চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একাধিক মামলার আসামি ইমান আলী নিহত হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি, বোমা ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাত ২টার দিকে উথলী ইউনিয়নের সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়ীয়া সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, ইমান আন্তঃজেলা ডাকাতদলের নেতা।
নিহত ইমান আলী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের হাটচাঁদপুর গ্রামের ফকর আলী ব্যাপারীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে বোমাবাজি, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অস্ত্র আইনে মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবীব পিপিএম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জীবননগরের সন্তোষপুরে একটি আমবাগানে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। প্রায় ২০ মিনিট দুই পক্ষের গুলি বিনিময় হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ইমান আলীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি শুটারগান, দুই রাউন্ড কার্তুজ, চারটি ককটেল ও পাঁচটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে নিহত ইমান আলী আশপাশ এলাকার ডাকাতদল চক্রের মূল হোতা। তার লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়। আজ বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।