টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ফের পিছিয়েছে।মামলার মূল আসামি ঘাটাইল-৩ আসনের বর্তমান এমপি আমানুর রহমান খান রানা অসুস্থ থাকায় ১১ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। এ নিয়ে মামলার ধার্য দিন চতুর্থ দফায় পেছালো।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে এই মামলা বিচার কাজ শুরু হয়।
জানা যায়,ফারুক হত্যা মামলার মূল আসামি এমপি আমানুর রহমান অসুস্থ থাকায় তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার ফিস্টুলা অপারেশন, উচ্চ রক্তচাপ ও মেরুদণ্ডে ব্যথার কারণে তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি। তবে এ মামলার অপর আসামি নাসির উদ্দিন নুরু, মাসুদুর রহমান মাসুদ ও ফরিদ আহম্মেদ হাজিরা দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম খান বলেন,‘আদালতের বিচারক আবুল মনছুর মিয়া সোমবার সকাল ১১টায় এজলাসে বসেই চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার কার্যক্রম শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষ মামলার বাদী নাহার আহমেদ, ছেলে আহমেদ মজিদ সুমন ও মেয়ে ফারজানা আহমেদ মিথুনের হাজিরা দাখিল করেন। কিন্তু মূল আসামি উপস্থিত না থাকায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন ১১ ফেব্রুয়ারি। তবে এ মামলার অপর আসামি নাসির উদ্দিন নুরু, মাসুদুর রহমান মাসুদ ও ফরিদ আহম্মেদ হাজিরা দিয়েছেন। এছাড়া মামলার আরও তিন আসামি মোহাম্মদ আলী, আনিছুর রহমান রাজা ও সমির কারাগারে আছেন। এ মামলায় তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল গফুর ও অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বাকি, জহিরুল ইসলাম জহিরসহ কয়েকজন।’
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল পৌর শহরের কলেজ পাড়ায় হত্যার শিকার হন মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ। এতে টাঙ্গাইল-৩ ঘাটাইল আসনের সাংসদ আমানুর রহমান খান, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী ঐক্যজোটের সভাপতি জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে চার জন গ্রেফতার হলেও বাকি ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন।