X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজবাড়ীতে জনপ্রিয় হচ্ছে ড্রাগন ফলের চাষ

তানভীর মাহমুদ,রাজবাড়ী
২৪ জুলাই ২০১৭, ১৩:৪৩আপডেট : ২৪ জুলাই ২০১৭, ১৩:৪৭

ড্রাগন ফলের গাছ অল্প জায়গায় স্বল্প খরচেই চাষ করা যায় ড্রাগন। সুস্বাদু এ ফলটি বিক্রি করেও বেশ ভালোই লাভ হয়। তাইতো রাজবাড়ীতে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে ড্রাগন ফলের চাষ। ফসলি জমি কিংবা বাড়ির ছাদে টবে ড্রাগন গাছ লাগানো যায়।

রাজবাড়ীর মানুষের ২-৩ বছর আগেও ড্রাগন ফল পরিচিত ছিল না। এখন এটি বেশ পরিচিত। বিভিন্ন ধরনের ভেষজ গুণ থাকায় এ ফলের গাছটি রাজবাড়ীর প্রায় বাড়ির আঙিনা ও ছাদে চাষ হচ্ছে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই ড্রাগন ফল চাষ করা যায়। শুধু একটু পরিচর্যা করলেই ড্রাগন গাছে ফল ধরে।  তাই ড্রাগন ফলের চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছে এখানকার লোকজন।

ড্রাগন ফলের গাছ দেখতে ক্যাকটাসের মতো। ২০১১ সালে রাজবাড়ী হর্টিকালচার সেন্টারে পরীক্ষামূলকভাবে এর চাষ শুরু হয়। প্রতি হেক্টর জমিতে ড্রাগন চাষের জন্য প্রয়োজন দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। বছরে একটি ড্রাগন গাছ থেকে প্রায় ১৪০টি ফল পাওয়া যায়। এসব ফল আকার ভেদে ৪৫০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

ড্রাগন ফল

জেলার রূপপুর গ্রামের ড্রাগন ফল চাষি গফুর কাজী জানান,তিনি তার ১০ শতাংশ ফসলি জমিতে ২০০টির বেশি ড্রাগন গাছ লাগিয়েছিলেন। প্রত্যেকটি গাছই এখন ফুলে ফলে ভরা। ইতোমধ্যে তিনি এক মণের বেশি ফল বিক্রি করেছেন। প্রতি কেজি ৪৫০টাকা দরে বিক্রি করেছেন। আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত ফল পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি। অনান্য ফসলের পাশাপাশি ড্রাগন চাষ অধিক লাভজনক বলে তিনি জানান।

জেলার বেড়াডাঙ্গা সড়কের সৌখিন ড্রাগন ফল চাষি গৃহবধূ সালমা আফরীন বলেন, ‘প্রথমে ঢাকার একটি ফলের দোকান থেকে ড্রাগন ফল কিনে খাওয়ার পর রাজবাড়ীর হর্টিকালচার থেকে এর গাছ সংগ্রহ করে বাড়ির ছাদে লাগাই। এ বছরও বেশ কিছু ফল ধরেছে।’

বাড়ির ছাদে বেশ কয়েকটি ড্রাগন ফলের গাছ লাগিয়েছেন আব্দুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, ‘বাড়ির ছাদে টবে বা ড্রামের মধ্যে জৈব সারের মাটি ফেলে তাতে ড্রাগন চারা পুতে দিলেই হয়। ড্রাগন গাছ তিন ফুট উঁচু হলেই একটি শক্ত চিকন খুঁটির সঙ্গে সাইকেলের পুরাতন টায়ার ঝুঁলিয়ে দিলেই তাতে ডালপালা বিস্তার করে লতানো গাছটি। কয়েক মাস পরে ফুল ফোটে এবং ফল আসে। ড্রাগন ফল মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।’

কাঁচা ড্রাগন ফল

জেলা সদরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রকিব উদ্দিন জানান,সব ধরনের মাটিতেই ড্রাগন ফল চাষ করা যায়। তবে জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ বেলে-দোঁআশ মাটিই ড্রাগন চাষের জন্য উত্তম।

তিনি আরও জানান,২০১৫ সালে যুব উন্নয়নের আর্থিক সহায়তা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কর্তৃক ড্রাগন চাষে আগ্রহী ২০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাদের মাধ্যে প্রায় ২ হাজার ড্রাগন চারা বিতরণ করা হয়েছে। সেই থেকেই এখন ফল হচ্ছে। তারা বাণিজ্যিকভাবে এগুলো বিক্রি করছে।

 /এসটি/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছেলে, রান্নাঘরে পুড়ে মারা গেলেন মা
স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছেলে, রান্নাঘরে পুড়ে মারা গেলেন মা
২৫ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ, পুলিশ বলছে সিসিটিভির ফুটেজ পায়নি
কুমিল্লা শিক্ষা প্রকৌশল কার্যালয়ে ঠিকাদারকে মারধর২৫ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ, পুলিশ বলছে সিসিটিভির ফুটেজ পায়নি
উপজেলা নির্বাচন: অংশ নিতে পারবেন না পৌর এলাকার ভোটার এবং প্রার্থীরা
উপজেলা নির্বাচন: অংশ নিতে পারবেন না পৌর এলাকার ভোটার এবং প্রার্থীরা
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ