X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যুবদল নেতার বিরুদ্ধে আ. লীগ নেতার ঘের দখলের অভিযোগ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
২৬ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:১৪আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:১৪

গোপালগঞ্জ যশোরের এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মাছের ঘের দখল করে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন গোপালগঞ্জের এক আওয়ামী লীগ নেতা। পুলিশ ও প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এই দখলদারিত্ব চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক রাজি উদ্দিন আহম্মেদ রাজু।

রাজু হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত বনানী থানার সাবেক ওসি সালাহউদ্দিন খানের বড় ভাই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে রাজু অভিযোগ করেন, সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার মীর্জাপুর, বারাত, কাজিডাঙ্গা,  ভবারীপুর, খনাইল  মৌজার ১১’শ বিঘা জমি কৃষকদের কাছ থেকে লিজ নিয়ে এসএম মুনজুর রহমান ২০১২ সালে মাছ চাষ শুরু করেন। চলতি এপ্রিলে ওই জমি লিজের চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই তিনি নতুন চুক্তি করেন। ৩৮ লাখ টাকা রাজস্ব জমা দিয়ে তালা সাবরেজিষ্ট্রি অফিস থেকে এ চুক্তি রেজিস্ট্রি করেন। তবে অর্থিক সংকটের কারণে ঘের ব্যবসা পরিচালনা করতে না পেরে রাজুর কাছে তা হস্তান্তর করেন।

রাজু আরও অভিযোগ করেন, ‘যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি তালা উপজেলার বিভিন্ন মৌজার ২২’শ বিঘা জমি কৃষকদের কাছ থেকে লিজ নেয়। সেই জমিতে ঘের না করে গত ১৩ এপ্রিল মোস্তাক সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জোর করে আমাদের ঘের দখল করে। এ সময় তারা ঘেরের বসতঘর ভাঙচুর, মালামাল, নৌকা, শ্যালো মেশিন ও দুইশ মাছ লুট করে নেয়। ঘেরের স্থাপনায় আগুন দেয়। আমাদের লোকজনদের মারপিট করে ঘের থেকে বিতাড়িত করে।’ তিনি আরও অফিযোগ করেন, তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  ও থানার ওসি যুবদল নেতা মোস্তাকের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে সহায়তা করেন।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে যুবদল নেতা মোস্তাক হোসেন বলেন, ‘আমি কারো ঘের দখল করিনি। ওই আওয়ামী লীগ নেতা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আমার লিজ নেওয়া জমিতে আমি গিয়েছি মাত্র।’

তালা থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান ঘুষ নিয়ে যুবদল নেতাকে সাহায্যের বিষয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতার অভিযোগ সত্য নয়। তালার ওই সব মৌজার ৯৯ ভাগ কৃষক তাদের জমি মোস্তাককে লিজ দিয়েছে। এক ভাগ কৃষক আওয়ামী লীগ নেতার সমর্থক মুনজুরকে লিজ দিয়েছে। তাই মোস্তাক ওই জমি দখলে নিয়েছে বলে শুনেছি। কোর্টের আদেশ হাতে পেলেই তদন্ত করে এফআইআর করবো।’ 

তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি রাজি উদ্দিন আহম্মেদ রাজুকে চিনি না। তার সঙ্গে আমার পরিচয় এমনকি কোনও কথাও হয়নি। আমার বিরুদ্ধে তিনি কেন অভিযোগ করেছেন তা আমার বোধগম্য নয়। ঘের দখলের বিষয়টি আমি জানি না।’

/এফএস/ 

আরও পড়ুন- 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
১০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক
১০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
পশ্চিমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চীনকে যা করতে হবে
পশ্চিমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চীনকে যা করতে হবে
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ