গাইবান্ধায় মজুদ করা প্রায় ১১২ মে.টন চাল জব্দ ও ৫টি গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। এসময় ৩ হাজার ১৭১টি খালি চটের বস্তা ও নগদ ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৯ টাকাও জব্দ করা হয়। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে গাইবান্ধার ঢোলভাঙ্গা বাজারের মেসার্স খন্দকার ট্রেডার্সে অভিযান চালিয়ে এসব চাল জব্দ করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) আশিক রেজা।
আশিক রেজা জানান, গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ নিয়ে সাদুল্যাপুর উপজেলার ঢোলভাঙ্গা বাজারে হারুনার রশিদের মালিকানাধীন মেসার্স খন্দকার ট্রেডার্সে অভিযান চালানো হয়। এসময় অবৈধভাবে মজুদ করা ১১১.৬০০ মে. টন (৫০ কেজি ওজনের ২ হাজার ২২৬ বস্তা) চাল জব্দ করা হয়। এসময় গুদামে থাকা ৩ হাজার ১৭১টি খালি চটের বস্তা ও নগদ ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৯ টাকা জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, অভিযানে মেসার্স খন্দকার ট্রেডার্সের মালিক চাল মজুদের বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এ ঘটনায় মেসার্স খন্দকার ট্রেডার্সের মালিক হারুনার রশিদের নামে পলাশবাড়ী ও সাদুল্যাপুর থানায় পৃথক মামলার প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে জব্দ করা চালগুলো স্থানীয় সাক্ষীদের উপস্থিতি সিলগালা করা হয়।
খন্দকার ট্রেডার্সের মালিক হারুনার রশিদ পলাশবাড়ী উপজেলা ঝালিঙ্গী গ্রামের মৃত মোজ্জাম্মেল হক খন্দকারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাগজপত্র ছাড়াই চালের ব্যবসা করে আসছিলেন।