টাঙ্গাইলের মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃষ্টির কারণে সকালে ভোটার উপস্থিতি অনেকটা কম ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি কমতে থাকে। বাড়তে থাকে ভোটার উপস্থিতি।
ধান কাটার মৌসুম হওয়ায় পুরুষ ভোটার উপস্থিতি সকাল থেকেই ছিল কম। ভোটারদের অধিকাংশ সারি ছিল নারী ভোটারদের। তবে ভোট কাস্টের তথ্যে দেখা গেলো, পুরুষ ভোট বেশি পড়েছে। মধুপুর উপজেলার ব্রাহ্মণবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এমন তথ্য পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ ভোটারদের মাঝে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে অবস্থান করে এমন চিত্র দেখা যায়।
বিদ্যালয়টির নিচতলায় নারী ভোটারদের এবং দ্বিতীয় তলায় পুরুষ ভোটারদের জন্য বুথ করা হয়েছে। নারীদের বুথ কক্ষের সামনে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। তবে পুরুষদের কক্ষের সামনে ভোটার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল না। এখানে পুরুষ ভোটারদের লাইনও দেখা যায়নি।
ব্রাহ্মণবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার শাহজাহান আলী বলেন, ‘এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৫৩৫ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৭৮৩ এবং নারী এক হাজার ৭৫২ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত মোট ভোট কাস্ট হয়েছে ৯৯৯টি। নারী ভোট ৪০৯ এবং পুরুষ ভোট ৫৯০ কাস্ট হয়েছে।’
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার শাহজালাল আলী বলেন, ‘এই কেন্দ্রে মোট ভোটার তিন হাজার ৬২০ জন।’ তবে নারী-পুরুষ ভোট কাস্টের হিসাব নেই এই কর্মকর্তার কাছে। নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি বলে জানান তিনি।
কেন্দ্রে দায়িত্বরত আনসার সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল থেকে আমি এই কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছি। পুরুষ ভোটারদের উপস্থিতি কম দেখা যাচ্ছে। তারা ধান কাটায় ব্যস্ত থাকায় হয়তো উপস্থিতি কম।’
এদিকে, মধুপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন তিন জন এবং ধনবাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন পাঁচ জন। এ দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রার্থীদের মধ্যে চরম কোন্দল দেখা দিয়েছে। এ জন্য সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ভোটাররা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শাহজাহান আলী বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কম। তারপরও ভোটাররা কেন্দ্রে আসছেন। তবে কেন্দ্রের বাইরে মানুষের মধ্যে নির্বাচনি উৎসব শুরু হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতিও বাড়বে বলে আশা করছি।’
টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান জানান, ‘দুই উপজেলায় দুজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পাঁচ প্লাটুন বিজিবিসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করছেন।’
তিনি আরও জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।