অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। গত দুই দিনের অবিরাম বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মহারশী ও সোমেশ্বরী নদীর পানির দুই কূল উপচে ঝিনাইগাতী সদর, ধানশাইল, কাংশা, নলকুড়া, গৌরীপুরসহ আরও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বহু লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বহু রাস্তাঘাট, ছোট ছোট ব্রিজ-কালভার্ট, কাঁচা-পাকা বাড়িঘর ডুবে যাওয়াসহ বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিক উপজেলার মহারশী নদীর পূর্বের ভাঙা বাঁধ দিয়ে উপজেলা পরিষদে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে যুব উন্নয়ন, মহিলা বিষয়ক কার্যালয় ও পোস্ট অফিসের সামনে হাঁটু পানি জমে রয়েছে।
ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের রামেরকুড়া, তামাগাঁও, দিঘীরপাড়, মাটিয়াপাড়া, বগাডুবি, সারিকালিনগর, দড়িকালিনগর, কালিনগর, ধানশাইল ইউনিয়নের ধানশাইল বাজার, মাদারপুর, বাগেরভিটা, দাড়িয়ার পাড়, কান্দুলী, চাপাঝোড়া, বিলাশপুর, দুপুরিয়া, কাংশা ইউনিয়নের আয়নাপুর, বাকাকুড়া, গান্ধিগাঁও, গৌরীপুর ইউনিয়নের বনগাঁও জিগাতলা, বনগাঁও চতল সহ আরও অনেক গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ জেড এম শরীফ হোসেন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান। নালিতাবাড়ীর উপজেলার চেল্লাখালী নদীর কচুবাড়ী এলাকার ৪০ ফুট বেরিবাঁধের ভাঙন দিয়ে পানি প্রবেশ করে বাঘবের ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের এক হাজার ৫০০ একর জমির বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, পুকুরের মাছসহ গ্রীষ্মকালীন সবজির ক্ষেত। দ্রুত বাঁধটি সংস্কারের দাবিতে শনিবার শেরপুর-নালিতাবাড়ীর সড়ক অবরোধ করেন ওই এলাকার কয়েকশ কৃষক। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা অবরোধ তুলে নেন।
এদিকে প্রবল বর্ষণের কারণে নালিতাবাড়ী উপজেলার যোগানিয়া, কলসপাড়, রাজনগর ইউনিয়নের কয়েক হাজার একর জমির বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
/এফএস/
আরও পড়ুন-