কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার কয়েক'শ একর ইরি-বোরো ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে জমির পাকা ও আধাপাকা ধান পচে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকার সীমান্তবর্তী রৌমারী উপজেলার লাঠিয়াল ডাঙ্গা কালাপানির বিল, বেকরি বিল, সীমান্ত ঘেষা দক্ষিণ আলগারচর, উত্তর আলগারচর, দর্নির বিল, ডিসি সড়কের দুদিকের খাল, যাদুরচর ইউনিয়নের ক্ষেরভাঙ্গি বিল, লালপুরার খাল সহ আরওও কয়েকটি বিলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এই বিলগুলো বছরে মাত্র ৩ মাস শুকনো থাকে। সেখানে বছরে ইরি-বোরো এক মৌসুম ফসল হয়। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় অতি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ফসল। এ অবস্থায় দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
কৃষকদের অভিযোগ, খাল-বিলের ফসলি জমিতে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অতি বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে অতিসহজেই ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকার কোটি কোটি টাকা কৃষির উন্নয়নে ভর্তুকি দিলেও এলাকার উন্নয়নে কোনও কাজ হয়নি।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক লাঠিয়াল ডাঙ্গা গ্রামের আলাল মিয়া ও বাবুল জানান, ‘যে ধানের ওপর আমাদের সংসার নির্ভরশীল সেই ধান এবার পঁচে গেছে। বিলের পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় এ অবস্থা হয়েছে। আমরা সরকারের নিকট ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’
একই অভিযোগ করেন, বেকরী বিলের ছাত্তার, কলিমুল্লাহ, নাছির, আলগার চরের মমিন, রবিউল, আলী, মাহুবর, উত্তর আলগার চরের সফিকুল, সামছুল ও রহিমুদ্দিন
খেয়ারচরের জবেদ আলী, নইমুদ্দিন, খয়রুদ্দিন, নজরুল প্রমুখ।
এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছর উপজেলা পর্যায়ে কৃষিতে ২৫ শতাংশ বরাদ্দ দেয় সরকার। যা বাস্তবায়ন করে উপজেলা নীতি নির্ধারক কমিটি। তারা যদি এ ব্যাপারে কোন প্রকল্প হাতে না নেয় এতে আমাদের করার কী আছে?’
রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবর রহমান বঙ্গভাসী বলেন, ‘আমরা কয়েকটি স্থানে পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ স্থাপন করেছি। কিন্তু এখন যেসব বিলের ফসল পানিতে ডুবে আছে সেই পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। আমরা ড্রেন নির্মাণ করতে চাইলেও স্থানীয় জমির মালিকরা জায়গা ছাড়তে রাজি হন না। ফলে তা নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। তারা জায়গা ছাড়লে পরবর্তীতে ড্রেন নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।’
/এসএনএইচ/