চার দফা দাবিতে বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকালে বগুড়ায় মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা মিছিল, সড়ক অবরোধ ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করলে অন্তত ২৫জন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ নয় জনকে আটক করে পরে ছেড়ে দেয়। বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, শিক্ষার্থীরা শহরতলীর তিনমাথায় সড়ক অবরোধ করলে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা মেডিক্যাল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএমএসএ) ব্যানারে চার দফা দাবিতে সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের সাতমাথা থেকে তিনমাথা রেলগেট এলাকার মধ্যে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল করে। সকাল ১০টার দিকে তারা মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের তাড়া দেয়। তারা তিনমাথার কাছে গিয়ে স্টেশন রোড অবরোধ করে রাখে। এতে প্রায় ৪৫ মিনিট রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
পুলিশ শিক্ষার্থীদের আবার ধাওয়া করলে তাড়া খেয়ে পালিয়ে আসার সময় তারা রাস্তায় থাকা গাড়ি ভাঙচুর করতে শুরু করে। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
টিএমএসএস ম্যাটসের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হোসনে আরা বলেন, ‘বিডিএমএসএ’র ব্যানারে আলাদা বোর্ড গঠন, ইন্টার্ন ভাতা, কর্মসংস্থান ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য আমাদের এই আন্দোলন।’
শহরের প্রাইম ম্যাটসের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান জানান, পুলিশের লাঠিচার্জে কমপক্ষে ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তবে করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের ভ্যানচালক আছির উদ্দিন জানান, শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নির্বিচারে গাড়ি ভেঙেছে। তাকে ও তার গাড়ির হেলপারকেও শিক্ষার্থীরা বেধড়ক পিটিয়েছে বলে জানান তিনি।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী বলেন, ‘ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা শহরতলির তিনমাথায় সড়ক অবরোধ করলে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।’
/এমএ/