X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দপুরে ভ্রাম্যমাণ কলার বাজার

নীলফামারী প্রতিনিধি
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৮:০৪আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৮:০৪

রাস্তার দুই ধারে কলার পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা কাকডাকা ভোরে আবছা আলোর মধ্যেই জমে উঠেছে সৈয়দপুরে রাস্তার দুই ধারে ভ্রাম্যমাণ কলার বাজারটি। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগমে এ বাজারটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। তবে স্থায়ী বাজার গড়ে না উঠায় বৃষ্টিতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় ব্যবসায়ীদের। সমস্যা নিরসনে তাই স্থায়ী বাজার নির্মাণের দাবি ব্যাবসায়ীসহ সচেতন মহলের। যাতে সৈয়দপুরের এ বাজারটি উত্তর অঞ্চলের  কলার ভান্ডারে পরিণত হয়।

জানা গেছে, ১৯৮০ সালে এ শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচ মাথা মোড়ে দিনের প্রথম প্রহরে ব্যবসায়ীরা তাদের কলা নিয়ে বসতেন। ফলে প্রচণ্ড যানজট লেগেই থাকতো সেখানে। ২০০০ সালে ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্ত নেন দিনে বাজার না বসে ভোরে বসবে। এতেই এ বাজারটি উত্তরাঞ্চলে কলার বাজারের পরিচিতি লাভ করে।

সরেজমিনে ওই পাইকারি কলার বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সৈয়দপুর শহরের গোয়ালপাড়া-নয়াবাজারের ব্যস্ততম সড়কটিতে একশ গজের মধ্যে উভয় দিকে সারিবদ্ধভাবে প্রায় দেড় শতাধিক কলা বিক্রেতা খোলা আকাশের নিচে তাদের টুকরি নিয়ে বসে আছেন। সবুজ আর হলুদ বর্ণের কলায় ভরে গেছে বাজার। মেহের সাগর, হাইব্রিড সাগর, দেশি সাগর, চিনিচম্পা, মালভোগসহ বিভিন্ন ধরনের কলায় টুকরি ভর্তি। ক্রেতারা দর হাকাচ্ছেন। এক পর্যায়ে এক পোন (৮০টা) হিসেবে দর বনি-বনায় হলে কলা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। মাত্র দুই ঘণ্টায় বাজারের লেনদেনের শেষ করে যার যার মতো চলে যান ক্রেতা-বিক্রেতারা।

এ বাজারের কলা বিক্রেতা রবিউল ইসলাম জানান, দীর্ঘ দুই যুগ ধরে এ বাজারে কলা নিয়ে আসছেন তিনি। তবে বৃষ্টিতে খোলা আকাশের নিচে কিংবা বাজারের সামনে মোকামের ভেতর কলা বিক্রি করতে হয়। এতে বাজার ব্যবস্থাপনার সুযোগ সুবিধা না থাকায় ওই সময় দূরের ক্রেতারা আসেন না। ওই মৌসুমে লোকসান হয়। তবে সড়কে দোকান হলেও ভোর হওয়ায় যানজটের কোনও ভয় নেই। এতে নির্বিঘ্নেই কলা বিক্রি করছেন। তবে বিক্রি শেষে অবশিষ্ট কলা অন্যের দোকানে রেখে যেতে হয়। এছাড়া কলা পাকানোর ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই সমস্যায় পড়তে হয় ব্যবসায়ীদের।

ইমদাদুল, খলিল, বাবু, বখতিয়ারসহ কয়েকজন ব্যবসায়ীরা জানান, এ বাজারের কলা সৈয়দপুর সেনা নিবাস, হাসপাতাল ও স্থানীয় চাহিদা পূরণের পর ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর, নীলফামারীসহ উত্তরের প্রায় আট জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাট বাজারের ব্যবসায়ীরা নিয়ে যান। আর দাম কম থাকায় প্রতিদিনই নতুন নতুন ক্রেতা বাড়ছে।

তবে মাথার ওপর ছাউনিসহ একটি স্থায়ী বাজারের ব্যবস্থা হলে কলার সরবরাহ আরও বাড়বে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

ঠাকুরগাঁও সদর গোয়াল পাড়া এলাকার ব্যবসায়ী মো. সফিকুল জানান, বাজারের চাহিদা বেশি থাকলে দাম বেড়ে যায়, আবার সরবরাহ বাড়লে দাম কমে।

আরও পড়ুন: 

‘শান্তি-নিরাপত্তায় বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে’

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন শেখ রেহানা

/এসএনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক
‘শো মাস্ট গো অন’
চিকিৎসা সুরক্ষা আইন জরুরি‘শো মাস্ট গো অন’
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!