ফেনীর ছাগলনাইয়ায় অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ দিতে গিয়ে থানার গেইটে বাবা –মেয়ে বখাটেদের হামলার শিকার হন। এই ঘটনায় করা মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় মহামায়া ইউনিয়নের পূর্বদেবপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাগলনাইয়া থানার ওসি আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, শরীফ, নাজিম ও খোশেদ।
জানা যায়, গত শুক্রবার দুপুরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নরুল ইসলাম (৫৫) তার মেয়েকে (২০) নিয়ে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ দিতে থানায় যান। অভিযোগটি জমা দিয়ে বের হওয়ার পথে থানার গেইটে বখাটেরা পিটিয়ে মেয়ের ডান পা ভেঙে দেয় এবং নরুল ইসলামের মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎধীন আছেন।
বিষয়টি স্বীকার করে ছাগলনাইয়া থানার ওসি আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
নুরুল ইসলাম বলেন,‘ আমার মেয়ে আলহাজ আব্দুল হক চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের স্নাতকের শ্রেণিতে পড়ে। প্রতিদিন কলেজ যাওয়ার পথে মহামায়া ইউনিয়নের পূর্বদেবপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার বখাটে ছেলে রিপুল তাকে উত্ত্যক্ত করতো। এ নিয়ে স্থানীয়রা তাকে সাবধান করলে সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাত ৩টার দিকে রিপুল তার দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে এসে মেয়ের ঘরের দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। এই সময় মেয়ের চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে রিপুলকে ধরে পিটুনি দেয়ে। এসময় রিপুলের সহযোগীরা তাকে ছাড়িয়ে নিতে আমাদের ঘরের দরজা জানালা ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় মামলা করার জন্য আমি শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে মেয়েকে নিয়ে ছাগলনাইয়া থানায় যাই। কিন্তু পুলিশ দুপুর ১টা পর্যন্ত আমাদের বসিয়ে রেখে পরে বলে ‘এখন যান বিকেলে তদন্ত করে মামলা নিব।’ পুলিশের কথা মতো মেয়েকে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য থানা থেকে বের হওয়া মাত্র রিপুল, তার ভাই শরীফ, নাজিম,জসিম মাস্টার ও তার ছেলে রাকিব, রকি, নাজিমসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জন আমাদের এলোপাতাড়িভাবে লাঠিপেঠা করে।
এ ব্যাপারে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
/জেবি/
আরও পড়তে পারেন: মাদক মামলায় এক নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড