মাদারীপুর জেলার নেতাদের মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়জনকে জাতীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা ও তাদের পদোন্নতির দাবি করেছে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক হুইপ নূর-ই আলম লিটন চৌধুরী ও বর্তমান দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এই নেতাদের মধ্যে রয়েছেন।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মকাণ্ডে জাতীয় পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন মাদারীপুরের সাত থেকে আট জন নেতা। তাদের মধ্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ও আওয়ামী শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহাজান খানকে প্রেসিডিয়াম সদস্য, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আবুল হোসেনকে তার পুরনো পদে বহাল, সাবেক হুইপ নূর-ই আলম লিটন চৌধুরী ও বর্তমান দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আব্দুস সোবহান গোলাপের পদোন্নতি বা উপযুক্ত পদ দেওয়ার দাবি তুলেছেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে জানান, ‘এবারে মাদারীপুরে ৫২ কাউন্সিলরের মধ্যে তালিকায় প্রথম নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এক সময় মাদারীপুর থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কাউন্সিলর হয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তার কন্যা শেখ হাসিনাকে মাদারীপুরের প্রথম কাউন্সিলর করা হয়েছে। এছাড়া মাদারীপুর জেলায় কাউন্সিলর নির্ধারণ নিয়ে কোনও ধরনের বিরোধ নেই। জেলার ৫ থেকে ৬ জন নেতা যারা জাতীয় পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন তাদের পদোন্নতি বা সম্মানজনক পদে অধিষ্ঠিত করা আমাদের দাবি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নেতা জানান, মাদারীপুর জেলা কমিটির সদস্যদের মধ্যে তালিকার প্রথম ৫১ জনকে কাউন্সিলর হিসেবে নির্ধারণ করায় কোনও বিতর্ক নেই। তবে কাউন্সিলরদের মধ্যে দু’তিনজন স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারের সন্তান হাওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে।
আরও পড়ুন-
আ. লীগের সম্মেলন: নেতৃত্বের আশায় বুক বেঁধেছে তরুণরা
কী হবে সেটা নেত্রী আর আমি জানি: আশরাফ
শেখ হাসিনার দিকেই তাকিয়ে কাউন্সিলররা
বিএনপির নিবিড় পর্যবেক্ষণে আ.লীগের জাতীয় সম্মেলন
সেলফি না তোলার আহ্বান নেতাকর্মীদের
/এফএস/