটছে দেশে। পরিণতি কী হবে জানি না, তবে শেষ পর্যন্ত সামাল দিতে না পারলে যে পরিণতি ঘটবে তা হয়তো কারও জন্যই ভালো হবে না।

লেখক: কলামিস্ট

[email protected]

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ