X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নূর হোসেনের দখলে থাকা ‘এবিএস’ বাস হেফাজতে নিলো ইফাদ অটোজ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:৫৬আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:৫৭

এবিএস পরিবহনের বাস

আদালতের নির্দেশে ইফাদ অটোজ কোম্পানি কাছ থেকে নূর হোসেনের কিস্তিতে কেনা এবিএস পরিবহনের বাসগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার।

তিনি জানান, আদালতের নির্দেশে নূর হোসেনের দখলে থাকা ২২টি যাত্রীবাহী বাস ইফাদ অটোজ লিমিটেড কোম্পানিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল টেকপাড়ার বালুর মাঠ থেকে তারা বাসগুলো নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুল আলম জানান, ৭ খুনের ঘটনার আগে নূর হোসেন ঢাকার ইফাদ অটোজ লিমিটেড কোম্পানির কাছ থেকে কিস্তিতে ২৪টি যাত্রীবাহী বাস কিনে। সাত খুনের মামলায় নূর হোসেন জেলে যাওয়ার পর কেউ বাসগুলোর কিস্তি পরিশোধ করেনি। ফলে ইফাদ অটোজ লিমিটেড কোম্পানির পক্ষে ডেপুটি ম্যানেজার ফজলুল হক সরকার ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নূর হোসেনের স্ত্রী রুমা হোসেনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে একটি পিটিশন মামলা (নং ৪২/১৭) দায়ের করেন। ওই মামলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা রুনা লায়লা বাসগুলো ইফাদ অটোজ লিমিটেড কোম্পানিকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ফলে বুধবার রাত থেকে  বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ওই কোম্পানি নিজস্ব রেকারের মাধ্যমে বাসগুলো নিয়ে যায়। এবিএস পরিবহন এই বাসগুলো চাষাঢ়া-চিটাগাং রোডে চলাচল করতো। নূর হোসেন এই রুটে যাত্রীবাহী বাস আনলেও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কোনও টাকা পরিশোধ করেননি। তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও বিআরটিএর অনুমতি ছাড়াই নগরীর রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে পরিবহনের টিকেট কাউন্টারও বসিয়েছিল।

এবিএস পরিবহনের বাস

তিনি আরও জানান, ২৪টি বাসের মধ্যে ২২টি বাস নূর হোসেনের বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। ১টি বাস সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ও ১টি বাস ফতুল্লায় থানায় রয়েছে। দু’টি বাসের নামে মামলা থাকায় বাস দু’টি বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি।

এসআই  শামসুল আলম আরও জানান, প্রতিটি বাসের ইঞ্জিনসহ চেসিস মূল্য ২৪ লাখ টাকা। তারা প্রতিটি বাসের জন্য নগদ ৫ লাখ টাকা করে দেন। অবশিষ্ট ১৯ লাখ টাকা সঙ্গে বার্ষিক শতকরা ১১ টাকা হারে সুদসহ মোট ২৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ৪৮টি কিস্তির মাধ্যমে দেওয়ার শর্তে তারা বাসগুলো কিনে। বাসগুলো এবিএস পরিবহন নামে শিমরাইল-চাষাঢ়া রুটে চলাচল করতো। সাত খুনের পর নূর হোসেন পালিয়ে গেলে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-যশোর মহাসড়কে মহাদুর্ভোগ

/জেবি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদকর্মীদের প্রবেশে বাধা: উদ্বিগ্ন টিআইবি
বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদকর্মীদের প্রবেশে বাধা: উদ্বিগ্ন টিআইবি
আপাতত গরমেই খেলতে হচ্ছে সাবিনা-সানজিদাদের
আপাতত গরমেই খেলতে হচ্ছে সাবিনা-সানজিদাদের
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসেডর যুবরাজ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসেডর যুবরাজ
সর্বাধিক পঠিত
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন