গাজীপুরের শ্রীপুরে বাবা-মেয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার মামলার প্রধান আসামি ফারুককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১-এর সদস্যরা। এ নিয়ে এই মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ফারুক (৩০) শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
র্যাব-১-এর উপ-পরিচালক মহিউল ইসলাম জানান, এই ঘটনার পর ফারুক গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে র্যাব-১ এর সদস্যরা কাপাসিয়ায় অভিযান চালায়। এসময় ফারুক র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আটরশি পীরের মাজারে অবস্থান নেয়। সেখান পীরের সঙ্গে তার পরিচয় ও সখ্যতা হলে সে সাভারের চলে আসে। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ইসলামনগর এলাকায় এসে সে রড মিস্ত্রির সহকারি (নির্মাণ শ্রমিকের)হিসেবে কাজ নেয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ইসলামনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফারুককে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, আটকের পর ফারুক র্যাবের কাছে নিহত হযরত আলীর আট বছরের মেয়ে আয়শাকে যৌন নিপীড়ন এবং দল নিয়ে ওই পরিবারকে নানাভাবে অত্যাচার ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার কথাও স্বীকার করেছে।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিশনাল এসপি) গোলাম সবুর জানান, অন্য দুইজনের মধ্যে শুক্রবার ভোর রাতে নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর উপজেলার ঝাঝড় গ্রাম থেকে ওই মামলার তিন নম্বর আসামি বোরহান উদ্দিন (৩৫) এবং ২৯ এপ্রিল শ্রীপুর থেকে ওই মামলার সাত নম্বর আসামি শ্রীপুরের গোসিঙ্গা ইউপি’র এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা দুইজনই গ্রেফতারের পর থেকে কারাগারে আছেন।
প্রসঙ্গত, ২৯ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্রীপুর রেলস্টেশনের পশুহাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় চলন্ত তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে পালিত মেয়ে আয়েশা আক্তারসহ বাবা হযরত আলী আত্মহত্যা করেন। মেয়ের শ্লীলতাহানি, গরু চুরি যাওয়া ও প্রতিবেশীদের হামলার হুমকির বিচার না পাওয়ায় তিনি আত্মহত্যা করেন। তাদের বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের কর্ণপুর (সিটপাড়া) গ্রামে। আত্মহত্যার পরদিন নিহতের স্ত্রী হালিমা বেগম ওই তিনজনসহ সাত জনের বিরুদ্ধে কমলাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
/জেবি/
আরও পড়তে পারেন: সেপটিক ট্যাংকের সাটার খোলার সময় দুই ব্যক্তির মৃত্যু