বরিশালে সরকারি এবং বিআইডব্লিউটিএ’র জমি থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে গিয়ে বাধার মুখে তা স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার রসুলপুর চরের বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করতে গেলে উচ্ছেদকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে চার নারীসহ আটজন আহত হন।
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম-পরিচালক ও বরিশাল বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তাদের বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারে প্রথম পর্যায়ে ২১১টি ঘর উচ্ছেদের জন্য তারা আগেই নোটিশ দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান নিয়ে তারা শনিবার বেলা সাড়ে ১০টায় রসুলপুরে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালাতে গেলে বাসিন্দারা বাধা দেন। আধা ঘণ্টা পর তারা কার্যক্রম বন্ধ করে চলে আসেন।
এখন জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মোস্তাফিজুর রহমান।
রসুলপুর চরের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল কবির ঢালী বলেন, কীর্তনখোলা নদীর তীর থেকে ৪০ ফুট জমিতে থাকা ঘর উচ্ছেদের নির্দেশ থাকায় তারা সেখান থেকে স্বেচ্ছায় ঘর সরিয়ে নিচ্ছেন। তবে এর বাইরের ঘরগুলোও উচ্ছেদের চেষ্টা করায় তারা বাধা দেন।
মো. নূরুল হক নামে রসুলপুরের আরেক বাসিন্দা বলেন, উচ্ছেদের তালিকায় যে দাগের জমি রয়েছে, তা উচ্ছেদ না করে এই বস্তিতে থাকা পাকা ভবনের মালিকদের সঙ্গে ভূমি অফিসের পেশকার, সার্ভেয়াররা আঁতাত করে অন্য দাগের জমিতে থাকা ঘর উচ্ছেদে নামলে তারা আপত্তি জানান।
এ বিষয়ে উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল হোসেন খান বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ীই শনিবার তারা উচ্ছেদ অভিযানে যান। ২০১১-১২ সালে করা ওই তালিকায় অনিয়মের কোনও সুযোগ নেই। অভিযানে গিয়ে রসুলপুর চরের বাসিন্দাদের বাধার মুখে পড়ায় স্থানীয় কাউন্সিলর ও স্থানীয় নেতাদের ডাকা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তীতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন:
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ চলছেই, এক মাসে ফেরত ২৪৭২ জন
/বিটি/