মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে তিনি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক মো. তৌহিদ আজিজ তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কক্সবাজার জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরুর দিকে ২০১৪ সালের নভেম্বরে অধিগ্রহণ করা জমির বিপরীতে ২৩৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়। এর মাঝে ২৫টি অস্তিত্বহীন চিংড়ি ঘের দেখিয়ে ৪৬ কোটি ২৪ লাখ ৩ হাজার ৩২০ টাকা ক্ষতিপূরণ নিজেদের আয়ত্বে নেয় ৩৬ জনের একটি সিন্ডিকেট। এ থেকে কৌশলে তারা ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা উত্তোলনও করে। বাকি টাকার জন্য ইস্যু করা হয়েছিল আরও পাঁচটি চেক। এরই মধ্যে নালিশ আসলে পাঁচটি চেকের আওতায় নির্ধারিত ক্ষতিপূরণের বাকি টাকা আটকে দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে এটি প্রমাণ হলে নিজেরা বাঁচতে তৎকালীন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা (এলএও) মাহবুবুর রহমান ক্ষতিপূরণ তুলে নেওয়া ঘের মালিক দাবিদারদের বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আদায়ে ২০টি মামলা দায়ের করেন। এটি তদন্ত করতে গিয়ে ২০টি মামলাকে একটি মামলায় একিভূত করা হয় (নম্বর-১৯, ৭/১২/২০১৪)। পরে মামলাটি তদন্ত করে অভিযুক্ত পত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ মামলায় এর আগে দুদক পৃথকভাবে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাফর আলমসহ চারজনকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে। সর্বশেষ উচ্চ আদালতের নির্দেশে সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
/বিএল/