কুড়িগ্রামে আসামি ধরতে গিয়ে অন্য ব্যক্তির হাতে হাতকড়া পরানোর অভিযোগে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রায় একঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। তারা হলেন উলিপুর থানার এএসআই বসন্ত রায় এবং এএসআই রেজাউল । মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাত সাড়ে নয়টার দিকে জেলা শহরের আদর্শ পৌর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত এএসআই বসন্ত রায় ঘটনার সতত্য স্বীকার করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আদর্শ পৌর বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, উলিপুর থানার প্রতারণা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আহসান হাবীব লিটু কুড়িগ্রাম আদর্শ পৌর বাজারে আছে জানতে পেরে উলিপুর থানার এএসআই বসন্ত রায় ও এএসআই রেজাউল কুড়িগ্রাম সদর থানাধীন আদর্শ পৌর বাজারে আসেন। এ সময় তারা কোনও যাচাই না করেই বাজারের স্বর্ণের দোকান ‘অলঙ্কার নিকেতনে’ ঢুকে দোকান মালিক মো. ফরিদ হোসেনের শ্যালক হামিদুল ইসলাম হিরুর হাতে হাতকড়া পরান। এতে ব্যবসায়ীরা জড়ো হয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই মিন্টু মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে এএসআই বসন্ত রায় ও এএসআই রেজাউল ও ব্যবসায়ীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম আদর্শ পৌর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রানা বলেন, ‘আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে নির্দোষ ব্যক্তির হাতে হাতকড়া পরাবেন, এটা আমরা কখনোই মেনে নেব না। যাই হোক ওই পুলিশ কর্মকর্তা পরে ভুল স্বীকার করে ব্যবসায়ীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করায় বিষয়টির সুরাহা হয়েছে। রাত দশটার দিকে পুলিশ কর্মকর্তারা থানায় চলে যান।’
সত্যতা স্বীকার করে অভিযুক্ত এএসআই বসন্ত রায় বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ভেবে অন্য ব্যক্তির হাতে হাতকড়া পরিয়েছিলাম। এটি ভুল হয়েছে। আমাদের যাচাই করা উচিত ছিল। তবে, ব্যাপারটি মিটে গেছে।’
/এমএনএইচ/