X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

খুলনা প্রতিনিধি
২৭ অক্টোবর ২০১৬, ১৩:১৩আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০১৬, ১৩:১৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো) পণ্যবাহী নৌযান চলাচলের জন্য মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌরুট উদ্বোধন করলেন প্রধামনমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি চ্যানেলটি উদ্বোধন করেন।
বিআইডব্লিউটিএ-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) ফরহাদুজ্জামান জানান, সুন্দরবনের অভ্যন্তরের বিকল্প নৌ পথ মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল। প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে মৃতপ্রায় এই চ্যানেলটি সচলের জন্য সরকার ২০১৪ সালের ১৫ জুন খননকাজ শুরু করে। প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ পর্যন্ত চ্যানেল থেকে প্রায় এক কোটি ৮২ লাখ কিউবিক ঘনমিটার পলি অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক যৌথভাবে চিহ্নিত চ্যানেল সংলগ্ন ৮৩টি শাখা নদী ও শাখা খালের বাঁধ অপসারণ ও অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে। এতে নদীতে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে গত বছর জুনে পরীক্ষামুলকভাবে পণ্যবাহি নৌযান চলাচল শুরু করে। পুরোপুরি খনন কাজ শেষ হওয়ায় চ্যানেলটি নৌযান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ-এর খুলনার উপ-পরিচালক আশরাফ হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল পণ্যবাহী নৌযান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করবেন। এ লক্ষ্যে ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেলের খনন কাজসহ সার্বিক অবস্থা খতিয়ে দেখছেন তারা। আর ইতিমধ্যে মার্কিং বয়া স্থাপনসহ সব প্রস্তুতি চুড়ান্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মংলা বন্দরের সঙ্গে দেশের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এ চ্যানেলটি। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার যাতায়াতের অন্যতম পথও এটি। নাব্য সংকটের কারণে ২০১১ সালে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে যান চলাচলের অনুমতি দেয় বিআইডব্লিউটিএ। ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর শ্যালা নদীতে জাহাজ দুর্ঘটনায় তেল ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়। ঝুঁকির মধ্যে পড়ে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য। পরে ২০১৪ সালের ১ জুলাই চ্যানেলটিতে খনন শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ-এর ড্রেজিং বিভাগ। চ্যানেলটির অবস্থা নিয়ে ৬ অক্টোবর খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে একটি চিঠি দেন। ওই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ৫ অক্টোবর বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এতে ভাটার সময়ে চ্যানেলটিতে ১০-১২ ফুট গভীরতা এবং জোয়ারের সময়ে ২০-৩০ ফুট পানির গভীরতা পাওয়া গেছে। চ্যানেলটি ১৫০ থেকে ৩০০ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত। বর্তমানে জোয়ারের সময়ে বড় বড় জাহাজ এ চ্যানেলে যাতায়াত করছে। এতে সুন্দরবনের মধ্যকার শ্যালা নদী ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ছে না। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে চ্যানেলটি বিশেষ অবদান রাখছে। 

/এআর/এএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
রংপুর হাসপাতালে বাড়ছে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী, ৫ দিনে ২২ জনের মৃত্যু
রংপুর হাসপাতালে বাড়ছে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী, ৫ দিনে ২২ জনের মৃত্যু
তুর্কি মিডফিল্ডারের গোলে শিরোপার আরও কাছে রিয়াল মাদ্রিদ
তুর্কি মিডফিল্ডারের গোলে শিরোপার আরও কাছে রিয়াল মাদ্রিদ
দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছেলের আঘাতে প্রাণ গেলো বাবার
দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছেলের আঘাতে প্রাণ গেলো বাবার
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!