রাজশাহীতে গ্রামে গ্রামে চলছে আমন ধান কাটা-মাড়াই। এরই মধ্যে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল বিদ্যালয় মাঠে শনিবার (১১ নভেম্বর) দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো নবান্ন উৎসব।
দিনব্যাপী এ উৎসবে বৈচিত্র্যময় বীজ, শীতের পিঠাপুলি, নকশি কাঁথা, কৃষি কাজের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, স্থানীয় সবজি ও ফল ১০টি স্টলে প্রদর্শন করা হয়। উৎসবে ১৬ ধরনের শস্য ফসল,১২ ধরনের ডাল জাতীয় শস্য ও ৩৩ ধরনের কুড়িয়ে পাওয়া অচাষকৃত উদ্ভিদ উপস্থাপন করেন এলাকার কৃষকরা। নবীন-প্রবীণ কৃষক ও বিভিন্ন পেশাজীবীর অংশগ্রহণে স্থানীয় খেলার আয়োজন করা হয়।
কাবাডিতে অংশগ্রহণ করেন এলাকার নবীন-প্রবীণ কৃষকরা। এছাড়া কৃষাণীদের বালিশ খেলা, ছোটদের বিস্কুট দৌড়, তরুণ-তরুণীদের হাড়ি খেলা, পুরুষদের সাঁতার ও হাড়িভাঙা খেলার মধ্যদিয়ে নবান্নের প্রথম পক্ষটিকে বরণ করেন কৃষক-কৃষাণীরা।
এদিকে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে রিশিকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন গোদাগাড়ী উপজেলার চেয়ারম্যান ইসহাক।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রাজশাহী অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরার গানে গানে এলাকার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা ও তা থেকে করণীয় বিষয়ক তথ্য উপস্থাপন করেন পবা সাহিত্য পরিষদের সদস্যরা। নবান্ন উৎসবের অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন বরেন্দ্র শিক্ষা সংস্কৃতি বৈচিত্র্য রক্ষা কেন্দ্রের দেবশ্রী মণ্ডল ছুটু।