X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বন্যার আতঙ্কে বাঙালি নদী পাড়ের মানুষ

বগুড়া প্রতিনিধি
১৯ আগস্ট ২০১৭, ২২:৩৬আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০১৭, ২২:৪০

সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর ইউনিয়নের নিজবলাইল গ্রোয়েন বাঁধে বিভিন্ন চরের বানভাসিরা বগুড়ায় যমুনা নদীর সারিয়াকান্দি অঞ্চলে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে যমুনার পশ্চিম পাশে বাঙালি নদীতে পানি বাড়ছে। এতে বাঙালি নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে এই এলাকা এখনও প্লাবিত হয়নি।

শনিবার সকালে মথুরাপাড়া এলাকায় যমুনা নদীর পানি ২৪ ঘণ্টায় ১৩ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই এলাকায় বাঙালি নদীর পানি এক সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। অপরদিকে যমুনা তীবরর্তী অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও অনেক এলাকায় এখনও ত্রাণ পৌঁছেনি। বাঁধ, আশ্রয়ন প্রকল্প ও স্কুলে আশ্রয় নেওয়া বন্যা দুর্গতদের দুর্ভোগ বেড়েছে। তাদের নিজেদের পাশাপাশি গবাদি পশুর খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। খাবার বিশুদ্ধ পানির সংকট ও পয়ঃনিষ্কাষন নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর ইউনিয়নের নিজবলাইল গ্রোয়েন বাঁধে বিভিন্ন চরের বানভাসি প্রায় ১৫০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। পরিবারের সদস্যদের অধিকাংশই দিনমজুর। তাদের ঠিকমত খাবার জুটছেনা।

ওই বাঁধে আশ্রয় নেওয়া ইংরেজ সরকার (৫৫) ও বিধবা আয়েশা বেওয়া (৬৫) বলেন, ‘একটি তাঁবুর নিচে ১৫ দিন ধরে ৬ পরিবারের ১৬ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তারা এখনও কোনও ত্রাণ পাননি।’

তবে শুক্রবার সোনাতলা উপজেলার সোনাকানিয়া গ্রামের কাজী আব্দুল কাদের ও তার স্ত্রী আশ্রওয় নেওয়া সব পরিবারের মাঝে পাউরুটি বিতরণ করেছেন।

সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য এফাজ উদ্দিন বলেন, ‘এই এলাকায় সরকারি কোনও ত্রাণ আসেনি। তাই বানভাসি মানুষরা কষ্টে আছেন।’

যমুনা নদীতে পানি কমলেও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফসলের ক্ষেত পানির নিচে থাকায় দুর্গতরা কাজে যেতে পারছেন না। আবার তাদের সঙ্গে থাকা গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়ে তারা পানির নিচ থেকে পঁচন ধরা খড় ও ঘাস এনে গবাদি পশুকে খেতে দিচ্ছেন। এতে অসুস্থ হয়ে তাদের পশু মারা যাচ্ছে। তাদের ও গবাদি পশুর বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পয়ঃনিষ্কাষনের ব্যবস্থা না থাকায় তারা যেখানে-সেখানে মল-মূত্র ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

/এনআই/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রাফায় আবারও ব্যাপক হামলা ইসরায়েলের
রাফায় আবারও ব্যাপক হামলা ইসরায়েলের
স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছেলে, রান্নাঘরে পুড়ে মারা গেলেন মা
স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছেলে, রান্নাঘরে পুড়ে মারা গেলেন মা
২৫ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ, পুলিশ বলছে সিসিটিভির ফুটেজ পায়নি
কুমিল্লা শিক্ষা প্রকৌশল কার্যালয়ে ঠিকাদারকে মারধর২৫ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ, পুলিশ বলছে সিসিটিভির ফুটেজ পায়নি
উপজেলা নির্বাচন: অংশ নিতে পারবেন না পৌর এলাকার ভোটার এবং প্রার্থীরা
উপজেলা নির্বাচন: অংশ নিতে পারবেন না পৌর এলাকার ভোটার এবং প্রার্থীরা
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ