দেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। তিনি বলেন, ‘ আমরা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে অভিযান চালিয়েছি। এখনও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
রবিবার দুপুরে ভোলায় কমিউনিটি পুলিশের অনুষ্ঠানের পর বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী থানা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ।
পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, ‘জঙ্গিদের শক্ত হাতে দমন করা হয়েছে তাই এখন তাদের দাড়ানোর শক্তি নেই। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ দেশ থেকে জঙ্গিদের পুরোপুরি নির্মূলে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
জঙ্গী তামিম চৌধুরীর সম্পর্কে আইজিপি বলেন, ‘বিষয়টি পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে আমি দেখেছি। তামিম চৌধুরী বাংলাদেশে আইএস’র কথায় অভিযান চালিয়েছে কিনা সেটা তদন্ত না করে বলা যাবে না। কারণ আইএস’র সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই।’
চুরি, ডাকাতি এগুলো ট্র্যাডিশনাল ক্রাইম হিসেবে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘এগুলো অতীতে সবসময় ছিল, এগুলোকে শূন্যের কোঠায় আনা সম্ভব নয়, তবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যখন এগুলো বেড়ে যায় তখন আমরা নানা তৎপরতার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে আনি। পুলিশের কমিশনার, ডাকাতি-চুরি অর্থাৎ যে ক্রাইমগুলো মানুষের মধ্য উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করে সেগুলো বন্ধ করতে এসপিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া আছে। আর যেগুলো ইতোমধ্যে সংঘটিত হয়ে গেছে সেগুলো শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্যে তদারকি অব্যাহত রাখা হয়েছে।’
বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী থানা পুলিশ পরিদর্শন শেষে এখানকার কার্যক্রমে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘এখানে বড় ধরনের অপরাধ বা অপরাধীর সংখ্যা বেড়ে গেছে এমন নয়। তবে নারী নির্যাতনের মামলা বেশি হচ্ছে। এগুলো অনেক সময় মিথ্যেও হয়, অন্যকে ফাঁসানোর জন্য যাতে এই আইন অপব্যবহার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
আইজিপি নৌ-পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে গুরুাত্বারোপ করে বলেন, ‘এটি একটি নতুন ইউনিট। তাদের জন্যে ইতোমধ্যে নানান প্রকল্প হাতে রয়েছে। অনেকগুলো বাস্তবায়নও করা হয়েছে। তাদের আধুনিক বোট, নৌ-সরঞ্জাম দেওয়া হবে।’
/এআর/