X
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
৫ চৈত্র ১৪৩০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২০ কিলোমিটার রাস্তায় খানাখন্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
২৩ জুন ২০১৭, ২১:০০আপডেট : ২৩ জুন ২০১৭, ২১:০৫





ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাস্তা। ছবি- প্রতিনিধি কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশের ৪২ কিলোমিটারের মধ্যে ২০ কিলোমিটার রাস্তায় বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঈদে ঘরমুখো মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ অবস্থায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে দায়সারাভাবে জোড়াতালি দিয়ে সড়কটি সচল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সেখানে সহকারী প্রকৌশলীর ভূমিকায় রয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের একজন ট্রাক চালক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া লোকাল বাস সার্ভিস দিগন্ত পরিবহনের চালক মোরজান, ফারুক মিয়া ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলরত কুমিল্লা ট্রান্সপোর্টের চালক জামাল হোসেন জানান, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৪২ কিলোমিটার অংশের মধ্যে বিশ্বরোড থেকে ধরখার পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে বড় বড় র্গত ও খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর বড় হুজুর বাড়ির সামনের অংশ খুব খারাপ। এতে সড়কটি যান চলাচলের জন্যে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যানবাহনের এক্সসেল (যন্ত্রাংশ) ভেঙে প্রায়শই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

কুমিল্লা থেকে সিলেটগামী দূরপাল্লার বাসযাত্রী তৈমুর রেজা, ইলিয়াস হোসেন, অপূর্ব শর্মা বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কে আমরা কর্মক্ষেত্রে চলাচল করেছি একাধিক বার। কিন্তু ঈদের আগে সড়কটির এমন বেহাল অবস্থা হবে আগে থেকে অবগত ছিলাম না। ফলে গাড়িতে উঠে তীব্র ঝাঁকুনি অনুভব করছি। সিটে বসে থাকার মতো পরিবেশ নেই।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘বেহাল অবস্থার কারণে সড়কটি যেকোনও সময় যেকোনও স্থানে ভাঙন বা দুর্ঘটনাজনিত কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের ভাদুঘর বেহাল অংশে সড়কটির গর্ত ভরাট করছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের একদল শ্রমিক। সেখানে সহকারী প্রকৌশলীর ভূমিকায় মহাসড়ক তদারকি করছেন আলী আহমেদ নামে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (চট্টমেট্রো-ড-৫৯৭) একজন ট্রাক চালক। কোন ধরনের ঝাড়– ছাড়া রাস্তার পাশে ড্রামের মধ্যে পিচ গলিয়ে তিনি শ্রমিকদের দিক নির্দেশনা দিয়ে মহাসড়ক মেরামত করছেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাড়ি চালক আলী আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বড় স্যারের নির্দেশে আমি ড্রাইভারের পাশপাশি মহাসড়ক তদারকির কাজ করছি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাস্তা। ছবি- প্রতিনিধি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু এহতেশাম রাশেদ বলেন, ‘কম সংখ্যক লোকবল দিয়ে সাধ্যমত সড়কটি সচল রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা।’ তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে সহকারী প্রকৌশলী প্রয়োজন অন্তত ছয়জন, আছে মাত্র একজন। লোকবলের অভাবে ড্রাইভারকে বাড়তি কাজে লাগিয়েছি। ড্রাইভার দিয়ে মহাসড়কের কাজের গুনগত মান কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বিব্রত বোধ করে কোনও ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, মহাসড়ক মেরামতের জন্যে তিনি দুই দফায় প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন, তা দিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে সংস্কারের কাজ সাধ্যমতো চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রয়োজনীয় লোকবল থাকলে কাজের গতি আরও বৃদ্ধি পেত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশের ৪২ কিলোমিটার সড়ক পথে প্রতিদিন ছোটবড় মিলিয়ে অন্তত ১৮ হাজার যানবাহন চলাচল করে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিকল্প পথ হওয়ায় ঈদ মৌসুমে এই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

/এসএ/এনআই

 

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
হলমার্কের দুর্নীতির এক মামলার রায় আজ
হলমার্কের দুর্নীতির এক মামলার রায় আজ
৫ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভা‌বিক
৫ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভা‌বিক
সুইডেনের বিপক্ষে পর্তুগাল দলে জায়গা হয়নি রোনালদোর
সুইডেনের বিপক্ষে পর্তুগাল দলে জায়গা হয়নি রোনালদোর
মিয়ানমারের বিমান হামলায় উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ মহাসচিব
মিয়ানমারের বিমান হামলায় উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ মহাসচিব
সর্বাধিক পঠিত
লিটনের বাদ পড়া নিয়ে যা বললেন হাথুরুসিংহে
লিটনের বাদ পড়া নিয়ে যা বললেন হাথুরুসিংহে
পদ্মার গ্রাহকরা এক্সিম ব্যাংক থেকে আমানত তুলতে পারবেন
একীভূত হলো দুই ব্যাংকপদ্মার গ্রাহকরা এক্সিম ব্যাংক থেকে আমানত তুলতে পারবেন
সুইডেনের রাজকন্যার জন্য দুটি হেলিপ্যাড নির্মাণ, ৫০০ স্থানে থাকবে পুলিশ
সুইডেনের রাজকন্যার জন্য দুটি হেলিপ্যাড নির্মাণ, ৫০০ স্থানে থাকবে পুলিশ
সঞ্চয়ী হিসাবের অর্ধকোটি টাকা লোপাট করে আত্মগোপনে পোস্ট মাস্টার
সঞ্চয়ী হিসাবের অর্ধকোটি টাকা লোপাট করে আত্মগোপনে পোস্ট মাস্টার
‘সরলতার প্রতিমা’ খ্যাত গায়ক খালিদ আর নেই
‘সরলতার প্রতিমা’ খ্যাত গায়ক খালিদ আর নেই