X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিজিবি সদস্য সুমনের লাশ হস্তান্তর

মোয়াজ্জেম হোসেন, লালমনিরহাট
২৮ জুন ২০১৭, ১৮:৫২আপডেট : ২৮ জুন ২০১৭, ১৯:৫৫





ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া লালমনিরহাটের দহগ্রাম সীমান্তে গরু পাচারকারীদের ধরতে গিয়ে তিস্তা নদীতে নিখোঁজ বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার লাশ উদ্ধারের পর বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বুধবার দুপুর তিনটায় তিস্তা নদীতে অবস্থিত ভারতীয় দরুণা ক্যাম্পে ভারতীয় বিএসএফের কোচবিহার অ্যাডোক এনবি বিএসএফ ব্যাটালিয়নের তিনবিঘা বিএসএফ কোম্পানী কমান্ডার এসি বিনোদ রাজা লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পাটগ্রাম কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার শেখ সুজাউল ইসলামের কাছে লাশটি হস্তান্তর করেন।

বুধবার (২৮ জুন) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঘটনাস্থল (দহগ্রামের আবুলের চর) থেকে প্রায় চার কিলোমিটার পূর্ব ভাটিতে ভারতীয় অংশে তিস্তা নদী থেকে কোচবিহার-১৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের উদ্ধারকারী দল তার লাশ উদ্ধার করে। হস্তান্তরের পর স্পিড বোটে করে সুমন মিয়ার লাশ তিস্তা ব্যারেজে নিয়ে আসা হয়। এ সময় বিজিবি রংপুর রিজিওন্যাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সাইফুল ইসলাম সাইফ, রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আবুল কালাম আজাদ, রংপুর-৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্ণেল মাহফুল আলম ও লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্ণেল গোলাম মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন। পরে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকর করের উপস্থিতিতে দহগ্রাম পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) আবু হানিফ সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন।

লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মো. এসএম রশিদুল হক বলেন, ‘পাটগ্রাম থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজিবি জওয়ান সুমন মিয়ার লাশ ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই রাতে হিমঘরে রাখা হবে সুমন মিয়ার লাশ।সুরতহাল রিপোর্টে আঘাত বা অন্য কোন আলামত পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

bgb_sumon এ ঘটনায় দহগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক মো. আব্দুল ওয়াহেদ শেখ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছন।

বিজিবি সূত্র জানায়, নিখোঁজ বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার বাড়ি সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার আটঘড়িয়ার আউশপাড়া এলাকায়।

উল্লেখ্য, ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া রংপুর ৬১-বিজিবি ব্যাটালিয়নে কর্মরত থাকলেও তিনি লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে দহগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পে সংযুক্ত ছিলেন। গত সোমবার (২৬ জুন) ঈদের দিন রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দহগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি টহল দল দহগ্রাম সীমান্তের ৬ নম্বর মেইন পিলারের ৩ নম্বর সাব পিলার এলাকায় তিস্তা নদীতে আবুলের চর যান। এ সময় ল্যান্স নায়েক টুটুল মিয়া, ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া ও সিপাহী উচ্চ প্রু মারমা ওই টহল টিমে ছিলেন। আবুলের চর এলাকায় তিস্তা নদীর কিনারে গরু চোরাকারবারীদের সঙ্গে গরু টানাটানির এক পর্যায়ে টুটুল মিয়াকে নদীতে নামানো হয়। এক পর্যায়ে চোরাকারবারীরা গরুর রশি ছেড়ে দিলে দুইটি গরুসহ কোন রকমে চরে ফিরে আসেন টুটুল মিয়া। এদিকে টুটুল মিয়া তলিয়ে যাচ্ছে ভেবে তাকে উদ্ধারের জন্য রাইফেল ও গোলাবারুদ উচ্চ প্রু মারমার হাতে জমা দিয়ে সুমন তিস্তা নদীতে নামেন। পরে তিনি সেখানেই নিখোঁজ হন।

/এনআই/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা
দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা