রোহিঙ্গা পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসেবে ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর। প্রতিদিন পরিদর্শন করছেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সরকারি-বেসরকারি বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করার খবরে হাতিয়াসহ উপকূলবাসী শঙ্কা প্রকাশ করলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, আতঙ্কের কিছু নেই। রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পুনর্বাসিত করলে, এখানে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর টহল ও তৎপরতা বাড়বে।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য (হাতিয়া) আয়েশা ফেরদৌস বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের কাউন্সিলিং করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে তাদের সুপথে আনা যাবে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
ভাসানচরকে জোয়ার-ভাটার হাত থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে বালু ফেলে উঁচু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে হেলিপ্যাড, পল্টুনসহ কয়েকটি স্থাপনা। অভ্যন্তরীণ চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে সড়ক।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি মনির উজ-জামান বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পুনর্বাসন করা হলে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর টহল বাড়বে। নিরাপদ হবে চর ও নদী।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ভাসানচর কতটা বাসযোগ্য অথবা জলবায়ুর পরিবর্তনে এ চরের গতিপথ কতটা পরিবর্তন হবে, এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে এসব কিছু এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।’
ভাসানচর রোহিঙ্গা পুনর্বাসন প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘ভাসানচর হবে একটি আধুনিক শরণার্থী শিবির। এখানে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বিনোদন কেন্দ্র, খেলার মাঠসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে। কয়েকটি ধাপে রোহিঙ্গাদের এখানে আনা হবে। প্রথম ধাপে ১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসন করা হবে। দ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু করতে চায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী।’ তবে, কবে নাগাদ রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে আনা হতে পারে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সময় বলেননি তিনি।