চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলার চারটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে অভিযান চালিয়েছে র্যাব। নাচোলে দুটি ও গোমস্তাপুরে দুটি বাড়ি ঘেরাও করে রাখা হয়। এর মধ্যে নাচোলের দুটি ও গোমস্তাপুরের একটি বাড়িতে এর মধ্যেই অভিযান শেষ হয়েছে। তিনটি বাড়িতে সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি বলেও র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। অভিযানের সময় নাচোলের চানপুর চাঁদপাড়া গ্রামের একটি বাড়ির মালিককে আটক করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব-৫-এর কোম্পানি কমান্ডার এ কে এম এনামুল করিম বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গোমস্তাপুরে আরেকটি বাড়িতে তল্লাশি চলছে। তল্লাশি শেষ হলেই প্রেস ব্রিফিংয়ে অংশ নেবেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহবুবুল আলম।
এর আগে র্যাব কর্মকর্তারা জানান, বাড়িগুলোতে বিস্ফোরক আছে বলে তারা তথ্য পেয়েছিলেন।
এনামুল করিম বলেন, ‘মঙ্গলবার (২৩ মে) দিবাগত রাতে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে তিন জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ তিন কেজি গান পাউডার, একটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিন জব্দ করা হয়। এই তিন জঙ্গির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই চারটি বাড়ি ঘেরাও করা হয়।’
তিনি আরও জানান, ঘিরে রাখা বাড়িগুলোর কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। পরে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৬ এপ্রিল ভোর থেকে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের শিবনগর এলাকার একটি বাড়ি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখে। বিকালে ঢাকা থেকে সোয়াট টিম পৌঁছানোর পর শুরু হয় অপারেশন ঈগল হান্ট। পরদিন ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। ওই অভিযানে আত্মঘাতী হয়ে আস্তানাটি ভাড়া নেওয়া আবুসহ চার জঙ্গি নিহত হয়। এছাড়া, জঙ্গি আবুর স্ত্রী সুমাইয়া ও আবুর ছোট মেয়ে চার বছর বয়সী সাজিদা খাতুনকে উদ্ধার করা হয়।
/এআরআর/টিআর/এফএস/