মহাসড়কে দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাদানকারী স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘ট্রমালিংক’ ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে কার্যক্রম শুরু করেছে। রবিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টেকনগপাড়ার বিআরটিসি কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের হল রুমে এই কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাইওয়ে পুলিশের (গাজীপুর রিজিয়ন) পুলিশ সুপার (এসপি) শফিকুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ট্রমালিংকের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জন মুসল্লি’র সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন- বিশিষ্ট কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মো. মনজুরুল হক, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খন্দকার ইয়াসির আরেফীন এবং গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান।
ট্রমালিংকের পরিচালক (অপারেশন) এশা চৌধুরী বলেন, ‘প্রাথমিক অবস্থায় এই সেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহের পথে ১০ কিলোমিটার এলাকায় এই সেবা প্রদান করা হবে। রবিবার থেকে মহাসড়কের ওই এলাকায় কোনও সড়ক দুর্ঘটনা হলে ট্রমালিংকের প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের বিনামূল্যে জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেবে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ছাড়াও ট্রমালিংক ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ৮০ কিলোমিটার এলাকায় জরুরি চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হাইওয়ে পুলিশের (গাজীপুর রিজিয়ন) পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম এবং মূল বক্তা গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রমে ট্রমালিংকের উদ্যোগকে প্রশংসা করেন। আশা প্রকাশ করে তারা বলেন, ‘এই কার্যক্রম অচিরেই দেশের প্রতিটি মহাসড়কে বিস্তৃতি লাভ করবে।’