পুলিশের চাকরি করতে সবাই না করলেও সম্মানিত পেশা বলে ভাইয়া এতে যোগদান করেছিলেন উল্লেখ করে তার ভাই সাইফুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘সরকারের দেওয়া বেতন-ভাতা ছাড়া ভাইয়ার আর কিছুই নেই। ভাইয়া পুলিশের চাকরি করেছেন দেশের সেবা করেছেন এর জন্য আমরাও গর্বিত। পুলিশের চাকরি করে ভাইয়া জীবনে কিছুই করতে পারেননি। আজ তার পরিবারসহ আমরা অসহায় হয়ে গেছি।’ রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে সামনে দাঁড়িয়ে চোখের পানি মুছতে মুছতে কথাগুলো বলছিলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির পাঠানপাড়ায় জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় নিহত মহানগর জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলামের ভাই সাইফুল ইসলাম শামীম।
তিনি আরও জানান, চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে মনিরুল চতুর্থ। খবর পেয়েই তারা নোয়াখালী সদর থেকে ভোরে সিলেট চলে এসেছেন। মোজাকিরুল ইসলাম ফরাবি নামে মনিরুলের এক বছর তিন মাসের একটি ছেলে আছে। তার ভাবি অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তিনি আসতে পারেননি। লাশ পাওয়ার পর সিলেট মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামীকাল (সোমবার) নোয়াখালি সদরে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
নিহত মনিরুল ইসলামের বোন রোজী বেগম জানান, ভাইয়া জীবনে অনেক কষ্ট করেছেন। কিন্তু আজ তার কিছুই নেই। আমাদের পরিবারের প্রতিটি অর্জনের ক্ষেত্রে ভাইয়ার অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না। ভাইয়া আর জীবত নেই এই কথা শোনার পর মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। যে ব্যক্তি জীবনে পরিবার ও দেশকে শুধুই দিয়ে গেছেন তিনি নিজের পরিবারকে একেবারে শূন্য রেখে না ফেরার দেশে চলে গেছেন।
প্রসঙ্গত,সিলেটের শিববাড়ী পাঠানপাড়া এলাকার জামে মসজিদের কাছে শনিবার সন্ধ্যায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম আহত হন।পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। একই বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন আরও ছয়জন এবং আহত হয়েছেন ৪৮ জন।
/জেবি/
আরও পড়তে পারেন: অভিযান চলছে, থেমে থেমে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ
সবাইকে নিরাপদ জায়গায় থাকতে সেনাবাহিনীর মাইকিং
র্যাবের আহত গোয়েন্দা প্রধানকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হচ্ছে