X
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘মুফতি হান্নান সরকারের কাছে অপরাধী, আমার কাছে নয়’

মনোজ সাহা, গোপালগঞ্জ
২১ মার্চ ২০১৭, ১৯:২৪আপডেট : ২২ মার্চ ২০১৭, ১৩:৪৬

মুফতি হান্নানের মা রাবেয়া বেগম ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ প্রধান মুফতি মাওলানা আব্দুল হান্নান মুন্সির মা রাবেয়া বেগম বলেছেন, ‘আমার ছেলে কী ধরনের কর্মকাণ্ড করেছে তা জানি না। কিন্তু আমার সামনে সে কখনও খারাপ কাজ করেনি। সে সরকারের কাছে অপরাধী হতে পারে, আমার কাছে নয়। সরকার তাকে যে শাস্তি দেবে তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু আমাদের নিরপরাধ মানুষগুলোকে যেন হয়রানি করা না হয়।’



মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকালে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ গ্রামে মুফতি হান্নানের বাড়িতে বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ সব কথা বলেন।
একই বাড়িতে মুফতি হান্নানের স্ত্রী রুমা বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি তার স্বামীর সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি জানান, তার ৪ সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে ২ ছেলে ও ২ মেয়ে। ২ মেয়ে নিয়ে তিনি গ্রামের বাড়িতেই অবস্থান করছেন। তারা গ্রামের মহিলা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে। বড় ছেলে যশোর কলেজের ছাত্র। ছোট ছেলে ঢাকায় একটি মাদ্রাসায় পড়ছে বলে তিনি জানান।
এদিকে হিরণ গ্রামের শহিদুল ইসলাম মুন্সি সদর আলী বলেন, ‘মুফতি হান্নানের জঙ্গি তৎপরতার কারণে আমাদের হিরণ গ্রাম কলঙ্কিত হয়েছে। তার ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর করা হলে আমরা কলঙ্ক থেকে মুক্তি পাবো। পাশাপাশি প্রশাসনও আমাদের প্রতি সুদৃষ্টি দেবেন।’
মুফতি হান্নানের সহপাঠী চায়ের দোকানি হিরণ গ্রামের আবুল বাশার বলেন, ‘মুফতি হান্নান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে কোটালীপাড়ার জনসভাস্থলে দুটি বোমা পুঁতেছিল। এছাড়া সে একের পর এক জঙ্গি তৎপরতা চালিয়েছে। তার মৃত্যুদণ্ড দেখে যেন বিপথগামীরা এ পথ থেকে সরে আসে।’

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় নেতা মুফতি হান্নান। তার পরিকল্পনা ও নির্দেশে ২০০৪ সালের ২১ মে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর সিলেটে গ্রেনেড হামলা হয়। ২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাস্থলের কাছে বোমা রাখার ঘটনায় প্রথমবারের মতো এই জঙ্গির নাম সামনে আসে। ২০০১ সালে রমনা বটমূলে বোমা হামলা, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ২০০৫ সালে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন এই মুফতি হান্নান।

/এআর/টিএন/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মঙ্গোলিয়ার দাবাড়ুকে হারিয়ে ফাহাদের মুখে হাসি
মঙ্গোলিয়ার দাবাড়ুকে হারিয়ে ফাহাদের মুখে হাসি
চেয়ারম্যান হলেন ৯ এমপির স্বজন, হেরেছেন দুজন
চেয়ারম্যান হলেন ৯ এমপির স্বজন, হেরেছেন দুজন
পিছিয়ে পড়েও জোসেলুর জোড়া গোলে ফাইনালে রিয়াল
চ্যাম্পিয়নস লিগপিছিয়ে পড়েও জোসেলুর জোড়া গোলে ফাইনালে রিয়াল
চেয়ারম্যান হলেন এমপির ছেলে ও ভাই
চেয়ারম্যান হলেন এমপির ছেলে ও ভাই
সর্বাধিক পঠিত
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
‘চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর’, বললেন ব্যারিস্টার সুমন
‘চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর’, বললেন ব্যারিস্টার সুমন
এক লাফে ডলারের দাম বাড়লো ৭ টাকা
এক লাফে ডলারের দাম বাড়লো ৭ টাকা
ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ইস্যুতে ন্যাটোকে রাশিয়ার সতর্কতা
ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ইস্যুতে ন্যাটোকে রাশিয়ার সতর্কতা
ইউক্রেনে পাঠালে ফরাসি সেনাদের নিশানা করার হুমকি রাশিয়ার
ইউক্রেনে পাঠালে ফরাসি সেনাদের নিশানা করার হুমকি রাশিয়ার